বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাঁটাতারে ফেলানির ঝুলন্ত লাশের ছবি দেখে দুঃখভারাক্রান্ত চিত্তে ভারতের কাছে বিচার দাবি করে একটি ষ্ট্যাটাস লিখেছিলাম। সম্প্রতি ভারতে যখন ফেলানি-হত্যার বিচার শুরু হলো,. তখন খুশি হয়ে লিখেছিলাম আরেকটি। ভেবেছিলাম ভারত ফেলানি হত্যার বিচার করবে। ফেলানির খুনি কে, তা আমরা জানতে পারবো।
বিএসএফ সদস্য আমিয় ঘোষের নাম আমরা জানতাম না। সেটা জানার, ফেলানির খুনিকে খুঁজে বের করার দায়িত্ত্ব ছিলো ভারতের। ভারত সেই দায়িত্ব পালন করতে চলেছে বলেই প্রতীয়মান হয়েছিলো আমাদের কাছে। কিন্তু একী হলো? ভারতের আদালত রায় দিলো, অমিয় ঘোষ বেকসুর খালাস।তাহলে ফেলানি হত্যার জন্য গঠিত আদালতে কিসের ভিত্তিতে অমিয় ঘোষকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছিলো, এই প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার।
অমিয় ঘোষ বেকসুর খালাস পেয়েছেন, ফেলানি হত্যার দায় থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।আমরা অমিয় ঘোষকেও চিনি না। টমিয় ঘোষকেও চিনি না। আমরা জানি না ফেলানিকে কে বা কারা হত্যা করেছে।
অমিয় ঘোষ মিথ্যা হতেই পারেন- কিন্তু আমাদের কিশোরী ফেলানি যে নিহত হয়েছে সেটা তো মিথ্যে নয়। এবং এটাও মিথ্যে নয় যে, বিএসএফ-এর কোনো-না-কোনো সদস্যের গুলিতেই ফেলানির মৃত্যু হয়েছে। ফেলানির হত্যাকারীর নাম আমরা জানি না। আপনারাই খুঁজে বার করুন। ভারতের অন্তরাত্মাকে অপরাধমুক্ত করার দায়িত্ব ভারতকেই গ্রহণ করতে হবে। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দিলে জনৈক আমিয় ঘোষের মুক্তি মিলতে পারে, কিন্তু তার মাধ্যমে ফেলানি-হত্যার দায় থেকে ভারতের মুক্তি মিলে কি?


ফেলানি হত্যার বিচার যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কোনো সাজানো নাটক ছিলো না-- এটা প্রমাণের
দায়িত্ব ভারতকেই নিতে হবে।


এটা নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার নাকি বিচার নামের প্রহসন!