সময়ের দাহ্যতা সময় নিজেই প্রমান করে দেয় ।
প্রামাণিক তথ্য মেলে মনের আকাশ গঙ্গায়;
হৃদয়ের কোমল নিস্তরঙ্গে ,জোয়ার ভাটার ঢেউয়ে,
সময়ের অলীক নূতন উদ্ভাবনে ,
আর পঞ্চতত্ব সম্মিলিত ...এ দেহের কায়ায় ।
আলো ছায়ায় ঢেকে দেয় হৃদয়ের আতর ঘরে_
জন্ম নেয়া ক্ষুব্ধ হ্রেষা ধ্বনি স্ফুলিঙ্গ জলন্ত_  
তপ্ত অনুভূতির রঙবেরঙ্গী ফুলকিগুলো, হাল্কা_
কার্পাসের গায়ে ভর করে উড়ে চলে যায় !
ঢেউ তোলা বাতাসের বল্গা হাওয়ার,... দুরে ..বহুদূরে ।
সংলগ্নে জড়িত মনের  উষ্মা বাষ্পের সংলাপগুলো,
কিছু বাতাসের কণায় ভেসে বেড়ায়,..... মিশে যায়_
আর অপেক্ষা  করে অগোচরে আমরণ সন্ধ্যায়;
সময়ের বিলাপ রোদন পোড়ার প্রতীক্ষায় ।
কিছু কিছু জমাট বেঁধে অধোগতি পায়,
ছুটে চলে পৃথিবীর দিশেহারা আদিগন্তে,  
কোনো এক নতুন ভোরে নতুন সংস্করণে পাবে তাকে_
অজানা অচেনা জায়গার পরবাসে,
শিথিল থেকে শিথিলতার হওয়ার আশে ..
পড়ে থাকে জড়াজীর্ণ অবস্থায় ।
যেখানে কেহ নেই তার ছবি ধরে রাখে ,
স্বপনের বপন করে চলে যে, পথের বাঁকে ।
যেখানে, নেই কোলাহল, মনুষ্যের পদচারণা ;
যেখানে নেই,অবমাননা, গঞ্জনা ,শব্দের উতরোল ভাবনা ।
যেখানে, নেই হৃদয় থেকে উদ্ভূত ধ্বনির সঞ্চালক;
মন যার পরিবাহক, উৎসারিত শব্দের কুহুকারক ;
দিন প্রতিদিন পেয়ালাতে করে না নৃত্য যার সুরা_
ছড়িয়ে লুটিয়ে পড়ে না মদিরার মাদকতা ।
সে সব রজনী বিগত মলিন দিনের পরিচায়ক
... বেদনার পরিবাহক
যেখানে আগ্নেয়গিরি র  অগ্নিকুণ্ড নেই ;
নেই বিগলিত বিচ্ছুরিত রক্ত-রাঙা লাভা !


সময়ের মার প্যাঁচ শুধু মাত্র অক্টোপাসের_
জাঁকালো বেষ্টনী ই নয়,
যেখানে শুধু জীবন্ত বায়ুর নিঃশ্বাস,
ঘন ঘন কৃত্রিম উষ্মা প্রশ্বাসে পরিণত হয় !
এই উষ্মা বায়ু, ধীরে ধীরে কালচক্রের কালক্রমে,
হারিয়ে ফেলে নিজস্ব ক্ষমতা ও অস্তিত্ব  !
শূণ্য মনে পূর্ণ হয় ঠাণ্ডা বায়ুর প্রাদুর্ভাবে।
হৃদয়ের রক্ত ধারায়, প্রবাহিত হয়ে জন্ম নেয় নূতন প্রেক্ষাপট ।
কচি কাঁচা পাতায় নূতন আলোর সন্ধানী সবুজ কণা,
শীতল জলের ধারায় ধুয়ে যায় সব বিস্মৃত দাগী পথ,
ধুসর দুর্বোধ্য চিত্রপট ,পুরনো জর্জর মর্মর অধ্যায়
যেন বাঁকের মোড়ে এক নূতন উন্মোচিত  রথ ।
দিগন্ত উন্মোচনের এক নূতন অধ্যায় ,সজীব পাতায় ।
তখন পুরোনো জর্জর মর্মর অধ্যায় বড় অর্বাচিন,ধুসর
দুর্বোধ্য তার চিত্রপট  ।


আঁকড়ে জড়িয়ে ধরা মর্মর সময়, বোধিসত্ত্বার ডাক নয় ;
সহজ সরল জীবন যাপনের, ......এ যে প্রথম বোধোদয় ।


বাবুল আচার্যী    12/05/2018