মাগো, ধরার সব কিছুই যে তুলি দিয়ে আঁকা,
তারি মাঝে চলার পথটা নদীর কেনই  বাঁকা ?
গাছের পত্র সবুজ যেমন, তেমন ধানের শিস;
দিনের বেলায় শুধুই আলো,পাই না অহর্নিশ ।
সূর্য যখন সুদূর গাঙে, নিজের মুখটা লুকোয়;
তখন কেন আকাশ পাড়ে চন্দ্রমাকে দেখায় ?
দিবস রাতি মেলার খেলা, কে সে এমন করে ?
আঁধার ঘিরে তন্দ্রা আসে, চোখের মণির পরে।
চোখের আড়াল হলে রবি,স্বপন আমায় ঘিরে ,
রঙীন জালটি জড়িয়ে দেখি,সূর্য আসে ফিরে।
চারিপাশে আলোর মেলা, শীতল সমীর বহে ;  
অন্ধকারের নেইকো ছটা, সবার  অধর কহে ।
ঘুমের ঘোরে যখন দেখি, খেলছি আমি বেশ ;
আলোর মুখে ছোটাছুটি,নেইকো কারো রেষ।
বন্ধু আমার ডাগর চোখে, যখন আমায় বলে;
কি আনন্দ পেতাম মোরা রাতের গগন তলে !
রাতটা হত দিনের মতো, শুধু আলোর মেলা;  
দুঃখে সুখে চড়ত সবাই হাল্কা পালের ভেলা।
ভেলায় চড়ে যেতাম মোরা, সুখের দেশে পাড়ি,
সুখের দেশে রঙীন পরী ,আমার চালায় গাড়ি ।
স্বপন আমার গেল ভেঙে,মা যে আমায় ডেকে_
পুরব দিশায় প্রণাম করে, রবির কিরণ মেখে ।
জড়িয়ে ধরে মাকে সুধাই,প্রণাম কাকে করো ?
মা হেসে কয় আমার কাছে, ইন্দ্র- দেবই বড়ো ।


বাবুল আচার্যী    01/01/2018