নি:স্ব লাগে নিজেকে, বুঝিনা কিসের কারণে
রাত্রীর এ মৌনতা আমায় করেছে দীন ভীখারি
অন্ধকারের তীব্রতা আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায় প্রতিনিয়ত
জীবনের গতি পথ কেন এত বেশি উল্টো!
অমি ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাচ্ছি প্রতি মুহুর্তে
এমনটা হবার তো কোন কথা ছিল না,
কথা না থাকলেই বা কি,
হচ্ছেই তো এমন, হলেই বা দোষ কি?
হোক যা হবার তাই হোক, হচ্ছে যখন এতে আর কি হবে?
হররোজ কত জনেইতো লাশ হয়ে ঘরে ফেরে
কত জনেই তো পঙ্গুত্ব বরণ করছে
তাদের অসহায় জীবনের চেয়ে আমিই বা কম কিসে
বিবর্ণ বাস্তবতা আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে আমাকে!
অসহায় নিয়মের হাতে আমি বন্দি হয়ে পড়ছি
অথচ একদিন এই গৎবাঁধা নিয়ম ভাঙার শপথ নিয়েই-
ঘর থেকে আমার বাহিরে পদার্পণ
সময় গড়িয়ে যাচ্ছে আমিও গড়িয়ে চলেছি তার গড্ডালিকা প্রবাহে
সময়ের সাথে সখ্যতা আমার কখনই হয় নি
অসময়েই আমার সবকিছুর জন্ম,
আমি, আমার বোধ, সবকিছুই অসময়ে জন্ম নিয়েছে
কোন কিছুই সঠিক সময়ে হয় নি,
শুধু অসময়েই সব কিছুর যাওয়া আসা


ঐ নিকশ কাল রাত অন্ধকারে কি অদ্ভুদভাবে ছড়িয়ে দেয় তার রুপ
সে অন্ধকারের রুপে তো ঐ আঁধারের রুপটিই ফুটে ওঠে
আমার তো এমন কোন আলো আঁধারের রুপও নেই
কালো মেঘের আস্তরণে আমার সব কিছুই এলোমেলো
রঙ্গীন করে সাজাতে চেয়ে যে জীবনের দায়িত্ব নিজেই নিয়েছি
আজ তাকিয়ে দেখি সেই জীবনকেই খুব বেশি অগোছাল করে ফেলেছি
ভাগ্যিস বাবা আজ আর বেঁচে নেই
তিনি থাকলে এই অগোছালো জীবনের হিসেব কি দিতাম
ভাগ্যিস বাবা নেই, কি অবাকই না লাগে ভাবতে
বাবাহীন দুর্ভাগ্যকে আমি ভাগ্যিস বলছি
হাস্যকর এক জীবন নিয়ে আমার ভাগ্যের ঘোরাফেরা
ভুল করি নিজে আর দোষারোপ করি ভাগ্যকে!


তন্দ্রাহীন রাতের কথা খুব বেশিদিন মনে থাকে না আমার
যেমন করে ভুলে যাই আমার আমিকে
ঠিক তেমন করেই তন্দ্রাহীন রাতগুলো ছলাকলা করে আমার সাথে
মাঝে মাঝে মনে হয় আমি যেন কি একটা ঘোরের মধ্যে বেঁচে আছি!
কোন বিশেষ স্বাদের প্রতি কখনই আমার তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল না
তাই হয়তো আজো নেই, যখন হয়তো এমন ঘোরের রেশ কেটে যাবে
তখন হয়তো আবিষ্কার করব আমি কবরে শুয়ে আছি,
আর ফেরশতারা আমাকে ঘিরে জিজ্ঞেস করছে
সেখানেও প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরে ফেল মেরে যাচ্ছি,
এরপরে কি হবে সেতো সবি জানা........................!