ভালোবাসা অতঃপর

ভালোবাসা অতঃপর
কবি
প্রকাশনী প্রিয় বাংলা প্রকাশন
সম্পাদক এস এস জসিম ভূঁইয়া
প্রচ্ছদ শিল্পী এস এস জসিম ভূঁইয়া
স্বত্ব লেখক
প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সর্বশেষ সংস্করণ ১ম
বিক্রয় মূল্য ১৬০
বইটি কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

বইয়ের কবিতাগুলো পড়ুন::::---
এক টুকরো ভালোবাসা ■ বাবুল হাওলাদার

শত কোটি বছর অপেক্ষার প্রহর গুনব
যদি বল আমায় ভালোবাস।
সহস্রকোটি মাইল মরুভূমির পথ পাদুকা বিহীন পায়ে পাড়ি দেব
যদি মম তরে একটুখানি হাসো।

আমি সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দেব অতি সহজেই
যদি তব কম্পিত পিঞ্জরের ভালোবাসা দাও,
আমি অন্ধকারের সহস্রকোটি বছরের পথ অতিক্রম করে
ছুটে আসব তব দ্বারে, যদি একটু ভরসা দাও

যদি একটু স্বপ্ন দাও, তবে স্বপ্ন কুড়াতে আমি মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির
১ লক্ষ ৩০ হাজার বছরের পথ চোখের পলকেই পাড়ি দেব,
যে ঠোঁটের নড়াচড়া মম হৃদয়ে কম্পিত ভালোবাসা সৃষ্টি হয়
সে ঠোঁটের আলিঙ্গনের স্বাদ আমি নেব।

যদি কথা দাও, তব পরশ-পাথর ঐ হাতের একটু পরশ দেবে
তবে মম যৌবন ধরে রাখব কোটি বছরের তরে,
যদি একটু আশ্বাস দাও, তবে তোমার প্রিয় জ্যোৎস্না রাতের
চাঁদের আলো কুড়াব মুষ্টি মুষ্টি ভরে।

তপ্ত দুপুরে তব লোভ করা সিক্ত তনুর সৌন্দর্য উপভোগ করতে
পলকহীন তাকাব বছরের পর বছর,
তোমার প্রেমের পরশ পেলে আমি বিদ্রোহী প্রেমিক হব
ভয় করব না, হোক যত ভয়ঙ্কর সমর।

যে সৃষ্টিকর্তা এত সুন্দর করে গড়েছেন তোমায়
প্রতিটি মোনাজাতে তার নিকট শুধু তোমাকেই চাই,
তোমার 'এক টুকরো ভালোবাসা' পাব তাই
প্রতিটি সূর্য উঠা হতে জ্যোত্স্না শেষব্ধি অপেক্ষা করে যাই......।

আমার একটি কবিতা ■ বাবুল হাওলাদার

তোমার মাথার এলোমেলো চুল, চুলের গন্ধ
তা-ই তো আমার একটি কবিতা।
তোমার আবৃত কালোমেঘ ভ্রু, চোখের পলক ঘনঘন ফেলা
তা-ই তো আমার একটি কবিতা।
তোমার মায়াবী বরণ দুইটি সুন্দর চোখ, চোখে ভালোবাসা মাখানো দৃষ্টি
তা-ই তো আমার একটি কবিতা।
তোমার ঠোঁটের কুটিকুটি বাঁক, পৃথিবীর সেরা দৃশ্য তোমার মধুমাখা হাসি
তা-ই তো আমার একটি কবিতা
তোমার মুখের টোলপড়া হাসি, তব বুক ভরা অসীম মমতা আর ভালোবাসা
তা-ই তো আমার একটি কবিতা।
তোমার প্রতিটি শ্বাসকার্যের পাঁজরের ওঠা-নামা যেন মোর গুঞ্জন গান
তা-ই তো আমার একটি কবিতা।
লম্বা চাঁদের মতন তোমার বাঁকা নজরের অবাক চাহনি, বাঁকা চোখে দেখা
তা-ই তো আমার একটি কবিতা।
তোমার পরশ-পাথর হাতের মধুর পরশ, তোমার ঠোঁটের মধু চুম্বন
তা-ই তো আমার একটি কবিতা।
তোমার শরীরে মাখানো খুশবু, আমার হাতের আলতো পরশ তব উদ্দিপনা
তা-ই তো আমার একটি কবিতা।
তোমার স্বপ্ন, তোমার ইচ্ছা, তোমার চলন-তোমার বলন
তা-ই তো আমার একটি কবিতা।
তোমার গুচ্ছ গুচ্ছ প্রতিটি রাগ অভিমান, সব মুহূর্ত তা-ই তো আমার একটি কবিতা।
তোমার থেকেই পেয়েছি আবেগ, কিছু অনুভূতি, কিছু ভালোবাসা
তা-ই তো আমার একটি কবিতা।
ছন্দের সুরে তব পথচলা নানা অজুহাতে নানা কথা বলা
তা-ই তো আমার একটি কবিতা।
তব থুতনির মাঝে ভাঁজ পড়া, চঞ্চপুটের মাখানো রঙিন ঐ আল্পনা
তা-ই তো আমার একটি কবিতা।
তোমার কর্ণদুলের উপর পড়া ঝলমল সূর্য কিরণ
তা-ই তো আমার একটি কবিতা।
সহস্রকোটি বছরের আশা মিটে দেখে তব সুন্দর রূপ
তা-ই তো আমার একটি কবিতা।

ফুলপরী ■ বাবুল হাওলাদার

ফুল বাগানের ফুলপরী তুমি
মিষ্টি তোমার হাসি,
তোমার হাসিতে পাগল হয়েছে
ফুলগুলো রাশি রাশি।

বাগিচার ফুল হেসে হেসে বলে
সুন্দর ফুলপরী,
তোমার রূপের ঝলকে আমি যে
জ্বলে জ্বলে পুড়ে মরি ।

চাঁদনি রাতের চাঁদের কিরণ
অনুভবে করে খেলা,
তোমায় তেমন দেখে দেখে পরী
মোর কেটে যায় বেলা ।

আমার ভুবনে তুমি যেন এক
ডানাহীন ফুলপরী,
তোমার আলোতে আলোকিত হয়ে
জীবনটা আমি গড়ি।

আমার বুকের ভেতরে রেখেছি
তোমায় যতন করে,
রাখব তোমায় বুকের ভেতর
সারাজীবনের তরে।

কাশফুল বরণ হাসি ■ বাবুল হাওলাদার

তোমার মুখে প্রথম দেখা
কাশফুল বরণ হাসি,
দেখে দেখে পাগল তাই তো
বারে বারে আসি।

তোমার চোখের কাজল দেখে
পাগলপারা আমি,
আমার কাছে তুমি ওগো
অনেক বেশি দামি।

তোমার মুখের মধুর কথা
অনেক লাগে ভালো,
আমার কাছে তুমি মানে
আঁধার যেন আলো।

সবিশেষে আশা মনে
তোমায় আমি পাব,
তোমায় নিয়ে অনেক দূরে
অচিনপুরে যাব।

একরাশ ভালোবাসা ■ বাবুল হাওলাদার

একরাশ ভালোবাসা উৎসর্গ করেছি তোমার তরে
মম চোখে নতুন নতুন রঙিন স্বপ্ন কভু যায় ঝরে
একবুক নিঃসঙ্গতা কভু মনে অসহ্য যন্ত্রণা করে।

বারেবারে আমি নতুন করে নতুন ভাবনা ভাবি
বুকটা জুড়ে হয়েছে আঁকা তোমার প্রেমের ছবি
লগ্নপ্রভাতে বিশ্বে আলোড়ন ছড়ায় রক্তিম রবি।

হোননে হয়ে ঘুরে মধুরাজ মধু আহরণের তরে
সাহচর্য পেতে তব প্রতীক্ষায় থাকব জনম ভরে,
ইচ্ছে হলে কান্না হয়ে ঝরে যাব বৃষ্টির মতো করে
নবরূপে ইচ্ছে হয় দেখতে তোমায় দু'চোখ ভরে।

📚 পদ্মার মাঝে ■ বাবুল হাওলাদার

পদ্মার ঢেউ যেন ভেতরে এক হাহাকার বাজনা বাজায়,
পদ্মা নদীতে যেন এই রক্তিম বেলায়
সূর্যের আলো আর নদীর ঢেউ নবরূপে সাজায়।

নবললিতা আছে সামনে যেনআকাশের লালপরী,
কালো কেশ দিয়েছে ছেড়ে,
দেখে যেন এক মহাউল্লাসে মরি।

কে তুমি অনামিকা? চিনি না তোমায়
তব নাকের বামে ছোট্ট তিল,
দেখে তোমায় ভালো লেগেছে আমার
নদীর মতো আনন্দ প্রসারিত আমার অনাবিল।

পলকহীনভাবে তাকিয়ে থাকতে চাই
পারি না কারণ লোকজন তাকিয়ে থাকে,
মাঝে মাঝে এক পলক তাকাই
তাতেই মনের শিল্পী-মনে ছবি আঁকে।

পদ্মা নদীর মাঝে হলো এ কি আমার
মনের মাঝে শুধু হাহাকার,
কেননা কিছুক্ষণ পর যখন চলে যাবে
তার সাথে দেখা হবে না তো আর।

তবুও তার ছবিটি যেন আমার
মনে হয়েছে আঁকা,
মন বলে ওগো কবিতার ছবিটি যেন
হয় স্বযতনে রাখা।


📚 ভালোবাসা মানে ■ বাবুল হাওলাদার

ভালোবাসা মানে- মনের ভেতরে এক অদৃশ্য উত্তাল ঢেউ।
ভালোবাসা মানে- মনের ভেতরে ঘুরপাক খায় একজন কেউ।
ভালোবাসা মানে- প্রিয় মানুষের কথা ভেবে ভেবে বেলা কেটে যায়।
ভালোবাসা মানে- তাকে ছাড়া একমুহূর্ত বেঁচে থাকা বড় দায়।

ভালোবাসা মানে বারবার তাকে দেখার একটি বড্ড অসুখ।
ভালোবাসা মানে কিছু মুহূর্ত আড়াল হলেই জ্বলে যায় বুক।
ভালোবাসা মানে নতুন একটি সূর্য উঠল আকাশের বুকে।
ভালোবাসা মানে- দু'টি মানুষের ফুটফুটে হাসি ফুটে ওঠে মুখে।

ভালোবাসা মানে- এক সমুদ্র সমান আবেগ নিয়ে ভালোবাসা।
ভালোবাসা মানে- মনের ভেতর খেলে যায় সদা শতশত আশা ।
ভালোবাসা মানে- নতুন নতুন ইচ্ছা মনের মাঝে করে খেলা।
ভালোবাসা মানে- কিছু অভিমান কিন্তু কভু না করা অবহেলা।

ভালোবাসা মানে- কবি কবি ভাব, ছন্দে ছন্দে শত কথা বলা।
ভালোবাসা মানে হাতে হাত রেখে ছোট ছোট পায়ে একসাথে চলা ।
ভালোবাসা মানে- চাঁদের আলোতে গল্পে গল্পে কেটে যায় রাত।
ভালোবাসা মানে- উদিত হয়েছে রাত শেষে এক নতুন প্রভাত।

ভালোবাসা মানে- হৃদয়ে প্রেমের এক পিপাসিত অনুভূতি জাগে
ভালোবাসা মানে- যেন ঝরাহীন দুটি ফুল ফুটে পুষ্পের বাগে।
ভালোবাসা মানে- দুইটি মানুষ অথচ একটি চাওয়া-পাওয়া।
ভালোবাসা মানে- মুখোমুখি বসে চোখে চোখ রেখে ফুসকা খাওয়া।

ভালোবাসা মানে- প্রেমিকার তনু হতে ভেসে আসা মধুর গন্ধ।
ভালোবাসা মানে- প্রেমিকার কোলে ঘুম, করে দু'টি চক্ষু বন্ধ ।
ভালোবাসা মানে- জোসনার রাতে প্রেমিক-প্রেমিকা মিলে চাঁদ দেখা ।
ভালোবাসা মানে- অনুভূতিমাখা অমর কাব্য-উপন্যাস লেখা।

