বলি কি অঞ্জনা ,--
থাকো কি করে সদা, ফুল্ল রঞ্জিত রঞ্জনা ?
তোমার আকাশে ভাসে, তপ্ত লু- হৃদয় ;
গ্রীষ্মের দাবদাহ তোমার, কি করে সয় !
কলুষিত বাতাস কর, সুগন্ধিত সুধাময়।
তুমি ধরণীর মতো সর্বংসহা ;
নীরবে বলে যাও ওঃ থেকে আহাঃ ।
কি করে সয়ে যাও তুমি এত সব যন্ত্রণা ?
বল না অঞ্জনা ।


থাকো কি করে সদা, ফুল্ল রঞ্জিত রঞ্জনা ;
ধীরে ধীরে বহে যাও, কুলুকুলু যেন নদী ...
পথে প্রান্তরে কিঙ্কর কতো, কি যে দুর্গতি !
তবুও এগিয়ে চলে জীবন, ধরো হাত যদি ;
এ জীবন নদীময় করে তুলো,
হাতে পায়ে মুখে মেখে ধুলো ;
নদীর মতো করে চলতে নিয়েছ কি মন্ত্রণা ?
বল না অঞ্জনা ।


থাকো কি করে সদা, ফুল্ল রঞ্জিত রঞ্জনা ;
শক্ত বেষ্টনী আবেশেও ঝরে যে কোমলতা,
মধু হয়ে গলে যাও মধুকরে তুমি মধু মিতা ;
সবারি ত্বরে কাঁদে যে হৃদয় ,সেই পারমিতা ।
এ জীবন মধুময় করে তুলো ,
বুকে রেখে তিক্ত বিষ গুলো ;
তিক্ত কে মিষ্ট বানাতে কোথা পেলে মন্ত্রণা ?
বল না অঞ্জনা ।


থাকো কি করে সদা, ফুল্ল রঞ্জিত রঞ্জনা ;
যে ঘরে বাস ,নুন আনতে পান্তা ফুরোয় ।
ধিক ধিক করে চলে জীবন, তবু কর জয়।
আঁধার ঘিরে ফেলে যদি, কম্পিত সে নয় ;
ভয়কে দূরে ফেলে দিয়ে ;
মশাল জ্বেলে চল এগিয়ে ;
বহ্নি র তেজ হৃদয়ে ধরে হয়না কি যন্ত্রণা ?
বল না অঞ্জনা ।


থাকো কি করে সদা, ফুল্ল রঞ্জিত রঞ্জনা ;
ধীর স্থির পেলবতা, নেই কোন ঝঙ্কার ;
তুমি গোমুখ, সৃষ্টির উৎস, নেই অহঙ্কার।
নদী মাতৃক এ দেশে ,পূজা হয় বারবার।
ওঁ কার ধ্বনির মন্ত্র সাধনে;
ব্রতকথা সব তোমারি ধ্যানে;
তবু অভিমান বুকে চেপে কেন শোন গঞ্জনা ?
আজ বলতেই হবে তোমাকে অঞ্জনা ।
B
বাবুল আচার্যী    13/10/2019
লেখার স্থান : সতী জয়মতী নগর,পাণ্ডু