যোগ সিদ্বিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ,
সিদ্ধান্তের তপ্ত দহনে খাদ মুক্ত মন_
রাঙিয়ে দেয় পোড়া হৃদয়ের পিঞ্জর  ।
জ্ঞান ভাণ্ডারীর ভাঁড়ার- গাত্র ভাসে বায়বীয় পদার্থে ;
নিহিত তাপ মাত্রা বজায় রেখে জীবনে আনে সদর্থ ।
অন্তর্হিত তাপ দ্রুত হ্রাস পায় বাহিরের আঁচ নিতে_    
ঢালু সহজিয়া পথে মন বহে যায় বরষার অঝোর বারিপাতে  ।
উপলব্ধির দৃঢ়তার জন্য আঁকড়ে র  মাটি কমে গিয়ে_
শিথিল ছিন্নমূল ,উপল ভেসে যায় মিরাজের সাহারায়  ।


প্রেমলতা শুধু কি একটি  ' নাম 'প্রেমলতা র' জীবনে ?
'প্রেম' আর 'লতার' নেই কি কোন হাড় মজ্জার সম্পর্ক ?
'লতার' আখ্যানে নিহিত প্রেমের ফুল- মাল্য  কবিতা ।
কিন্তু দুইয়ের মাঝে আজ বিচ্ছিন্নতা বাদী সুর ।
বিবাগী হাওয়ায় বিবাদী সুর পিশাচরী আত্মার গান গায় ।
বহিরঙ্গ অন্তরঙ্গের বিভেদ কিছুটা সমীচীন হলেও _
আকাশ পাতাল অন্তরালে সৃষ্টি হয় অতল শূণ্য গহ্বর ;
যেখানে ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকার অবাধ খাই,খর্ব শূন্য প্রান্তর ।
আমার প্রচ্ছদ প্রকাশ কি একেবারে অবান্তর ?
কষ্টার্জিত সময়ের অধ্যবসায় আলিঙ্গন করে_
ষাষ্ঠাঙ্গে নোংরা প্যারাফিন যুক্ত জলে ।
কিন্তু কেন ? কেন প্রাণ- মন- মনন হয়ে যায় এত হীন ?
এ যুগের কিছু মনুষ্যের কাছে মাকাল ফল_
সিদ্ধি জাত মনে হয় ।
সেই অভীষ্ট ফলের লব্ধের আশে এক অমোঘ আকর্ষণে_
অবদমিত মন প্রাণ ছুটে যায় এভারেস্টের সিংহ চুড়া য় ।
মর্মন্তুদ প্রাণে ক্ষীণ মর্মর বাণীতে আশার প্রদীপ জ্বলে ওঠে ;
চোখের গোলকে ভেসে ওঠে অনতিদূরে সিংহ দুয়ারের প্রাচীর   ।
জ্বলজ্বল জলতরঙ্গ রৌপ্যের প্রভাত সবুজ ঘাসাগ্রে খেলা করে;
টপকে পার হলে সুখ দেবতা অগ্রাসনে বসে আছেন অধীর ।
মেকি যোগেশ্বর র হৃদয় ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি র মত তখন_
ফেটে চৌচির হয়ে যায়।
আর বিশাল পরিধি জুড়ে অগ্নিপথে লাভা গলে গলে পড়ে ।
গ্রামীণ সরণী আলো মাখা ধরণী অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় ।


পথের দিশায় পথ হারায় , কত হীরক পাথর, এই ধরাতলে ;
নাম ,গন্ধ ,গোত্র, বর্ণ সব যায় হারিয়ে সমুদ্রের অতল তলে ।
জাগরূক মনে বলো ' আমি ভারতীয় , যাব না আর ঐ পরিসরে;
দূরান্তে শুধু আলেয়ার আলো, আলোর উৎস নেই ঐ অন্ধকারে ।


বি. দ্র : 'উপল' মানে পাথর ।


বাবুল আচার্যী   20/05/2017