📚 এক টুকরো হাসি ■ বাবুল হাওলাদার

ফুটেছে কাননে ফুল রাশি রাশি
ঐ ফুলের সুবাস যে বড্ড ভালোবাসি।
তোমার মুখের গোছালো কথা
ভুলিয়ে দেয় মনের অসংখ্য ব্যথা ।

সহস্রকোটি তারকার আলো দিয়ে তব ঐ চোখ গড়া
যেমনি অজস্র সুন্দরে সৃষ্টি এই বসুন্ধরা।
অতিক্ষুদ্র কুয়াশার চাদর গায়ে পড়ন্ত গোধূলিবেলা
করছে তব ঐ রূপলীলার তরঙ্গের উচ্ছ্বাসিত খেলা ।

কাননে গাছের প্রতিটি পত্র দিচ্ছে মায়াবী দৃষ্টি তব পানে
তব হাসিমাখা মুখে মুগ্ধতা লুকিয়ে আছে সকলে জানে।
শুভ কামনা তোমার তরে সুন্দর হোক আগামীর সবদিন
সুন্দর সুন্দর স্মৃতিগুলো কখনো হবে না মূল্যহীন ।

আকাশের মেঘপুঞ্জ হতে ঝরে পড়ে ঝিরঝিরে বৃষ্টি
প্রকৃতির প্রতিটি জিনিস হয় নবরূপে সৃষ্টি।
কোটি বছরের আঁধার মিশিয়ে প্রভু গড়েছে তোমার কেশ
যেমনি গড়েছে সুজলা-সুফলা আমাদের এই মায়াবী দেশ।

গগন সম তোমার বুকে দিয়েছে প্রভু মায়া
জুড়াবে বক্ষ একটু পেলে তব শীতল মনের ছায়া।
অধীর প্রতীক্ষায় বসে থাকি, দেখবো রাশি রাশি
তোমার ঐ মুখের স্বর্গীয় এক টুকরো হাসি।


📚 প্রেম-পিপাসা ■ বাবুল হাওলাদার

কখন যে ভালো লেগেছে
তার থেকে ক্রমে ক্রমে কখন যে
ভালোবাসা হয়ে গেছে,
তার কিছুই আমি বুঝলাম না।

কেমন হঠাৎ করেই যেন মন
উতলায় ভরে গেল,
না জানি কেমন করে মোর
মন তার তরে হারিয়ে গেল।

এ যে কোন প্রেম-পিপাসা
আমি বুঝলাম না কভু,
ভালোবাসার সম্মুখপানে
হেঁটে যাই না জেনে তবু।

বুঝতেই পারি না কখন
আমি আমার ভেতরে,
কখন বা আমি সে
মনের মানুষটির ভেতরে।

এ কেমন প্রেম, ভাবনা সারাক্ষণ
কখনোই বসে নাকাজে মন,
কেন জানি তার কথা ভাবতেই
ভরে যায় এ শূন্য মন ।

আপনার যে গান গাইতাম
উঠে না এখন সে গানে সুর,
কেন জানি বেজে ওঠে শুধু
তার নামে গান সুমধুর।


📚 পুষ্পবাগের দু'টি ফুল ■ বাবুল হাওলাদার

ওগো মোর প্রেয়সী, মোরা দু'জন যেন
পুষ্পবাগের দু'টি ফুল,
মোরা দু'জন যেন প্রবাহিত ঐ নদীর
দু'টি কূল।
উদ্যান বুকে নাচে গো ফুল
আনন্দিত তাদের মন,
ঘরের প্রদীপ ন্যায় আলোকিত রাখব ঘর
আমরা দু'জন।
যামিনী বেলা গগন পানে দর্শন করো
দেখ কত তারার মেলা!
চাঁদটি আবার হাসি মুখে খেলছে
এক মহাআনন্দের খেলা।
পাতার আড়ে রবির আলো
সুন্দর লাগে বেশ,
মোদের এই হাসি খুশি প্রভু ওগো
হয় না যযেন শেষ।
জীবনের এই আদি হতে ইতি
সুখের যেন হয়,
ঝড় জীবনে আসুক যত, প্ৰভু ওগো
পাই না যেন ভয়।

ফুলপরী পুষ্পরানী ■ বাবুল হাওলাদার
'ফুলপরী' ডাকি তোমায়
বড্ড মধুময় এ নাম,
তব মৃদু হাসির তরে
ভেঙ্গে যায় সব অভিমান।
হাসে সব ফুলগুলো যখন
থাকে তব মুখে হাসি,
যখন তব মুখ গম্ভীর হয়
নুয়ে পড়ে যেন ফুল রাশি রাশি।
চোখ দুটি তোমার সুন্দর সেতো
মায়ার জলে ভরা,
তোমার হাসির রেখা ছড়িয়ে
পড়ুক পুরো বসুন্ধরা।
জ্যোৎস্না রাতে তোমায় লাগে
আরো বেশি ভালো,
আঁধার রাতে জোনাকির মত
ছড়িয়ে দিলে আলো।
পুষ্পবাগের রানী তুমি
আমার কল্পনার ধরা,
তোমার স্মৃতিগুলো নিয়েই আমার
কল্পনার পৃথিবীটা গড়া।
যে পৃথিবীতে নাই কোন অবহেলা
শুধু ভালোবাসা এবং ভালোবাসা,
যেখানে ভেঙ্গে যায় না
দেখা কোন স্বপ্ন, ভাঙ্গে না কোন আশা।
যখন একটু খারাপ হয় মন
'ফুলপরী' ডাকি তোমায়
বড্ড মধুময় এ নাম,
তব মৃদু হাসির তরে
ভেঙ্গে যায় সব অভিমান।
তোমার তরে সপে দিয়ছি মন
সপে দিয়ছি এ প্রাণ,
দেখেছি তুমি হাসির মাঝে
গেয়েছ হাসির গান।
ヅ কবিতা নং- ১৯৭

ফুটন্ত গোলাপ ■ কবি বাবুল হাওলাদার

হে মোর প্রেয়সী
তুমি এক ফুটন্ত গোলাপ,
প্রথম যেদিন দেখেছি তোমায়, লেগেছে ভালো
বেসেছি ভালো তোমার সাথে প্রথম যখন হয়েছে আলাপ ।

হৃদয়ের মাঝে লিখে রেখেছি তোমার নাম
প্রথম যেদিন পেয়েছি তোমার দেয়া খাম।
তোমার ঐ রূপে মোর আঁখি জুড়িয়ে গিয়েছে
তোমার ভালোবাসা মোরে পাগলও করেছে।
হাজারো ফুলের মাঝে তোমারে লেগেছে ভালো
তুমি যে মোর স্বপ্ন, সাধনার আলো।
ঝরে গিয়েছে বাগানের ফুল শতশত
তুমি রয়েছ মোর জীবনে প্রাণেরই মতো।
রেখেছি মনে করে সেই প্রথমদিনের কথা
বলেছিলে তুমি দিবে না কখনও মোরে ব্যথা।
জীবনে যত চাওয়া-পাওয়া মোর আছে
পূরণ হয়ে যায় সব তুমি থাকলে কাছে।
যদি তুমি আমারে ছেড়ে চলে যাও
থাকব তোমার আশায় জীবন ভর
হে প্রেয়সী করো না মোরে পর।
তোমারে রেখেছি মোর অন্তরে অন্তরে
তুমি থাকবে সারাটি জনম মোর
হৃদয়ের স্পন্দনে রাখব আপন করে।

হে মোর প্রেয়সী
তুমি এক ফুটন্ত গোলাপ,
প্রথম যেদিন দেখেছি তোমায়, লেগেছে ভালো
বেসেছি ভালো তোমার সাথে প্রথম যখন হয়েছে আলাপ।

অচেনা মেয়ে ■ বাবুল হাওলাদার

কে তুমি জানি না
হয়তো বা আজই দেখেছি প্রথম।
তোমায় প্রথম দেখার পরেই
যেন মনে হল সমুদ্রের ঢেউ ফুলে উঠেছে।
মনে হল যেন বাগানের ফুলগুলি
গ্রীষ্মের তাপদাহের পরআবার জীবন ফিরে পেয়েছে।
আগে কখনো কাউকে দেখেহয়নি মনে এমন
না জানি জীবনটাই হয়ে গেল কেমন?
যেন আমার ভাঙা বেড়ার ফাঁক দিয়ে
সূর্যের আলো দিয়েছে হাসি,
যেন আঁধার রাতের তুমিআমার স্বপ্ন হয়েছ রাশি রাশি।
যেন দিগন্তের আলো পেলাম, যেন স্বপ্ন আজ অন্যরকম।
যেন স্বপ্ন মাঝেএকটি চেনা মুখ বারে বারে
আমার চোখে ভেসে আসে।
যেন হঠাৎ করে সোনালি রোদ্র এসে
জীবন ঝলকিত হয়ে গেল হল আলোকিত।
হঠাৎ করে জীবনটা কেমন যেন পাল্টে গেল,
একটি শুধু ভাবনা- সারাক্ষণ তুমি সেই মেয়েটা।
জানি না তব নাম, অনামিকা তুমি
ভালোবাসা আর ভালোলাগা কতটুকু তফাৎ জানতাম না
হয়তো বা তোমায় দেখার পরকিছুটা বুঝেছি আমি।
কেমন জানি মনে হয়তুমি আমার জীবনে হয়ে আছ দামি।
তব হাসি দেখেছিএক ঝলক,
তখন মের দু'চোখের পড়েনি পলক!
চাহনি তোমার কত যে মায়াময়
হয়তো বা তুমি নিজেও জানো না,
দেখেছি আমি কাজলমাখা চোখে কতটা ভালো লাগে
মাঝে মাঝে তোমার ভাবনাআমার এ মনে জাগে।


আবার আসব ■ বাবুল হাওলাদার

কোনোএক শীতে কুয়াশায় ঘেরা বিকেলবেলা
মনে হয়েছিল আকাশে চলছে মেঘের ভেলা।
হে রমনী, দেখেছি তোমায় যখন
ভালোবাসার এক মৃদু বাতাস বয়েছে বুকে তখন।
ভ্রমর হয়ে ফুলের মধু খেতে এসেছিলাম
ফুল ফুটেনি তাই আর মধু খাওয়া হলো না।
ভালোবাসা পেলাম না বলে
তুমিহীন কোথাও হারিয়ে গেছি
ভালোবাসা পেলে কোনো এক......
বসন্তের কোকিল ডাকা ভোরে
আবার আসব, আবার আসব।
এবারের মতো এখানেই শেষ
বিদায়... বিদায়... বিদায়...

অসম্ভব ভালোবাসি ■ বাবুল হাওলাদার

কবিতার ডায়েরি নিয়েছি মম হাতে
কবিতা লিখব বলে ভেবেছি কত রাতে!
তব ছবি ভেসে উঠে মম কল্পনায়
তোমায় দেখতে চোখ থাকে অধীর প্রতীক্ষায়।
নিজের অজানায় তোমায় বিভোর থাকি
আর কল্পনায় তোমার ছবি আঁকি।
মন আনন্দে ফুলের মধু খায় অলি
সবিশেষ তোমায় সত্যি কথা বলি।
অদ্ভুতভাবে দেখি তোমার মায়াবী হাসি
সত্যি বলছি... তোমায় অসম্ভব ভালোবাসি ।


মহানগুরু ■ বাবুল হাওলাদার

শিক্ষাগুরু মহান মানুষ ছড়ায় সদা আলো
সেই আলোতে আমরা সবে হয়ে যাব ভালো।
শেখায় পড়া, শেখায় আদব, শেখায় নানান কিছু
শিখে শিখে গড়ব জীবন হব মহান কিছু।
জ্ঞানের আলো ছড়াই যেন মহান গুরুর মতো
ঘুচতে যেন পারি মোরা আঁধার আছে যত।

আমি ভালোবাসি ■ বাবুল হাওলাদার

অপলক ভাবে দেখি তব মুখে হাসি
তোমার মুখের হাসি আমি ভালোবাসি।
তব অগোছালো দাঁতে যেন মুক্তা ঝরে
তাই দেখে মন মোর থাকে না যে ঘরে।
তোমায় এক পলক দেখতে ছুটে আসি
আমি বড্ড ভালোবাসি বাঁকা ঠোঁটের হাসি ।
বিধাতা দিয়েছে ঠোঁটে মেঘ কালো তিল
মহা উদার তোমার হৃদয় মঞ্জিল।

