আমাদের আছে এক সাম্রাজ্য বহু পুরাতন,
আর অনাগত প্রজন্মে তা অতি আধুনিক!
সেখানে তোমাকেই সর্বময়ী রাণী হতে হবে,
এমন দাবি কেউ  করবে না ভুলেও এবার!  
তবু জেনো সেই সাম্রাজ্য শুধুই তোমার!


তোমার আমার সাম্রাজ্যের নামে পতিটি পিলার-
কাঁটাতার হয়ে পাহারায় রাখে খোদিত পাথরে,
আমাদের ইতিহাসে ঘটা সব অনুভূতির আকার!
সেখানে আমিই সম্রাট আর তুমিই সম্রাজ্ঞী হবে,
অথবা আমি আর তুমি খুব সাধারন প্রজা হবো,
এখানে কোনকিছুই বদলাবে না তাতে!
কারণ এ সাম্রাজ্য সবসময়ই তোমার আমার!


তোমার আমার আছে এক নিজস্ব বর্ণমালা,
যার প্রতীক মহা দুর্বোধ্য হবে পৃথিবীর কাছে!
জনতার কাছে আমাদের ঐতিহাসিক অস্পষ্টতা-
রেখে বর্ণমালাটি শুধু আমাদেরই থেকে যাবে!
আমাদের আছে খুব নিজস্ব ধরনের ভাষা,
চোখের পলকে এখানে বলা যায় অব্যক্ত কথা!
ইশারায় অনুভূতি শুন্যের মতো হয় লেনদেন!
অক্ষরগুলো অনুভুতি হয়ে উড়াউড়ি করে খুব,
বহতা নদীর মতো কখনো আনে স্নেহের প্লাবন!
বদ্বীপের পলিমাটি হয়ে তোমার গল্পগুলো-
আমাদের সাম্রাজ্যকে প্রতিদিন করে নির্মান!


এই সাম্রাজ্যে জ্যামিতিক কাঠামোর অদ্ভুত খেলা-
কিউবিজমের ছবিতে ঘনিভূত হয়ে গলে পড়ে,
গড়ে তোলে সাম্রাজ্যিক শিল্পের রহস্য নকশা!
কখনো সখনো পুরো সাম্রাজ্যই আর্টের গ্যালারী হয়ে-
আমাদের মনে জুড়ে দিয়ে পাখা অদৃশ্য উপায়ে,
বেলুনে উড়ায় তুলে অনেক উঁচুতে; সেখানেও-
আমিই সম্রাট; তুমি সম্রাজ্ঞী আমার!!  


পুতুল নাচের রশিতে ঝুলে যদি প্রতিবার,
সামাজিক হাসিতে ভুলিয়ে দর্শক শ্রোতা,
এই রাজ্যের অধিকার তুমি কর অস্বীকার!
সেদিন আমার সাম্রাজ্যের তোমার প্রজারা,
বিদ্রোহী স্লোগান বলে রঙ্গিন প্ল্যাকার্ড তুলে,
বলবেই- হে সম্রাজ্ঞী! এই সাম্রাজ্য তোমার!
তুমি নাও অধিকার!  
আমিও আকন্ঠ নেশা পান করে কবিতার,
জানাবো তোমাকে ফেরানোর জোর দাবী!  


এখানে অন্য কারোই নেই প্রবেশের অধিকার,
ফটকে পাহারায় আছে প্রহরী দুর্বোধ্য ভাষার,
আকাশকে ঘিরে থাকে শিল্পের নক্ষত্রপুঞ্জ!  
ব্যখ্যাতীত ভাবে তা শুধুই তোমার আমার!
পত্রিকা সংবাদে প্রচারিত প্রতিটি বিধিনিষেধ-
প্রত্যাখাত হয়ে ফিরে যাবে এ সীমানা থেকে!
এ সীমানা শুধুই সংরক্ষিত আমাদের জন্য!
আমাদের সাম্রাজ্যের সব অনুভূতি হতে উদ্ভূত-
নাগরিক জীবনের জন্য; আমাদের স্বপ্নের
বাগানের জন্য!
বাস্তব থেকে বহুদূরে অবাস্তবের শেষ সীমায়-
নিরাপদ, সুকঠিন আমাদের এই সাম্রাজ্য,
কোন এক স্বপ্নসাগরের তীরে চির নির্মাণাধীন!