মা------- মা------- মা------মা---এ কেমন যেন এক  প্রশান্তির ডাক,--- মা।
কোন ভাষা নেই কোন অনুভূতি নেই কি দিয়ে বুঝাব তা।
তোমার ডাকে আছে কত মধুমাখা!
যখন তুমি মা করলে আমায় গর্ভেধরন---
কত কিছুই খেতে তোমার ছিল বারন।
তোমার অধরে মা দশ মাস দশ দিন----কত যতনে হায়! করেছ লালন।
আর অনুভূতিহীন জীবনে মা তুমি করেছ আমায় অন্নেষণ।
কত কষ্ট করে তুমি দেখিয়েছ এই পৃথিবীর আলো
শিক্ষা দিয়েছো তুমি;কোনটা মন্দ জীবনে---কোনটা ভাল।
কত!জ্বালাতন হায়!সহ্য করেছ তুমি---
এটা খাব না,-ঔটা খাব, পড়তে বসব না,-খেলতে যাব,কত!দুষ্টুমি করেছি এই ডানপিটে আমি।
সন্ধ্যায় চাঁদের দেশের গল্প শুনে--
তোমার কোলে ঘুমিয়ে যেতাম মা অবচেতন মনে।
সামান্য অসুখে মা তুমি  নিদ্রাহীন।
আরোগ্য কামনায় নিজ জীবন সঁপে দিতেও মা ছিলেন-দ্বিধাহীন।
তুমি আমার জীবনদাতা-----তুমি আমার মাতা
তুমি দূর করেছ জীবনের সব শূন্যতা।
তোমার দয়ায় জীবন আমার পেয়েছে পূর্ণতা।
তোমার দোয়া থাকলে মাগো অনিষ্ট করিবার নেই কারও ক্ষমতা।
স্বর্গীয় শান্তির দূত মাগো-তোমায় বানিয়েছে বিধাতা
তোমার তরে জীবন সঁপে-পেতে চাই সেই পুণ্যতা।
দেহের সব রক্তেও মাগো হবে না তোমার প্রতিদান।
মাগো তাই ক্ষমা কর মোরে আমি তোমার অবুঝ সন্তান।
মা----মা-----মা---- ডেকে তাই জুড়াই আমার পরাণ।