হৃদয় মঞ্জিলে আমি পেতে চাই ঠাঁই
তোমায় হারাতে আমি নাহি কভু চাই ।
আকাশের তারা তুমি জোসনার আলো
ওগো প্রিয়া তোমাকে যে বাসি খুব ভালো ।
অসম্ভব পুলকিত তব দুই আঁখি
যতনে হৃদয়ে আমি তব ছবি রাখি।



জাগ্ৰত পাখি ■ বাবুল হাওলাদার

জাগ্ৰত পাখি তুমি থাকো জেগে জেগে
জাগিয়ে রাখো আমায় দাওনা তো ঘুমাতে,
সারারাত্রি জেগে থাকি ওগো
জাগ্ৰত পাখি ভেবে ভেবে তোমাতে।
তব ভালোবাসা আমায় ডাকে তব পানে
কত ভালোবাসি তোমায় প্রভুই ভালো জানে,
পাঁজর ছেড়ে যেওনা কভু ওগো
তোমায় রেখেছি আমার এ প্রাণে।
কত স্বপ্ন, কত আশা মনে তোমায় নিয়ে
হে জাগ্ৰত পাখি বাঁধব ছোট্ট একটা ঘর
আপন করে নিও আমায়
হে জাগ্রত পাখি করে দিও না কোনোদিন পর।

আমার ভালোবাসা ■ বাবুল হাওলাদার

তোমায় নিয়ে শুরু হলো আমার ভালোবাসা
তুমি যে আমার স্বপ্ন, সকল আশা।
তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি কত অজানা !
তোমায় আমি ভালোবাসি, তুমি করো না মানা।
তোমায় নিয়ে শুরু হলো কাব্য-উপন্যাস
তোমায় নিয়ে শুরু হলো প্রেমের বসবাস।
তুমি আমায় যদি ভালোবাস
তবে তুমি মিষ্টি করে একটুখানি হাসো।
তুমি যে আমার ভালোবাসার লোভ করা এক ফুল
আমি হলাম নদী তুমি আমার কূল।
তোমায় না পেলে একাকী হবে আমার নিরব মন
তুমি আমার ভালোবাসা, আমার আপনজন ।
তোমায় নিয়ে মনে আমার কত যে আশা
তোমায় নিয়ে খুঁজে পাই কাব্য লেখার ভাষা।


ট্রেন ভ্রমণ ■ বাবুল হাওলাদার

ঝক্ ঝকাঝক ট্রেন চলেছে- পড়েছি কবিতায়
জানি না তো ট্রেনে চড়তে কেমন মজা হয়!
হঠাৎ করেই আসলো সুযোগ ট্রেনে চড়বার
মিস যেন না করে ফেলি সুযোগ এইবার।
অবশেষে আটাশ জনে যাত্রা শুরু হল
সবার এই হাসি খুশি যেন মনটা কেড়ে নিল।
অটো করে সবে মিলে যাচ্ছি স্টেশনে।
কত কথা, কত স্মৃতি গড়ছি মনে মনে ।
স্মৃতির পাতায়, মনের খাতায় লিখব কথা কত
মনের খাতায় হচ্ছে গাঁথা স্মৃতি শতশত ।
ভাঙ্গা স্টেশন হতে ট্রেন চলতে করল শুরু
আনন্দে আনন্দে মনটা আমার করছে ধুরু ধুরু ।
সবে মিলে গানে গানে লাগছে মজা বেশ
এমন মজার প্রভু যদি গো না হত আর শেষ ।
স্থিরচিত্র, ভিডিওচিত্র ফোনে রাখছে কেউ ধরে
কোনদিনই স্মৃতিগুলো কভু যায় না যেন ঝরে।
সবে মিলে করছি মজা, আনন্দ ভরপুর
ট্রেনের ঝঝনাঝন শব্দ গানের হচ্ছে ম্যাচিং সুর।
জানালা দিয়ে দেখছি নানান ফসল ভরা খেত, লাগছে বেশ
খেতের শেষ কোথা হায় ! নাই বুঝি এর শেষ।
রাজবাড়ি স্টেশনে থামল ট্রেন, নামব এবার সবে
এইখানেরই ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখব এবার তবে।
সবার আবার লেগেছে ক্ষুধা, ক্ষেতে হবে কিছু
হোটেলে খাওয়া হল, খেতে ইচ্ছে যার যা কিছু ।
খাওয়া শেষে গেলাম ছুটে এক স্রোতস্বিনীর তীরে
স্থিরচিত্র হল কিছু দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে।
সবিশেষে আনন্দ বেশে গেলাম জাদুঘরে
জাদুঘরের ভেতর গিয়ে মনটা গেল ভরে।
কত শত বছর আগের নিদর্শন এখানে আছে
সবকিছুই সুন্দর করে সাজানো-গোছানো আছে।
জাদুঘরে ঘুরে ঘুরে দেখা হল সবই
জ্ঞান সমুদ্রে উঠল যেন নতুন একটা রবি।
ঘুরেফিরে দুপুরবেলা ভোজন হল কিছু
আনন্দ যে আর মন থেকে ছাড়ছে না পিছু।
ভোজন শেষে সবে মিলে গানের হল লড়াই
দেখা যাবে অবশেষে কে কাকে হারাই..?
একটু পরে বাড়ির দিকে আসতে হবে ফিরে
শেষবার জাদুঘরটি দেখলাম চেয়ে একটু ধীরে।
ট্রেন চেপে আবার মোরা বসলাম সবে মিলে
আরও মজা হচ্ছে যে বাদাম খাওয়ার ছলে।
গানে গানে মাতলাম সবে গাইলাম রাশি রাশি
সবার মুখে গানের সনে বড্ড হাসাহাসি।
সন্ধ্যা নামছে ঐ আকাশে রবির কিরণ নিভে
পদ্যগানে জমল মজা আবার মিলে সবে।
চঞ্চলতা, উৎফুল্লতা মনে লাগছে মন্দ নয়
ভালোবাসা থাকলে মনে কি আর ক্লান্ত মনে হয়?
ঝঝনাঝন মজার ট্রেন এবার গন্তব্যে গেল থেমে
একটু খারাপ লাগল কারণ ট্রেন হতে যাব নেমে।
শত স্মৃতি, শত কথার ঝুড়ি হল শেষ
সবাই সবার বাড়ি গিয়ে ভালো থাকুক বেশ।
যার উছিলায় গেলাম সেথায় হল আনন্দ রাশি রাশি
তার তরে শত প্রার্থনা, বড্ড ভালোবাসি।

যদি মনে পড়ে ■ বাবুল হাওলাদার
কোনো একদিন যদি--
আমায় হঠাৎ করে মনে পড়ে যায়,
সুখময় সেই মুহুর্তগুলো যেন
স্মৃতির পাতায় আগলিয়ে রাখা হয়।
কখনো যদি তোমার কষ্ট হয়
তাহলে আমায় স্মরণ করবে তুমি,
তোমার কষ্টগুলো
নিজের মতন বরণ করব আমি।
ফেলে আশা দিন মনে করে আমি হাসি
কখনো আমি কাঁদি,
আমার কবিতা, আমার গল্প তুমি
মনে মনে আমি তোমার স্বপ্ন বাঁধি।


তুমিহীন ■ বাবুল হাওলাদার

তুমিহীন আমি— ভাবতে পারি না কিছু।
তুমিহীন আমি— তাই ছুটি তব পিছু।
তুমিহীন আমি— হয়ে যাই বড় একা
তুমিহীন আমি— পাই না সুখের দেখা।
তুমিহীন আমি— যেন ধু-ধু মরুভূমি।
তুমিহীন আমি— শূন্য মনের জমি।
তুমিহীন আমি— স্বপ্ন দেখি না আজ।
তুমিহীন আমি— করতে পারি না কাজ।
তুমিহীন আমি— ভীষণ কষ্ট পাই।
তুমিহীন আমি— বাঁচার মূল্য নাই।
তুমিহীন আমি— থাকতে চাই না কভু
তুমিহীন আমি— যেন না করে গো প্রভু।
তুমিহীন আমি— দুই চোখ ভরা জল।
তুমিহীন আমি— পাই না শক্তি,বল।
তুমিহীন আমি— যেন পানি ছাড়া নদী।
তুমিহীন আমি— থেমে যাই নিরবধি।

মনের কথা ■ বাবুল হাওলাদার

আকাশেতে তারার মেলা
মনের মাঝে করছে খেলা।
তারা দেখে চেয়ে থাকি
মনের মাঝে ছবি আঁকি।

গানে বলি মনের কথা
যেথায় সেথায় যথা-তথা।
রাতের আঁধার ভালো লাগে
মনে শত আশা জাগে।

ভালোবাসি এবং ঘৃণা করি ■ বাবুল হাওলাদার

আমি অসংখ্যবার ভালোবেসেছি তোমায়
অসংখ্য ভাবে ভালোবেসেছি।
ভালোবেসেছি তোমার সৌন্দর্যে ভরা রূপ
ভালোবেসেছি তোমার ঠোঁট, তোমার কথা
তোমার চলন, তোমার বলন, ভালোবেসেছি
ঠোঁটের হাসি আরও কত কী!
অতঃপর ভালোবেসেছি তোমার হৃদয়কে ।
এত এত ভালোবেসেছি তোমায়
আজ ভালোবাসারা হেরে গিয়েছে
আমার একটু ঘৃণার কাছে।
অসংখ্যবার ভালোবাসারা আজ
চোখের কোনে একফোঁটা জল হয়ে গড়িয়ে পড়ে।
ঘৃণারা তখন অসংখ্যবার ঘৃণা করতে থাকে।
ওগো, তুমি বড্ড ভাগ্যবতী
কেননা, তোমায় আমিভালোবাসি এবং ঘৃণা করি
তার মানে তোমাকে সবসময় মনে রাখি।

কাব্যরসিক ■ বাবুল হাওলাদার

'নবজাগ্রত' কবি আমি তাই
মায়াবী ছন্দ নিয়ে করি খেলা,
বুঝতে পারি না ভাবতে-ভাবতে, লিখতে-লিখতে
কখন আমার কেটে যায় বেলা....।

রহস্যময় মহাসুন্দর এই পৃথিবীর অবাক ছন্দ
মনে ঘুরপাক খায় রাশি রাশি,
'কাব্যরসিক' হয়ে ডায়েরির পাতায় পাতায়
কবিতা লিখতে আমি ভালোবাসি।

কাব্যচর্চা ভালো লাগে তাই
প্রতিনিয়তই কাব্য রচনা করে যাই আমি,
কাব্য যে মোর 'গদ্য-কবিতা' হয় জানি
তবু আমার কবিতা আমার নিকট খুব দামি।

বর্ষ বরণ ■ বাবুল হাওলাদার

হে নতুন বছর, তোমাকে সাদর সম্ভাষণ
তোমার তরে আজ আনন্দিত সবার মন,
পুরাতন বছর তুমি হলে ওগো শেষ
নতুন বছর তুমি আসলে দ্বারে, তোমায় স্বাগতম অশেষ।

গোলাপ রানী লাল গোলাপের শুভেচ্ছা তোমায় শতশত
নববর্ষে নবরূপে সাজ যেন থাকে অবিরত,
ঝরে পড়া গাছে পত্র যেমন নবরূপে জন্ম হয়
তেমনি প্রতিবার তুমি নবরূপে আসো ধরায়।

হে নতুন বছর, আমার লেখা সেরা কবিতা তুমি
তোমার তরে ঝলকিত হল আমার জন্মভূমি,
নবশিশু ভূমিষ্ট হলে আনন্দ বয়ে চলে অবিরাম
শত কবি শত কবিতায় তোমায় দিয়েছে শত নাম।

নতুন বছরে ধরায় ছড়িয়েছে নতুন সূর্যের আলো
শপথ মোদের ধরা হতে দূর করব সকল কালো,
নতুনের দিনে চলো বন্ধু গাই নতুনের গান
যেন আনন্দে আনন্দে সকলের ভরে যায় প্রাণ।

তুচ্ছ তুচ্ছ রাগ, অভিমান আজ সব ভুলে যাই
কাছের মানুষগুলোকে যেন আরও আপন করে পাই,
অভিমানের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ভালোবাসা ছড়াব আজ
সবাই হব ভালোবাসার মহারাণী-মহারাজ।

