ট্রেনে শুয়ে আছি ,আলো সব নেভা, নিস্তব্ধ চারিপাশে;
ঘুম নেই চোখে,-- শূন্য টাই শুধু জীবনের ভেসে আসে।
মনে হয়, চক্রবৃত্তের আড়ালে একটা ছবি রাখা আছে ;
ঘুরে ফিরে হতাশার ছবিগুলো যেন শূন্য ঘিরেই নাচে।
তবে কি শুধুমাত্র শূণ্য কেই ভালোবেসে ছিলাম আমি ?
চক্রবর্তী ঝড়ে ঘুরপাক খেয়েছি কতো, জান অন্তর্যামী।
প্রিয়ার নেত্র লোচনে ডুবে দেখি, কত তরঙ্গ খেলা করে!
কি অভিনব! অসংখ্য ঢেউয়ের সমাগম সেই পারাবারে।
অসংখ্য ছোট বড় ফেনায়িত ঢেউ বুলবুলি নেয় নিশ্বাস,
ক্ষণে ক্ষণে ঢেউয়ের রুদ্র আচরণে বুলবুলি ছাড়ে প্রশ্বাস।


তুমিও কি ছিলে তবে, অনাহূত ঢেউ, খর-খরা এ জীবনে?
থাকবে না বলে এসেছিলে,ভরে গেলে, শুধু শূণ্য, প্রাঙ্গণে।
তোমাকে দেখে ত মনে হয়নি, তুমিই সব শূণ্যের প্রণেতা ;
তুমি ছিলে সূর্যের আভা সুদীপ্তা,আমার বিশ্বাস বিজেতা।
হৃদয়ের তারে ঝঙ্কার তুলে বলেছিলে,সাগরের কত ঢেউ!
সেই সাগরের বুকে আলোড়ন কতো ভোলে না তো কেউ।
একটা দেহের বুকে এত কম্পন, এত জাগরণ,তোলপাড় !
মনে হচ্ছিল , এভারেস্টের শৃঙ্গে আমি, আমারই জয়কার।
একদিন নেমে গেলে, চলে গেলে তুমি,ভাটার জলের মত;
শান্ত বুকে উত্তাল ঢেউ তুলতে আবার নিজের  সাধ্য যত।
বুকের ভেতরে এমনি করেই হয় ফাটল,ফাটল থেকে ফাঁকা_
ব্যথিত মনের কারক, তুমি শূণ্য রই অঙ্কিতা , শূন্যতেই ঢাকা ।


বাবুল আচার্যী    06/01/2019