আমরা সবাই বৃটিশ তন্ত্রে, ছিলাম যখন বন্দী ঘরে;
অধিকারের বেদম বাতাস, ছিল মনে বিষাদ ভরে ।
মন যে সবার স্বাধীন চেতা,ক্রেতা ছিল কুটিল সে;
বেচার কেনার পণ্য প্রজা ,পণ্য ভাঁড়ার ছিলাম যে ।
বন্দী দশায় দেশের প্রজা, বাঁচার জন্য করবে কি ?
প্রাণের খোঁজে, জীবন বুজে, বইত তখন শুষ্ক নদী।
নদী মাতৃক দেশের মাটি , ভেজা আঁচল রক্ত রাঙা !
কুপিত নদী বুঝিয়ে দিত কুলটি ধ্বসে মনের গোঙা।
সেলাম সাহেব, হ্যাঁ হুজুরি, বলতে হতো মাথা হেঁটে ;
ফাঁসির কাষ্ঠে বাদল গেলে,তন্ত্র দেশের জেগে ওঠে ।
সপ্ত সুরের সাতটি তারে, মেলে যখন রাগের মালা ;
বাগী প্রজা একই সুরে বলত সবাই, " ইংরেজ পালা" ।  
ধুসর আকাশ, ধুসর মাটি, ধুসর জাগায় তীব্র আশা;
ধন্য দেশের,ধন্য সবাই , সবুজ রঙ যে বড়ো খাসা ।
" মরতে হবে, লড়তে হবে, মারতে হবে " সবার পণ,
একটি আশায় ,একটি লক্ষ্যে, একই বৃন্তে জনগণ ।
কুঞ্জ বনের ছোট্ট নদী, সাগর পেতে যেমন চলে ;
মাতৃমন্ত্রে দীক্ষা নিতে অন্ত কোনের প্রজাও বলে ।
আঁকা বাঁকা চলতে গিয়ে, নদীর যেমন শত বাধা;
সকল বাধা তুচ্ছ করে,জীবন যাপন হয় যে সাধা।
ঘনায় যখন তিমির গভীর,মনে জাগে বিভীষিকা;
নিশির শেষে অন্ত পথে,মাঝির গলায় সুরের রেখা
মাটির দেশের চিত্রপটে, প্রজাই আঁকে চিত্রকূট ;
দমন করে শত্রুর হানা , প্রজাই সিংহ যমদূত ।
বৃটিশ রাজ যায় পালিয়ে, মহাপর্বের যজ্ঞ শুরু;
সংবিধানের রচয়িতা আম্বেদকরই আদ্য গুরু ।
শক্তি তুমি একক পীঠ ,পীঠে তোমার কোটি তন্ত্র;
সকল তন্ত্র মিশে গিয়ে,আজকের এই প্রজা তন্ত্র ।


বাবুল আচার্যী    28/01/2018