নতুনের দিনে সবাই ভালো থাকব বেশ
মিলেমিশে মোরা গড়ব এই দেশ,
আজ থেকে চলো মোরা শপথ করে বলি
আমরা যেন সদা সর্বদা সত্য পথে চলি।

বর্ষ বিদায় ■ বাবুল হাওলাদার

বর্ষ বিদায় মানে— বারো মাস হল শেষ।
বর্ষ বিদায় মানে— শুরু হয়ে গেল নতুন বছরের রেশ।
বর্ষ বিদায় মানে— পুরানো দিনের সবকিছু ভুলে যাই।
বর্ষ বিদায় মানে— পুরাতন ভুলে নতুনের গান গাই ।
বর্ষ বিদায় মানে— নবসূর্যের যেন ঝলমলে আলো ।
বর্ষ বিদায় মানে— মুছে দেব সব অন্ধকারের কালো।
বর্ষ বিদায় মানে— নতুন দিনের কবিতা হয়েছে লেখা।
বর্ষ বিদায় মানে— পুরাতন থেকে নতুনত্বকে শেখা ।
বর্ষ বিদায় মানে— রমণীর আঁকা ছবি।
বর্ষ বিদায় মানে— আমি হব এক ভালোবাসারই কবি।
বর্ষ বিদায় মানে— বন্ধুর সাথে অনেক মাস্তি-মজা ।
বর্ষ বিদায় মানে— নতুন বছর সুন্দর করে বোঝা ।
বর্ষ বিদায় মানে— অপেক্ষা হল শেষ।
বর্ষ বিদায় মানে— ঝলকিত হল দেশ।
বর্ষ বিদায় মানে— জীবনের সব নব নব রূপে সাজা।
বর্ষ বিদায় মানে— জীবনের গান বাজা।
বর্ষ বিদায় মানে— ভালোবাসি নবদিন,
বর্ষ বিদায় মানে— তবু পুরাতন ভুলব না কোনোদিন।

ছিঁড়বে না বন্ধুত্বের বাঁধন ■ বাবুল হাওলাদার

প্রতিটি কথায় বন্ধুদের খুনসুটি
কত আনন্দ-বেদনায় পাশে থাকা,
বন্ধুদের অফুরন্ত উপকার, একসাথে পথচলা
সে দৃশ্যগুলো হৃদয়ের মাঝে আঁকা।
বন্ধু তোরা পাশে ছিলি প্রতিটি রঙময় সময়
ছিলি তোরা পাশে প্রতিটি জ্বালাময় দিন,
আফসোস হয়, ফিরে পাব না সেই সময়
সত্যি বন্ধু তোদের ভুলতে পারব না কোনদিন।
লঞ্চ করে শহর হতে আসার সময় চোখে পড়ে
কলকল নদীর মাধুর্যময় ঢেউ,
মনে পড়ে যায় সেই একসাথে নদীতে সবাই মিলে
হলডুক খেলার কথা, ভুলে যাসনি তো কেউ?
দাড়িবান্ধা, গোল্লাছুট, দৌড়াদৌড়ি কি আনন্দের
মনে পড়ে সেই সেরা সময়গুলোর কথা,
শূন্যতা ছুঁয়ে যায় বুকের ভেতর
বারবার মনে করি লাগে অন্তরে ব্যথা।
বন্ধুত্বের এ বাঁধন ছিড়বে না কভু
এ সুসম্পর্ক নষ্ট হবে না কোনদিন,
তোদের প্রতিটি পাশে থাকা, উপকার, সান্ত্বনা দেয়া
ডায়মন্ড দিয়েও শুধাতে পারব না সেই ঋণ।

মনোলোভা বাংলাদেশ ■ বাবুল হাওলাদার

বাংলা এবং দেশ দু'টি শব্দ মিলে একটি নাম ধারণ করল
নাম তার_ বাংলাদেশ।
এই নামটি মানচিত্রে ঠাঁই দিতে যারা বুকের রক্ত ঝরাল
তাদের অবদান কোনোদিন হবে না শেষ।
কবিতার পাণ্ডুলিপি সুরভীত হয়
কবির অন্তরের অনুভূতি থেকে,
তাই তো বাংলার সৌন্দর্য রংতুলিহীন
মনের মাঝে নিয়েছে এঁকে।
আমার দেশের সোনার মানুষ, সোনালি ধান, সোনালি আঁশ
সোনালি স্বপ্নে আঁকা সোনার বাংলাদেশ,
পাখিদের গুঞ্জন, তপ্ত দুপুরে সবুজ শষ্যের দোলায়মান ক্লান্তির গান
ভোরের শিশির ভেজা দূর্বাঘাসে পা দোলাতে লাগে বেশ ।
দেশের সৌন্দর্যের সাথে মিশে গিয়েছে আবেগ, ভালোবাসা
আমি হারিয়েছি সৌন্দর্যের মাঝে,
তাই তো প্রতিটি নিঃশ্বাসে বাংলার গুঞ্জরিত গান
মনের মাঝে গুনগুন সুরে বাজে ।
সহস্রকোটি বছর দেখে দেখে মুগ্ধ আমি
এই মনোলোভা বাংলাদেশ,
এত দেখার পরেও দেখার অনুভূতি ফুরায় না
দেখার হয় না কভু শেষ ।


প্রিয় শিক্ষালয় ■ বাবুল হাওলাদার

খোকা-খুকি আমরা সবাই শিখতে সর্বদা চাই
তাই তো মোরা শিক্ষালয়ে যাই।
শেখার তরে নাইকো লজ্জা, নাইকো ধর্ম-জাত
সবাই মোরা মিলে-মিশে শিখব দিবারাত।
হব বাংলাদেশের সম্পদ মোরা, দেশকে করব উন্নত
আমরা আছি শিক্ষালয়ে ছাত্রছাত্রী যত।
আমরা শিশু প্রভাত বেলায় দুলিয়ে চলি পা
রাগান্বিত হলে স্যার, মোদের শিহরে উঠে গা।
যখন লগ্ন প্রভাত হয় পার
খুলে দেয় শিক্ষালয়ে শিক্ষারই দ্বার।
শিখবো মোরা এটা মোদের মৌলিক অধিকার
শেখার তরে আমরা সবাই চেষ্টা করি বারবার।
ফুলের মতো সুন্দর মোরা, তুলার মতো নরম
ভয়ে থরথর কাঁপি টিচার যখন করে চোখ গরম।
কুটিকুটি কথা বলি মোরা লাগে সুন্দর বেশ
সোনার সন্তান হয়ে মোরা গড়ব এই দেশ।
মানবসেবায় এগিয়ে যাব, রাখব হাতে হাত
বন্ধু তোমার পাশে থাকব, আসুক যত ভয় করা গভীর রাত।
হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ না খ্রিস্টান জিজ্ঞাসে কেন এ পরিচয়
আমরা সবাই বাংলা মা'র সন্তান, এটাই কি যথেষ্ট নয়?
আমরা সবাই মানুষ, রক্ত সবার লাল
কতজনে জড়িয়ে আছে কত মায়াজাল !
শিক্ষার কোন নাইকো শেষ, মোদের নাইকো সব জানা
ইচ্ছে করে ফুলপরী হয়ে মেলে দিতে ডানা ।
ইচ্ছে করে সোনা পাখি হয়ে উড়ে যেতে বহুদূর
তবেই বুঝি শান্তি হতো মনেতে ভরপুর।
চলো বন্ধু, চলো রে বোন, চলো ওহে ভাই
শিক্ষালয়ে শিখতে মোরা যাই।

ছাত্রছাত্রী ■ বাবুল হাওলাদার

ছাত্রছাত্রী আমরা তাই তো
লেখাপড়া করব,
লেখাপড়া করে মোরা
জীবনটাকে গড়ব।

পড়ার সময় পড়ব মোরা
খেলার সময় খেলব,
সর্ব সময় গুরুজনের
কথামতো চলব।

মা-বাবাকে কষ্ট দিলে
কষ্ট পাবে প্রভু,
মা-বাবাকে তাই তো মোরা
কষ্ট না দেই কভু।

মায়ের কথায় চলব মোরা
সত্য কথা বলব,
অন্ধটাকে মুছে মোরা
আলোটাকে জ্বালব।

অজানাকে জানতে হবে
অদেখাকে দেখা,
তবেই যেন স্বার্থক হবে
মোদের পড়ালেখা ।

ছাত্রছাত্রী আমরা তাই তো
অন্যায় নাহি করব,
অন্যায় হতে দেখলে মোরা
আগুন হয়ে জ্বলব ।

মহাকালের মহান নেতা ■ বাবুল হাওলাদার

তুমি জীবন বাজি রেখে
সারাজীবন করেছ সংগ্রাম,
তুমি তো গেয়েছ মুক্তির গান
মুক্তির তরে দিয়েছ তোমার জীবনটা বলিদান
হে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বিশ্ব মাঝে ছড়িয়ে আছে তব নাম
গড়ে গিয়েছ সোনার এই দেশ
তোমার গুণের মোরা গাই যে গান
হে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তোমায় নিয়ে লিখে শতশত কবি
শতশত কবিতা আর গান
এই বাংলায় অশেষ তোমার অবদান
হে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মানবসেবা করেছ তুমি
নিজের জীবন বাজি রেখেছ রক্ষা করতে ভূমি
শত বছরের শত বাধা পেরিয়ে
গণমঞ্চে বিদ্রোহী হয়ে দাঁড়িয়ে
নির্ভীক হয়ে উচ্চার করেছিলে-
“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।'
সেই উচ্চারণে সেদিন
ফুলে উঠেছিল সাগরের ঢেউ
দোলায়মান হয়েছিল মাঠের ফসল
গাছগুলো সেদিন দিয়েছিল ছায়া,
বাংলার মানুষ যুদ্ধে গিয়েছিল
ছেড়ে দিয়ে পরিবারের মায়া।
তোমার সাথে সাথে বাঙালি
গেয়েছিল মুক্তির গান
হে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
নয় মাস যুদ্ধে হল ত্রিশ লক্ষ শহিদ
তাতে রক্ত ঝড়েছে বেশ
রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছি এই সোনার বাংলাদেশ।
সোনার কৃষক, জেলে, তাঁতি
সবার মুখে হাসি ফুটেছে বেশ।
স্বাধীনতা পেয়ে সবে গাইছে মনের সুখে গান
সে তো তোমারই অবদান
হে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আজ আমরা পেয়েছি মুক্তি
পেয়েছি স্বাধীনতা, পেয়েছি অধিকার
পারি মোরা স্বাধীনভাবে চলতে, কথা বলতে
সে তো তোমারই অবদান
হে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
করে নিয়েছি মোরা মানচিত্রে স্থান
লিখিয়েছি বাংলার নাম
পেয়েছি লাল-সবুজের একটি স্বাধীনতার প্রতীক। সবুজ সে তো বাংলার সুজলা-সুফলা শষ্য শ্যামলের ভূমি
আর লাল সে তো শহিদের বুকের তাজা লাল রক্ত।
উড়ছে পতাকা প্রতিনিয়ত বাংলার ঘরে ঘরে
অফুরন্ত শুভেচ্ছা তোমায়
তুমি গড়ে গিয়েছ এই সোনার বাংলাদেশ।
গাই তোমার নামের জয়গান
হে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।



এই একুশ সেই একুশ ■ বাবুল হাওলাদার

এই একুশ সেই একুশ, রক্তঝরা একুশ
রফিক, শফিক, জব্বারের রক্তমাখা শোকাহত একুশ।
দুরন্ত মনে নির্ভীক হয়ে চলেছিল সেদিন এগিয়ে
রাষ্ট্র ভাষা বাংলা হবে, আনব এবার ছিনিয়ে
মায়ের ভাষা, বোনের ভাষা যায় না যেন হারিয়ে।
এই একুশ সেই একুশ, ৫২'র রক্তঝরা একুশ।
ভেঙেছে ওরা বাংলার স্বপ্ন, আশা
কেড়েও নিতে চায় বাংলা ভাষা ।
তাই বাংলার নওজোয়ানেরা দিয়েছে জীবন হেসে হেসে
এই বাংলা, ভাষা, মাটি, মা'কে ভালোবেসে ।
এই একুশ সেই একুশ,
বাংলা ভাষা ফিরিয়ে আনা একুশ, সোনালি স্বপ্নের একুশ।
বাঙালির সুখ-শান্তি কেড়ে নিয়েছে, শুধু দুঃখ-কষ্ট-বেদনা দিয়েছে।
নবপ্রজন্মের মানবেরা দেখ ইতিহাসের পাতায়
তেজি বাঙালি কেমনে এনেছিল বিজয়?
এই একুশ সেই একুশ-রক্তঝরা একুশ।
এই ভাষা সেই ভাষা,
রক্তের বিনিময়ে পাওয়া ভাষা।
এই ভাষা সেই ভাষা গানের ভাষা।
এই ভাষা সেই ভাষা ছন্দ-কবিতার ভাষা ।
এই ভাষা সেই ভাষা
আমার তোমার মায়ের ভাষা।
এই ভাষা বাঙালি বড্ড ভালোবাসি
এই ভাষা বাঙালির মুখের ফুটফুটে হাসি....।


