ভেতরের রঙিন পাখি কেন জানি যাচ্ছে মরে!
নির্দয় প্রাসাদ গুলি হাসছে কোন কারণ ছাড়াই,
কাঁচের নীল জানালায় হেঁটে যায় প্রতিচ্ছায়া,
মরে গেছে তারাও সবাই; একথাটা কেউ বোঝেনা!
পত্রিকার পাতার ভাঁজে লাইনে থাকা কালো পিপড়া,
চায়ের কাঁপে গরম গরম, সেই খবর করেনি প্রচার!
তোমরা তাই বেঁচেই আছ! রঙিন পাখি যাচ্ছে মারা!
    
পাখিটার লালচে পালক সকালেও খুব বেশি ম্লান,
ঘোলাটে চোখের কোটর ভিজেছে দুঃখের বাণে,
চৈত্রের শেষ দুপুরে অকারণেই বালির কুয়াশা নামে!
পাখিটা যাচ্ছে মরে হাজার খানিক চোখের পাশেই,
কেঊই পাচ্ছে না টের! ঘন্টা বাজে শেষ বিকেলের!
পাখিটার রঙিন পালক মরে গিয়ে হয়েছে ধূসর!
তোমাদের নিষ্পলক চোখ বোঝেনা কারণ কি তার!
পাখি তবু মরেই যাবে ভুগে কোন অলীক রোগে,
তোমরা সময় পেলে কিতাব খুঁজে দেখো বিবরণ,
অভিধানে খোঁজ না পেলে, বলো নিছক এক অঘটন!


দায় নেই কারোরই এতে, পাখিটাই খুব অপয়া!
সোনার খাঁচায় রাজার জীবন তার নাকি পোষায়না!
যদি হও রঙিন পাখি, স্বেচ্ছায় দেবে ধরা,
উড়ার খুঁজলে আকাশ, অকারণেই পড়বে মারা!
এই নিয়তি মানেনি বলে মরে যাবে বোকা পাখিটাই,
আগুন চোখে রূপালী পালক এই আকাশের জন্য নয়!