নীলাঞ্জনা, তোমার নামটাই যথেষ্ট..
তবু ইচ্ছে করে একবার ফিরে দেখি যমুনার কালো জলে ... কাজলে,  
ভাসি আমি ডুবুরী হয়ে নীলাদ্রির গভীর অতল তলে ।
ব্যাকুল ব্যাথার উপশম হয় যদি আমার অশ্রু জলে _
রেখো আমায় তোমার পাশে অবেলায় রাত-বিকেলে ।
তোমার নিদানে আমার অভিধান সব গোচর ভুমি ;
প্রতি পাতায় তত্ত্ব বহে বেড়াও, শুধু তুমি, তুমি, তুমি ।


নীলাঞ্জনা ....
আজ নীলকণ্ঠ পাখীর কন্ঠের সুরধুনী খুঁজি ,
অবেলায় পড়ন্ত ছায়ায় রৌদ্রস্নাত দুপুর বুঝি ।
তাই আজ চোখের বদ্ধ কপাট খুলে দিতে চাই....
বল্গা হাওয়ায় ,
নীল ঘন খোলা আকাশের বুকে...দিকে দিকে চতুর্দিকে,
নতজানু হয়ে বসব সন্মুখে তোমার ,শান্তির  ছায়ায় ।
হৃদয়ের ভাঁজে বাঁধব আমার সত্বা, তোমার আঙিনায় ।
জড়াতে চাই দু বাহু তুলে আজ অম্বরের এপার ওপার ;
আলিঙ্গনে অশ্রু ঝড়াব তোমার আঁচলে শত শত বার।
নুইয়ে পড়া মলিন বটের পাতাগুলো চোখে পড়ে নাই
এতকাল.....
জানি , এ তোমার কালান্তরের জমানো ব্যাথা বেদনার ভার ।
বসন্তের ফল্গুধারায় গাগরীতে ভরেছি জল,
সেই জলে ভাসে কত রামধনু করে টলমল ।
তোমার ব্যাথা ধুইয়ে যাবে সব , ভাসবে রঙীন অমল জলে।
আমি আকণ্ঠ সেই জল করেছি পান ,
হৃদয় নিদাঘে ভালোবাসা, হাতে কলম ,লিখে যাবো অভিধান_
দেবো দেবো তোমায় প্রতিদান ।
নীলাঞ্জনা !  এটাই হবে তোমার জন্য আমার শ্রেষ্ঠ উপহার ।


বাবুল আচার্যী     08/02/2017