নতুনের আহ্বান ■ বাবুল হাওলাদার

নতুন দিনের সূর্য পাখি নতুন গান গায়
নতুন এ প্রজন্মকে নতুন সুরে মাতায়।
নতুন কিছু নিয়ে এল শুধু আপনার লাগি নয়
ভবখানিকে নতুন করে সে করবে নাকি জয়।
বুকে বড় আশা পারবে সে তাই ধরল বিদ্রোহী গান
শত্রুর কবলে পরেও সে দিতে রাজি জান।
সাহসী হে তোমায় আমি জানাই সম্ভাষণ
জয় করে নেবে তুমি দেখ নববিদ্রোহীর আসন ।
পুরোনো সব ভুলে নবরূপে গড়ার আশা তোমার আছে
দেখ শত্রুরা সব দমে যাবে পড়ে রবে পাছে।

মহাবিদ্রোহী বীর ■ বাবুল হাওলাদার

তুমি ঝরে পড়া গাছের নতুন গজানো পাতা
তুমি আমার ডায়েরি, কবিতার খাতা।
তুমি নিৰ্ভীক মঞ্চ কাঁপানো মহাবাণী
তুমি আমার খুব আদরের ফুলদানী।
তুমি বাগানে ফুটে থাকা সেরা ফুলটি
তুমি ঐ ছোট্ট খুকির হাসিমাখা কর্ণের দুলটি।
তুমি মানুষের মনে ঝড় তোলা এক ছবি
তুমি মুক্তির মন্ত্র বলা কবি ।
তুমি হালছাড়া ঐ তরীর মাঝি
তুমি তো মুক্তির তরে ধরেছ জীবন বাজি।
তুমি সবুজের বুকে আঁকা রক্তাক্ত লাল বৃত্ত
তুমি খোকা-খুকির আনন্দ মাতানো নৃত্য।
তুমি সোনালি শষ্যের দোল খাওয়া বাতাস
তুমি সুদূর দৃশ্যে তাকিয়ে থাকা আকাশ।
তুমি ঘুমন্তদের অতন্দ্র প্রহরী
তুমি রাখালের উন্মুক্ত সুরের বাঁশরী ।
তুমি মহাবিশ্বের মহাবিদ্রোহী বীর
তুমি দেশের কাজে সর্বদা থেকেছ অধীর।
তুমি মঞ্চ কাঁপানো সুরসৈনিক বিদ্রোহী বীর
তুমি করোনি নত উঁচু রেখেছ শির ।
তুমি ঝড়ে চুরমার করা শনশন বায়ু ত্যাজে ভরা
তুমি চমকানো বৈদ্যুতিক শক, তুমি অমর, ভয় শত্রুর
ভালোবাসার স্নিগ্ধ হাওয়ায় মিশে আছ বসুন্ধরা।
তুমি অশান্ত সমুদ্রের উর্মিমালা
তুমি জ্বালিয়েছ শত্রু বুকে বহ্নিজ্বালা ।
তুমি কল্পনিত উপন্যাসের শক্তিশালী নায়ক
তুমি স্বাধীনতা গানে নামকরা গায়ক।
তুমি নজরুলের রুদ্রকণ্ঠে বলা- শালা এ দেশ
ছাড়বি কি না বল?
না ছাড়িলে কিলের চোটে হাড় করিব জল। বলার মতো সাহসী বীর
তুমি দেশের কাজে কখনো থাকনি স্থির ।


কবির অমর কবিতা ■ বাবুল হাওলাদার

কবিতা কবিতা কবিতা !
লেখা হবে দু'চার লাইন ।
হয়তো বা সুখের, নয়তো বা দুঃখের ।
হয়তো আনন্দের, নয়তো বেদনার।
মনের মাধুর্য দিয়ে লিখল কবিতা কবি!
আর এঁকে নিল হৃদয়ে পূর্ণতার ছবি।
কবি সুখের ভাগ দিয়ে দিল তাড়াতাড়ি
কিন্তু দুঃখের ভাগ দিতে করে একটু দেরি।
নির্জনে বসে লিখে গেল তার মনের যত কথা
না জানি তার মনে আছে কত দুঃখ, জ্বালা, ব্যথা ।
তবুও কবি কবিতা লিখে এই মানবের জন্য
কবি মানবকে কিছু দিতে পারলেই মনে করবে সে ধন্য।
শুধালো একজন— তুমি ভালোবাস কারে?
উত্তর এল- 'কবিতা'।
তার পরই একটি কবিতা পড়া হল
“কবিতা কবির ভালোবাসা,
কবিতা কবির স্বপ্ন-আশা ।
কবিতা কবির সুরভিত ছন্দ,
ভালোবাসায় আছে সৃজনতার গন্ধ।
এই কবিতা কবির প্রেম,
কবির মনের আশা-ভরসা
কবি তাই করেছে বরণ,
কবিতাই কবির জীবন-মরণ।”
প্রতিটি মুহূর্ত চলে কবির ভাবনায় ভাবনায়
সুখে হাসে আর কাঁদে দুঃখের তাড়নায়।
কবির দু'টি চোখে যখন অশ্রু ঝরে
হাজারো দুঃখের ছন্দগুলো তখন যায় মনে পড়ে।
নিরালায় বসে কবি ভাবে
সকাল-সন্ধ্যা কেটে যায় ভেবে ভেবে।
বসে বসে কি যেন ভাবছে...
তাই দেখে একজন শুধালো আবার 'কী ভাবছ কবি? কী চাও তুমি?'
কবি বলে, 'ভাবছি মোর কবিতা নিয়ে।
মোর কবিতা যদি মানবের কল্যাণ করে
তবেই তো শান্তি পাব আমি মরে।
কবি চায় ছন্দ, কবি চায় শ্রুতিমধুর শব্দ
কবি চায় গান, কবি চায় কবিতা
কবি চায় করতে শব্দের চাষ
কবি চায় বুনতে কবিতার বীজ
কবি চায় মানবতার জীবন
কবি হতে চায় অমর।
হাজারো কবির এ চাওয়া তাদের মতো আমারও
না জানি হবে কি না পাওয়া?
পৃথিবীতে এসে চেয়েছি একটু ভালোবাসা পেতে পেয়েছি অনেক তোমাদের কাছে।
তোমাদের কথা ভেবে ভেবে লিখেছি ক'টা কবিতা সময় পেলে একটু উল্টিয়ে দেখ
ভালো আমায় বাসো আর নাই বাসো
তোমাদের কাছে জোর দাবি মোর
আমার কবিতাকে ভালোবেসো।

বিদ্রোহী কবি ■ বাবুল হাওলাদার

কাজী নজরুল ইসলাম তুমি সবার সেরা কবি
তাই তো মোরা তোমায় নিয়ে আঁকি নানান ছবি। প্রতিবাদে তোমার মাথা ছিল অনেক উঁচু
তোমার চোখে সবাই সমান, নয়তো কেহ নিচু।
হিন্দু-মুসলিম সবাই মানুষ, গাইলে তুমি সে গান
জীবন-য -যুদ্ধে লড়লে একাই, রাখলে দেশের সম্মান।
দুখের কবি, প্রেমের কবি-সালাম তোমায় শত
তোমার মতোই লিখে যাব আমি অবিরত।
বাংলা ভাষা ধন্য হল তোমার কাব্যের জন্য
হে বিদ্রোহী, তোমার তরে হলাম মোরা ধন্য।


সেই ছোট্ট শিশুটি ■ বাবুল হাওলাদার

১.
সেই ছোট্ট শিশুটি—
জন্মের পরে হামাগুড়ি দিতে দিতে
আজ এত বড় হয়েছে।
সেই ছোট্ট শিশুটি—
দোলনায় দোল খেতে খেতে
আজ কত বড় হয়েছে!
অ-আ, ক-খ, ১-২ পড়তে পড়তে
দেখ আজ সে কত বড় হয়েছে।
সেই ছোট্ট শিশুটি—
মায়ের মুখে ঘুম পাড়ানি
গান শুনতে-শুনতে
আজ সে কত বড় হয়েছে।
সেই ছোট্ট শিশুটি—
নানা-নানির কাছে গল্প শুনতে-শুনতে
সে আজ কত বড় হয়েছে।
সেই ছোট্ট শিশুটি—
যে নাকি চক দিয়ে শ্রেটে
লিখে লিখে, মুছে-মুছে
আজ এত বড় হয়েছে।
সেই ছোট্ট শিশুটি—
যে নাকি আম-জাম কুড়িয়ে কুড়িয়ে
আজ এত বড় হয়েছে।
২.
সেই ছোট্ট শিশুটি—
যে প্রাথমিক শিক্ষার
প্রথম সিঁড়িতে পা দিয়েছে।
নাজমা স. প্রা. বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে।
সেই ছোট্ট শিশুটি—
যার ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম শ্রেণি পাশ করে
একটি সার্টিফিকেট অর্জিত হয়েছে।
৩.
সেই ছোট্ট শিশুটি—
মাধ্যমিক শিক্ষার প্রথম স্তরে পা দিয়েছে,
দত্তপাড়া টি. এন. একাডেমিতে ভর্তি হয়েছে।
সেই ছোট্ট শিশুটি—
অনেককিছুই জানত না
অনেককিছুই বুঝত না
আজ সে অনেকটাই বুঝমান হয়েছে।
সেই ছোট্ট শিশুটি—
৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম শ্রেণি পাশ করে।
আরেকটি সার্টিফিকেট অর্জিত হয়েছে।
সে কবি হয়েছে। সে কবিতা লিখতে শিখেছে।
সেই ছোট্ট শিশুটি—
সে ৯ম শ্রেণিতে পদার্পন করেছে।
সে ভালোবাসতে শিখেছে
তার ভেতরে এখন আবেগ প্রবর্ণিত হয়েছে,
সে এখন আবেগে পথ চলে, সে প্রেমিক হয়েছে।
সেই ছোট্ট শিশুটি—
১০ম শ্রেণি পাশ করে
আরেকটি সার্টিফিকেট তার অর্জিত হয়েছে।
8.
সেই ছোট্ট শিশুটি—
এসএসসি পাশ করে
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজে
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে।
সে অভিনেতা হয়েছে, অভিনয় করতে শিখেছে।
সেই ছোট্ট শিশুটি—
আনন্দ-বেদনার গান শিখেছে।
অনেক প্রতিভাবান হয়েছে।
সেই ছোট্ট শিশুটি—
যে নাকি অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে।
সেই ছোট্ট শিশুটি—
যার ভেতরে কল্পনা বিরাজমান
যার ভেতরে বাস্তবতার চেয়ে
কল্পনাই বেশি কাজ করে।
সেই ছোট্ট শিশুটি—
যে অনেককিছুই বলতে শিখেছে
অনেককিছুই লিখতে শিখেছে
অনেককিছুই ভাবতে শিখেছে।
সেই ছোট্ট শিশুটি—
এইচএসসি পাশ করে তার
আরেকটি সার্টিফিকেট অর্জিত হয়েছে।
৫.
সেই ছোট্ট শিশুটি—
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্সে ভর্তি হয়েছে
সরকারি রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ফরিদপুর। বাকিটা লেখাপড়া এখান থেকেই করতে চায় শেষ নিজেকে গড়তে চায়, গড়তে চায় দেশ।
৬.
সেই ছোট্ট শিশুটি—
আমি বাবুল হাওলাদার
সবার দোয়াপ্রার্থী, আমি কবি তোমাদের জন্য
ভালোবাসা দিয়েছ, আমায় করেছ ধন্য।
হয়তো আমি হারিয়ে যাব স্মৃতিগুলো রেখে
কোনো একদিন সেই স্মৃতির পাতা বলবে তোমাদের
ধন্য মোরা ধন্য তারই জন্য।
৭.
সেই ছোট্ট শিশুটি—
আমি গুরুজনদের প্রেম ভিখারি।
এই সোনার বাংলাদেশের
একজন সোনার সন্তান হব
এই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি।
সেই ছোট্ট শিশুটি—
লিখেছে ক'টা কবিতা তোমাদের জন্য
আমার এই কবিতা পড়লে হব আমি ধন্য।

মায়াবী সে মেয়ে ■ বাবুল হাওলাদার

দেখেছি প্রথম সেদিন তোমায়
কলেজে এসে,
পরিচয় দিয়েছিলে তুমি
শুধু একটু হেসে।

তোমার সেদিনের হাসি যেন ছিল
স্বপ্নের মহারাণীর মত,
মুহূর্তের ভেতর মুছে গেল
মনের দুঃখ যত।

এসে ক্লাসে তুমি বসেছিলে
একটু পাশে,
সেই দৃশ্যটা এখনো
দু'চোখের পাতায় ভাসে।

কিছুক্ষণের জন্য তাকিয়েছি
আমি তোমারই পানে,
ততক্ষণে আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম
এক স্বপ্নেরই ভুবনে ।

সেদিন দেখেছিলাম তোমার
দু'চোখে নতুন এক ছবি,
হয়তো সেদিনই উদিত হয়েছিল
প্রেমের নতুন এক রবি।

দেখেছিলাম দু'চোখে তোমার
বিশালতার ছায়া,
তোমার প্রতি আমার সৃজিত
হয়েছে গভীর মায়া।


মায়াবিনী হে ললিতা ■ বাবুল হাওলাদার

মায়াবিনী হে ললিতা
তোমায় কত নামে ডাকি,
তবরূপ ছবিখানি
মাধুর্য রূপে আঁকি।

তুমি যে এক মায়াবিনী
সুন্দরের প্রতিচ্ছবি,
একেলা মনে তব কবিতা
লিখছি আমি কবি।

মায়াবিনী হে ললিতা
মিষ্টি তব কথা,
হারিয়ে যায় হৃদয় হতে
শতশত ব্যথা।

আঁখিদ্বয় কাজল কালো, যেন দু'টি পাতায়
মেশানো রাতের গভীর কালো,
তাই তো হে মায়াবিনী তোমায়
লাগে এত ভালো।

তব মাথায় চুলগুলো দোলায়
যেন দক্ষিণা বাতাসে ধান্য পাতার মতো,
শাপলা, গোলাপ, রজনী উপমা দেব কীসে?
সবই তব পানে হবে নত।

দেখলে তোমায় হতে আঁখিদ্বয়
মোর দৃষ্টি সরে না,
তব মতো এরূপ মায়াবিনী রমণী
হয়তো কোথাও পাব না।


বন্ধুর হাসি ■ কবি বাবুল হাওলাদার

বন্ধু তোমার মুখে থাকুক
মধুমাখা হাসি
যেমন হাসে কুসুমবাগে
পুষ্প রাশি রাশি।
তোমার চোখে মুক্তা ঝরে
চাঁদের হাসি হেসে,
ঝরে যেন রাতের আঁধার
তোমার কালো কেশে।
বন্ধু তোমার সুন্দর কথা
লাগে অনেক ভালো,
অনেক বড় হয়ে তুমি
ছড়িয়ে দিও আলো।

মম নিকুঞ্জের গুঞ্জরিত কাব্য ■ বাবুল হাওলাদার

মম জীবনের একটি রচিত গান
যে গানে আজও দিতে পারিনি সুর,
কত যে পথচলা মোর রয়েছে বাকি, যাদের কাছে
জোর দাবি পথ দেখাবে তারাই করে দূর দূর !
মম নিকুঞ্জের গুঞ্জরিত কাব্য লিখে যাই
ডায়েরির পাতা ভরি,
মূল্যহীনতায় কাটিয়ে যাই দিন
তবুও নন্দিত কাব্য রচনা করি।
সঙ্গিহীন আমি চলি আমার পথ
আমি একেলা,
বুঝতেই পারি না প্রভু কেন
মোর সাথে খেলে শূন্যতার খেলা।
নব আনন্দিত বার্তা শোনার অপেক্ষায়
আমার কাটে দিবারাত,
মম কাব্য সাম্য যেন সবার তরে
নাই কোনো ভিন্ন জাত ।

মুসলিম আমি ■ বাবুল হাওলাদার

মুসলিম আমি আল্লাহ-নবির পথে চলি
মুসলিম আমি সর্বদা সত্য কথা বলি।
মুসলিম আমি আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে আজান হাঁকি
মুসলিম আমি সবাইকে আল্লাহর পথে ডাকি।
মুসলিম আমি সর্বদা নামাজ পড়ি
মুসলিম আমি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি।
মুসলিম আমি আল্লাহু আল্লাহু জিকিরে থাকি মশগুল
মুসলিম আমি সুবাসিত করি মুহাম্মদ নামের ফুল ।
মুসলিম আমি শুনি কোরআনের মধুর বাণী
মুসলিম আমি শুনি নবি-রাসূলদের কাহিনি।
মুসলিম আমি করি আল্লাহর পথে জিহাদ
মুসলিম আমি করি অন্যায়ের প্রতিবাদ।
মুসলিম আমি, আল্লাহ দিয়েছে মোরে আহার
মুসলিম আমি স্মরণ করি আল্লাহকে বারবার।
মুসলিম আমি ভয় করি ঐ কবর নামের ঘর
মুসলিম আমি, প্রিয় জায়গা মোর মসজিদ ঘর।
মুসলিম আমি কোরআনের পথে জীবনটাকে গড়ি
মুসলিম আমি মরণ কালে যেন কালেমা পড়ে মরি ।
মুসলিম আমি বিপদে আল্লাহকে ডাকি
মুসলিম আমি জীবনের বাকিটা সময় দিতে চাই না ফাঁকি ।
মুসলিম আমি আল্লাহ-রাসূল নামের পুষ্প ফোটাই
মুসলিম আমি আল্লাহর নামে মম মাথা লুটাই।
মুসলিম আমি আল্লাহ নামের গান গাই
মুসলিম আমি উচিৎ শিক্ষা দেই যারা শয়তানের ভাই।

ভালোবাসা অতঃপর ■ বাবুল হাওলাদার

সমুদ্রে ঝড়ো হাওয়ার মতো আমার হৃদয়ে
তোমার ভালোবাসার ঢেউ বয়ে চলে,
প্রতিটি মুহূর্ত তোমাকে কাছে পাওয়ার প্রবল উত্তেজনা
হৃদয় তোমার কথাই বলে।
ইচ্ছে হয় শত কষ্ট, শত সংগ্রাম করে হলেও
বারবার শুধু তোমার কাছেই ফিরে আসি,
ইচ্ছে হয় সহস্রকোটি বছর তোমাকে নিয়ে
মহাসমুদ্রে গন্তব্যহীন তরিতে ভাসি।

আমার অনুভূতির আঙিনা তোমাকে নিয়ে
সহস্রকোটি আল্পনা দিয়ে আঁকা,
একটা মুহূর্ত আড়াল হলে বুঝি
কতটা মানসিক যন্ত্রণা পোহাতে হয় তুমিহীন থাকা।
সহস্রকোটি বছর পার হয়ে যায় আমার
চেয়ে তোমার ঐ মায়াবী দু'টি চোখে,
আরও সহস্র সহস্রকোটি বছর বাঁচতে ইচ্ছে জাগে
প্রেয়সী তোমায় দেখে দেখে।

শুধু মিলনে কি ভালোবাসা হয়?
না, ভালোবাসা যে দু'টি হৃদয়ের বন্ধন,
মিলনেই যদি ভালোবাসা হত তবে
নতুনকে বরণ না করে পুরানের তরে কেন এত ক্রন্দন।
তোমার নামে প্রভাতে সূর্য ওঠে
দুপুর কাটে, সন্ধ্যা নামে আকাশ পানে,
তোমায় নিয়ে অনুভূতিগুলো সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো
কেমন খেলা করে বিধাতাই ভালো জানে।

তোমার উদাত্ত ভালোবাসা পেতে
আমার আকাশ চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে,
তার চোখে নিদ্রা নেই, জাগ্ৰত স্বপ্ন
আকুল প্রার্থনা করে তোমায় পেতে কাছে।
যদি তোমার ঐ উদাত্ত হৃদয়ের ভালোবাসা পাই
তাহলে আমি অমর হব,
পুষ্পের মতো করে তোমাকে ভালোবাসা দিয়ে
আমি নিজেকে চিরতরে বিলিয়ে দেব।

বলো না ওগো প্রেয়সী, তুমি কি আমার 'তুমি' হবে ?
তুমি কি হবে আমার মিতা?
তোমার থেকে পাওয়া ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র অনুভূতিগুলো
আমার এক একটা ক্ষুধার্ত কবিতা।
ক্ষুধার্ত হায়নারা যেমন রক্ত খাওয়ার প্রবল উত্তেজনায়
ছটফট করতে থাকে,
তেমনি আমার ভালোবাসারা প্রতি মুহূর্তে
তোমার ভালোবাসার ছবি আঁকে।

তোমার সাথে কাটানো আমার প্রতিটি সময়
যেন এক একটা জান্নাত,
তুমিহীন প্রতিটি মুহূর্তে মনে হয়েছে আমার
কাটাচ্ছি আমি যাযাবর রাত।
তোমাকে উৎসর্গ করলাম নির্ঘুমে কাটা রাত্রির ভাবনা
চোখের জল, সব স্বপ্ন-আশা,
উৎসর্গ করলাম হৃদয়ের সব 'ভালোবাসা অতঃপর'
ভালোবাসা অতঃপর ভালোবাসা।

চাষি ■ বাবুল হাওলাদার

সারাদিন বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে
ফসল ফলাই ক্ষেতে আমি সাধারণ চাষি।
আমার দেশের সোনার মাটিতে সোনার ফসল ফলে
তাই তো দেশকে বড্ড ভালোবাসি।
দু'বেলা দু'টো ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচি
জীবনে মিশে আছে সুখ-দুঃখ, আনন্দ-হাসি।
বায়ান্ন-একাত্তরে সোনার সন্তানেরা
জীবন দিয়ে দেশ করেছে মুক্ত,
তাই তো তাদের বড্ড ভালোবাসি।
শরতের সময়ে সোনালি ধান ঘরে আসে
গোলা ভরা ধান যেন মনে আনন্দ দেয় রাশিরাশি।
সবুজ-শ্যামলে ভরা অসম্ভব সুন্দর আমার
এ দেশকে বড্ড ভালোবাসি।

বর্ষা মৌসুম ■ বাবুল হাওলাদার

ফুটল কদম, ফুটল কেয়া
ফুটল মুখে হাসি,
কদম-কেয়ার সুবাস মধুর
অনেক ভালোবাসি ।
রিনিঝিনি বাদল পড়ে
বর্ষা এল ফিরে,
কত স্মৃতি পড়ে মনে
বর্ষা মৌসুম ঘিরে।
বিলে-ঝিলে শাপলা ফোটে
বড্ড হাসি হেসে,
মাঝে মাঝে মেঘকন্যা
চিলের ডানায় ভাসে।
আকাশ পানে মাঝে মাঝে
দেখি সূর্যের হাসি,
বৃষ্টি মাঝে ফুটবল খেলতে
বড্ড ভালোবাসি।

পথহারা পাখি ■ বাবুল হাওলাদার

বহুবছর আমি ভালোবাসার পথে হেঁটেছি,
ভালোবাসার বেদনায় কেঁদেছি
আর আনন্দে খুব মেতেছি।
ভালোবাসার দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া
সবার পক্ষে সম্ভব নয়,
কারো জীবনে হয় ভালোবাসার জয়
কারো জীবনে হয় শুধুই পরাজয়।
যারে বড় বেশি আপন করে পেতে চেয়েছি,
তার কাছ থেকে উপহার স্বরূপশুধু দুঃখ পেয়েছি।
চোখের জলে হয়তো আমারকাটবে বাকি দিন,
তবুও বলে যাই ওগো প্রেয়সী
মনে পড়বে আমায় একদিন।
আমি যে এক পথহারা পাখি
আমার মনের দুঃখগুলো কোথায় বল রাখি?

শিশু ■ বাবুল হাওলাদার

হাসলে শিশু হাসে ঐ আকাশ
আর কাঁদলে স্তব্ধ হয়ে যায় বাতাস।
শিশু বড় হবে, হবে নতুন দিনের সূর্য
বিদ্রোহী হয়ে অন্যায়কে করবে তূর্য।
আজকের শিশুটি আগামী দিনে গাইবে জয়গান
বড় হয়ে এই শিশুটি রাখবে দেশের মান।

বিদায় ■ বাবুল হাওলাদার

একদিন এই পৃথিবীতে এসেছি
কত আনন্দ-বেদনার জলে ভেসেছি।
রাত্রিবেলায় যখনই চোখ বুজি
যেন নতুন নতুন স্বপ্ন খুঁজি।
যখনি আবার প্রেসান হয়।
কখন এই পৃথিবী ছেড়ে নেব বিদায়
মনে মনে ভয় হয়।
কল্পনা প্রভুত এই স্বপ্নের দেশে
ঘুরি আমি পাগল বেশে।
আশায় আশায় দিন চলে যায়
ডাক আসলে নাইকো থাকার উপায়।
কবে যে সুন্দর একটা আশ্বাস পাব
এমনি ভাবতে ভাবতে হয়তো
এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব ।

প্রতিদিনের মতো ■ বাবুল হাওলাদার

আজও ভাবছি তোমায় আমি
সেই প্রতিদিনের মতো,
তুমি তো জানো না প্রিয় ওগো
ভালোবেসেছি তোমায় কত !
তোমায় নিয়ে এই বুকে আশা
মোর ঘর বাঁধার,
তুমি পাশে না থাকলে ওগো
মনে হয় দুনিয়াটাই মোর আঁধার।

শহর ■ বাবুল হাওলাদার

মানুষ নামের অনেক পশু
থাকে শহর জুড়ে,
পাই না খুঁজে মানুষ তেমন
অমানুষের ভিড়ে।
চুরি-ছিনতাই, মারামারি
দিবা-নিশি চলে,
প্রতারিত হয় যে মানুষ
শত ছলেবলে।
গাড়ির শব্দ, টিভির শব্দ
ঘুম আসে না চোখে,
শহরে না থাকি যারা
আছি অনেক সুখে।

মম মনরাজ্যের রাজরাণী ■ বাবুল হাওলাদার

তব টলমলে ঐ চোখে
যেন ভাসে মায়াবিনী খেলা,
অজানা আবেগে আমার
ভেবে ভেবে কেটে যায় বেলা ।
তব চঞ্চপুটে হাসির রেখা ওগো
মম দুঃখ ভোলাবে শত,
মম আঁখিদয় তব মন গলানো
হাসির তরে হবে নত ।
ওগো প্রেয়সী তোমার মুখে
সর্বদা ফুটে যেন মধুরতার বাণী,
মম আঁখি হায়, বলে তোমায়
তুমি যেন মম মনরাজ্যের রাজরাণী।

চাঁদের হাসি ■ বাবুল হাওলাদার

জ্যোৎস্না রাতে দেখেছি আমি
কেমন করে হাসে ঐ চাঁদ,
চাঁদেরও কলঙ্ক আছে বলে মানুষ
আমার কাছে মনে হয় মিথ্যা এই অপবাদ। আলো-আঁধারে ঘেরা এ ধরা
রাতে আকাশ ভরা তারা,
মহাপৃথিবীর সুন্দর সৃষ্টিগুলো
আমায় করল পাগল পারা।

সৃষ্টিকর্তা ■ বাবুল হাওলাদার

তোমায় সৃষ্টি করেছে যে
বেশি যপ তার নাম,
যতই যপবে ততই তুমি
পাবে যে আছান ।
যারাই খাস মনে ডেকেছে
প্রভু নাম ধরে,
তারাই অমর হয়েছে
জনম জনমের তরে।


বোরখা ■ বাবুল হাওলাদার

একটি বোরখা সে দাম তো বেশি নয়
বোরখা পড়লে বল কী এমন ক্ষতি হয়?
ওহে বোন পড় বোরখা নিজেকে রাখ ঢেকে
কোরআনের সংবিধান হৃদয়ে রাখ এঁকে।
তব রূপ-লাবণ্য দেখে দেখে বোন
কতজনে নরকের পথ গড়ছে এখন।
তব রূপ কেন দেখবে মানুষ তুমি নয় বাজারের পণ্য
তব রূপ যত রাখবে ঢেকে তত হবে তুমি ধন্য ।

ইসলাম ■ বাবুল হাওলাদার

ইসলাম আমার জীবন-মরণ
ইসলাম আমার আশা,
ইসলাম আমার জীবন আলো
ইসলাম ভালোবাসা।
ইসলাম আমার পথের দিশা
ইসলামের পথে হাঁটি,
ইসলাম আমার মনে বাজে
ইসলাম শীতলপাটি।
ইসলাম আমার বসতবাড়ি
ইসলাম আমার আলো,
ইসলাম আমার মনের খোরাক
ইসলাম বাসি ভালো।
ইসলাম আমার সকাল-সন্ধ্যা
ইসলাম হৃদয় জুড়ে,
ইসলাম আমার মনের ভেতর
গানের মতোই বাজে।

আহ্বান ■ বাবুল হাওলাদার

আমার স্বাধীন বাংলাদেশেতে
স্বাধীনতা আর নাইরে ভাই,
মুক্ত পাখির মতো উড়তে গেলে
বাঁধন পরে পায়, স্বাধীনতা নাই ।
মহামারী হিংসায় ছেয়ে গেছে দেশ
মনেতে সুখের ছোঁয়া নাই
এই হলো কি আমার দেশেরস্বাধীনতা ভাই?
সুখের তরে রক্ত গেল কত !
জীবন গেল কত স্বাধীনতা স্বাধীনতা করে!
কত পুষ্প ফুটবে বাগে, ফোটার আগেই গেল ঝরে। আহ্বান মোর গড়ে তোল এই দেশকে
একটি আদর্শ সোনার দেশ,
মাথা উঁচিয়ে থাকতে পারে যেন আমার বাংলাদেশ।

আমি বিদ্রোহী ■ বাবুল হাওলাদার

জাহান্নামের আগুন আমি, সব অন্যায় পুড়িয়ে করি ছাই
কবি আমি বিদ্রোহী, বিদ্রোহের গান গাই।
নিয়েছি আমি কলম হাতে লিখে যাই অগ্নির লেখা
তাদের গান গাই যাদের দু'চোখে অশ্রুর রেখা।
আমি রক্তাক্ত সূর্যের প্রথম আলো ছড়াই ঘরে ঘরে
বিদ্রোহী হাঁক হেঁকে রণভূমে যাই, শত্রুরা কাঁপে থরথরে।
আমি কৃষক, শ্রমিক, জেলে, তাঁতী, আমি ছাত্রদল আমি চির বহমান নদী, অবিরাম চলি ছলছল।
বিদ্রোহী গানে দিয়েছি সুর, আমি বিদ্রোহী রাঙা প্রভাত
প্রতিবাদী আমি, বিদ্রোহী আমি সম্মুখ পানে করেছি আঘাত।

নিশান ■ বাবুল হাওলাদার

দেখ স্বাধীন বাংলার নিশান
সবুজের বুকে লাল উড়ছে ভীষণ।
যে নিশানটি আজ পেয়েছি মোরা
সেটি লাখ শহিদের রক্তে গড়া।
মুছে ফেলল মাথার সিঁদুর যে নারী
হারিয়ে তার নরকে
বাঙালি আছে যতদিন
উচ্চারিত হবে এই বীর সেনাদেরকে।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ফিরে পাওয়া
এই স্বাধীন সোনার বাংলা।
বাঙালি পায়নি ভয়
তাই বাংলাকে করেছে জয়।
এই বাংলায় দেখি সুন্দর সুন্দর ভূমি
স্বর্ণের চেয়ে দামি মাটি দিয়ে গড়া বাংলার জমি।

আমার গল্প ■ কবি বাবুল হাওলাদার

আমি আমার কথা বলি
আমি আমার পথে চলি ।
আমি আমার স্বপ্ন দেখি
আমি আমার কথা লেখি ।
আমি আমার জীবনকে বলি
তুমি কেন এমন পাষাণময়
রক্ষা কর মোরে হে দয়াময়।

দয়াময় ■ বাবুল হাওলাদার

তোমার দয়ায় বেঁচে আছি
দয়ার সাগর প্রভু,
তোমার দয়া আমরা যেন
ভুলে না যাই কভু।
তোমার কাছে চাই যে মোরা
চাওয়ার যত আছে,
তুমি যদি না দাও প্রভু
চাইব কারই কাছে।
তোমায় ডাকি কষ্ট মাঝে
মোরে কর ক্ষমা,
তোমার কাছে আছে প্ৰভু
আমলনামা জমা ।
যেন অন্যায় নাহি করি
যত আসুক অভাব,
ভালো যেন রাখতে পারি
আমার আপন স্বভাব।
মরার আগে প্রভু যেন
কলমা পড়তে পারি,
কভু যেন আমি প্রভু
ঈমান নাহি ছাড়ি।

ইচ্ছে করে ■ বাবুল হাওলাদার

আবার আমার ইচ্ছে করে বিদ্যালয়ে যেতে
ইচ্ছে করে বন্ধুর টিফিন থেকে টিফিন খেতে।
ইচ্ছে করে বৃষ্টির মাঝে ভিজে ফুটবল খেলতে
ইচ্ছে করে আবার নতুন স্বপ্নের ডানা মেলতে ।
স্কুল লাইফে আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে
চোখে কেমন নতুন নতুন রঙিন স্বপ্ন ধরে।
ইচ্ছে করে হইহুল্লরে মেতে উঠি আবার
ইচ্ছে করে রঙিন সেইদিন ফিরে পেতে আবার।
ইচ্ছে করে দৌড়াদৌড়ি লাফালাফি করতে
ইচ্ছে করে বর্ষাকালে কলার ভেলায় চড়তে।

কিশোর-কিশোরী ■ বাবুল হাওলাদার

কিশোর-কিশোরী আমরা সবাই
বলব সত্য কথা,
জেনেশুনে কাউকে দেব না
দুঃখ-কষ্ট-ব্যথা।
সর্বসময় সত্য পথের
আলোর পথিক হব,
অসহায়দের পাশে মোরা
সর্বসময় রব।
মা-বাবার সাথে উচ্চকণ্ঠে
বলব না কথা কভু,
মা-বাবার কথামতো চলবার
তৌফিক দিও গো প্রভু।
খেলার সময় খেলব আবার
পড়ার সময় পড়া,
একটি মাত্র লক্ষ্য মোদের
জীবনটাকে গড়া।

বৃষ্টি ■ বাবুল হাওলাদার

বৃষ্টি পড়ে ঘরের চালে
ব্যাঙে ডাকে বিলে-ঝিলে।
কাব্যের খাতায় লিখছে কবি
শিল্পী আঁকছে বৃষ্টির ছবি।

মায়ের হাতের মজার খাবার
তৃপ্তি দিচ্ছে মনে আমার ।
শিশু-কিশোর খেলছে ভিজে
মনে পুরান গান যে বাজে ।

স্বদেশ ■ বাবুল হাওলাদার

সোনালি সৌন্দর্যের নেই কোনো শেষ
আমার জন্মভূমি, সোনার বাংলাদেশ।
আমের বনে, জামের বনে পাখিদের মধুর গান
রজনীগন্ধা, বেলী, চামেলীর গন্ধে ভরে যায় প্রাণ ।
নদীমাতৃক এই দেশে নদীতে রমণীদের আনাগোনা
এখানে বাঙ্গালিদের স্বপ্ন আছে বোনা।
দামাল ছেলেদের রক্তে গড়া বাংলা ভাষা, স্বাধীন এ দেশ
আমার জন্মভূমি, সোনার বাংলাদেশ।
মাঠ ভরা সোনালি ধান, নদী ভরা জল
আকাশে মেঘপুঞ্জ অবিরাম করে ছলছল।
জ্যোৎস্না রাতে ঘুম জাগা পাখির গান, হাসি
বাঙালি মোরা, বাংলাকে বড্ড ভালোবাসি ।
সোনালি রাত্রিগুলো যেন প্রিয় রমণীর কেশ
আমার জন্মভূমি, সোনার বাংলাদেশ।

মহানবী (স.) ■ বাবুল হাওলাদার

নবী আমার সবার সেরা নবী মহান নেতা
তারই কথায় চলি যদি হবে সবই জেতা।
সেরা নবী, সেরা রাসূল আমার চোখের মণি
তারই চলা পথে চলে ঈমান করব ধনী।
নবী আমার জীবন বিধান জন্ম আরব দেশে উম্মতেরই লাগি তারই চোখে জলে ভাসে। দোজাহানের ধনী হতে মানব নবীর কথা
মেনে চলতে আসুক বাঁধা আসুক যত ব্যথা।

এ বিশ্ব-সংসার ■ বাবুল হাওলাদার

এ বিশ্ব-সংসারে আনন্দ-বেদনার
এক উদ্দীপনাএসে ভর করে মনে,
শুধু এক টুকরো সুখ পাব বলে
কতই না কিছু করে যাইপ্রতিটিদিন ক্ষণে-ক্ষণে । রক্তাক্ত আবেগ ধ্বংস করে দিয়ে যায়স্বপ্ন যত আছে, সুখগুলো ঘুরে বেড়ায় দূরে
সহজেই ভিড়তেচায়না কাছে।
বিশ্ব-সংসার একী পরিস্থিতিতে পরিণত হয়েছে! যেখানে কারোপ্রতি ভালোবাসা নাই
আমাকে কেউ একটু বল না-
কোথায় গেলে সুখের একটা সংসার খুজে পাই। সহস্রকোটি বছর আমি প্রতীক্ষায় রয়েছি
কবে ফিরে পাব একটা সুখের সংসার?
তাই তো সুখের তরে আনমনে
কবিতা লিখি আমি বারবার।

লিখছি বৃষ্টির কবিতা ■ বাবুল হাওলাদার

বাইরে বৃষ্টি কেড়ে নিল মন
আনন্দ করল সৃষ্টি।
রিমঝিম বৃষ্টিতে মনে পড়ে গেল
ফুটবল খেলার সেইদিন,
ভুলে থাকা যায় কি?
করা যায় কি স্মৃতিহীন?
আহা! কী আনন্দ এই বৃষ্টির মাঝে
কী অপরূপ রূপে প্রকৃতি দেখ আজ সাজে।

আমার জন্মভূমি ■ বাবুল হাওলাদার

গানের সুরে সুরে বলি- হে মোর জন্মভূমি
তুমি যে আমার গানেরই কলি।
কবিতার ছন্দে ছন্দে বলি- হে আমার সোনার বাংলা
তুমি যে আমার কবিতার বুলি ।
মনেরই আল্পনা দিয়ে আঁকি নানান ছবি
যেথায় প্রতিনিয়ত কাব্য লিখছে কত কবি!
দেখ বাংলার মাঠ ভরা দুলছে সোনালি ধান
ভরে উঠে মন সবার শুনেনদীর কলকল গান। যেখানে প্রতিদিন উড়ে লাল-সবুজের নিশান
এই বাংলায় আছে আমার রক্তেরই টান।
সোনালি স্বপ্নে মেতে উঠে সবাই, শান্তি লাগে বেশ লাখ শহিদের রক্তে গড়া এইসোনার বাংলাদেশ।

কয়েকটি কথা ■ বাবুল হাওলাদার

তোমার সাথে একসাথে চলব ভেবেছি- হয়নি চলা।
কয়েকটি কথা তোমায় বলব ভেবেছি- হয়নি বলা। তোমায় নিয়ে লেখা গান- সে তো আজও হয়নি গাওয়া।
তোমায় নিয়ে স্বপ্ন যত- হয়নি আজও পাওয়া। তোমায় নিয়ে বিভোর থাকিআমি সময়-অসময় । তোমায় আমি পাব- সারাক্ষণ এটাই মনে হয়।

স্মৃতির স্কুল ■ বাবুল হাওলাদার

যেখানে এসে জীবন গড়তে কলম, খাতাহাতে নিলাম তুলে
কেমন করে সেই স্মৃতির স্কুলের কথা যাব আমি ভুলে!
পেয়েছি শিক্ষাগুরুদের কাছেআদর, স্নেহ ও ভালোবাসা
বন্ধুদের সাথে হত খেলাধুলা, হত কত মেলামেশা।
স্মৃতির পাতায় আঁকা ছবি কোনদিন মোছার নয়
‘দত্তপাড়া টি.এন. একাডেমি স্কুলএক ঐতিহ্যবাহী শিক্ষালয় ।
চলে যাব একদিন, তবু এ স্মৃতিরবে চিরদিন
গুরুজনের কাছে দোয়াপ্রার্থী মোদের জীবন হয় যেন রঙিন।

হারিয়ে যাব ■ বাবুল হাওলাদার

তোমায় নিয়ে হারিয়ে যাবঅচেনা এক পথে তুমি-আমি সেখানেথাকব একই সাথে। তোমার সাথে।
নতুন করে একস্মৃতি গড়ে নেব
তোমায় ওগো বন্ধু আমারসবটুকু ভালোবাসা দেব।
তোমার-আমার ভালোবাসায় ভেঙে দেব সব বাধা।
তুমি হবে রাধে আর আমি হব তোমার রাধা।

পরশপাথর মা ■ বাবুল হাওলাদার

মা'গো তব চরণে আমি
নিতে চাই একটু ঠাই,
তব ঐ চরণে স্বর্গীয়
অনুভূতি আমি পাই।
তুমি যে আমার সাত নূরীর মুক্তা
আমার পরশপাথর মা,
তোমার শীতল ছোঁয়ায় মা'গো
আমি হয়ে যাবো সোনা।

তাধিন তাধিন ■ বাবুল হাওলাদার

ঘুড়ি উড়ে আকাশ পানে
মনটা নাচে তোমার গানে।
তাধিন তাধিন বাজে মাদল
রিনঝিন রিনঝিন পড়ে বাদল

মাহে রমজান ■ বাবুল হাওলাদার

মুসলিম জাতির শ্রেষ্ঠ সময় মাহে রমজান মাসটি
প্রভু তুমি মোদের তরে দিও একটু দৃষ্টি।
রমজান মাসে মোদের তুমি করে দিও ক্ষমা
আমলনামায় বেশি বেশি আমল কর জমা।
তোমার নামে গানে গানে ছড়াই সুরের মেলা
তোমার নামটি জপে জপে যেন কাটে বেলা।
রোজা রাখি, নামাজ পড়ি, সত্য কথা বলি
তোমার দেয়া পথটি ধরে শত বছর চলি।
রমজান মাসটি বড়ই দামি, গোনা মাফের সময়
বেশি বেশি আমল করে মোরা হবো যে জয়।

স্মৃতির পাতায় আঁকা ■ বাবুল হাওলাদার

এঁকেছি মনে মনে একখানা ছবি স্মৃতির পাতায়
ভেবে ভেবে লিখেছি একখানা কাব্য কবিতার খাতায়।
যে কাব্যে আছে ভালোবাসার সেই মায়াবী কথা
যেগুলো মনকে আনন্দ দেবে, ভুলিয়ে দিবে ব্যথা ।

গোলাপের আহ্বান ■ বাবুল হাওলাদার

লাল লাল গোলাপ ফুল ফুটে আছে গাছে
ফুলগুলো ডাকছে আমায় কাছে!
এই শুনে যাও তুমি ভালোবাস কারে?
এখান থেকে একটি ফুল নিয়ে দিয়ে আসো তারে।

রাত সাক্ষী ■ বাবুল হাওলাদার

ঐ আঁধার রাত সাক্ষী
জানে তোমায় কতোটা ভেবেছি,
জানালা দিয়ে আকাশের চাঁদ দেখেছে
মনে তোমার ছবি কতটা এঁকেছি।

ফুলের সুবাস ■ বাবুল হাওলাদার

ফুলের মতো তুমি নাকি
ফুল তোমার মতো?
ফুলের মতো সুবাস ছড়াও নাকি
ফুলের সুবাস তোমার মতো?

ভূমিকা

কবির কথা
‘ভালোবাসা অতঃপর' এই কাব্যগ্রন্থটি আমার প্রথম একক বই। ২০১২ সালে 'জন্মমাতা' কবিতা দিয়ে আমার লেখালেখি শুরু। ভালোবাসা যে এক মায়ার টান, যা দু'টি শরীরকে একটি আত্মায় পরিণত করে। ছোটবেলা থেকেই অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। জীবন যুদ্ধ যে কত কঠিন তা আমি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। ২০১৩ সালের মার্চ মাসে প্রথম প্রেমে পড়েছিলাম। লেখালেখির প্রতি আরও প্রবল টান তৈরি হল। সেই সময়ে প্রচুর পরিমাণে কবিতা লিখেছিলাম। যে কারণে রেজাল্ট খুবই খারাপ হয়েছিল। ভালোবাসা কেমন অস্ত যেতে শুরু করল একটা সময়, তার সাথে সাথে লেখালেখিও। একটা সময় নিজেকে গোছাতে পেরেছি। লেখালেখির ভুবনে বিশাল একটা ফারাক তৈরি হয়েছিল। এখন আবার নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেছি। মানুষের জীবনটা বড্ড অদ্ভুত। এই ভালো এই মন্দ। শুনেছি স্বপ্ন দেখতে হবে। বড় বড় স্বপ্ন। কত স্বপ্ন দেখেছি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে, জেগে-জেগে তা বলে শেষ হবে না। তবে না দেখা স্বপ্নগুলোই পূরণ হয়েছে। আজও স্বপ্ন দেখি। কালও স্বপ্ন দেখব। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্বপ্ন দেখব আর স্বপ্ন দেখি বলেই আজও বেঁচে আছি। বেঁচে আছি এটাই সবচেয়ে বড় পুরস্কার। বেঁচে আছি বলেই আজ অনেকের সামনে নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছি, বেঁচে আছি বলেই যারা অবহেলা করেছে, তারা অনেকেই আজ সম্মান করে। আল্লাহর কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। কারণ, তিনি আমাকে দিয়েছে অনেক ধৈর্য। প্রিয় পাঠক-পাঠিকা বন্ধুরা, জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা থেকে একটু সার সংক্ষেপ আলোচনা করলাম। প্রেম-ভালোবাসা, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, আবেগ-অনুভূতি, স্বপ্ন, আশা-ভরসা-হতাশা, প্রাকৃতিক, সামাজিক, মানবিক, দ্রোহ, জীবনমুখী, সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখা আমার এই বইটি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনাদের অনুপ্রেরণা পেলে আশা করি আমি আরও ভালো কবি হয়ে উঠব এবং আরও সুন্দর সুন্দর লেখা আপনাদের উপহার দিতে পারব। ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন, এই কামনা করি। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আল্লাহ্ হাফেজ..
বাবুল হাওলাদার
দত্তপাড়া, শিবচর, মাদারীপুর
০১৭৪২-১০৮৯ ১৭

উৎসর্গ

উৎসর্গ
মা-বাবা, যারা নিঃস্বার্থভাবে আমায় অসম্ভব ভালোবাসে। বড় ভাই 'কামাল হোসেন', যার কাছে পেয়েছি অনুপ্রেরণা, ভালোবাসা আর সহযোগিতা। বাকি দু'ভাই আমির হোসেন' ও 'আশিক হোসেন' তাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অভিমান- ভালোবাসা আর ছোট ছোট আবদার পূরণ করা। একমাত্র বোন 'জান্নাতুল ফেরদাউস আদিবা রাত্রি যে সময় পেলেই আমার কবিতার বই, কবিতার ডায়েরি পড়ে এবং পড়ে শোনায় বান্ধবীদের। বন্ধু-বান্ধবী, অনুপ্রেরণা দেওয়া মানুষগুলো এবং সেই মেয়েটি যাকে আমি 'ফুলপরী' নাম দিয়েছি। এদের সবার তরে এই উৎসর্গ...

কবিতা

এখানে ভালোবাসা অতঃপর বইয়ের ৭৯টি কবিতা পাবেন।

   
সার্চ করুন
শিরোনাম
মন্তব্য