বহুদিন পর ফিরে এলে তোমাদের এই রাস্তায়,
ধুলায় মাখামাখি হলে অতীতের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতা,
তুমি কি চিনবে আমায়? ঠিক আগের মতোই!
আবার শ্রাবণ বহুকাল পর ফিরালে মুখর বর্ষণ,
যদি বৃষ্টির ভাঙ্গা কাঁচ জল হয়ে নেমে যায়,
আগের মতোই বাড়াবে কি হাত অনিন্দ্য উল্লাসে,
ছুঁয়ে দিতে বৃষ্টিকে আমার উছিলায় ঘাসের নদীতে।
স্পষ্ট আবেগে অবনত মন, নত হলে শাখা,
চাইবে কি দুঃখের মিশ্রণে সুখ; সিক্ত কদম!
যদি বহু বছরের পর, হঠাৎ পেয়ে যাই দেখা!  


বহুদিন পর এসে, যদি বসি মোড়ের রেস্তোরায়,
শুধুই চায়ের কাপে কাটাই সময়; করি পার অনর্থক-
দাবার চালের মতো নির্দ্বিধায়, অনেক মিনিট!
তুমি কি তখনো, ছুড়ে ফেলে আরামের ঘুমের কম্বল,
সাপ-লুডোর অনুসৃত কষ্টসাধ্য অনর্থকতায়-
অটোরিকশায় চড়ে একছুটে ঘুরে যাবে এদিকটায়!  


যদি বহুদিন পর, তোমার শহর ঝেড়ে ফ্যালে-
আধাপাকা স্থাপত্যে যত্নে বাঁধানো সবুজাভ নীলিমা।
প্রতিটি দিকের কোণ, ছেয়ে দেয় কঙ্ক্রিটের বন!
নিষ্প্রাণ ইমারত পাহাড়ের ভান ধরে ঢাকলে আকাশ,
শার্সির আড়ালে, যদি চিনে ফেলো দেখলে আমাকে-
বহুদিন পর; জলে ছুঁয়ে মুছে গেলে চিত্রকল্প যতো,
তখনো কি তুমি আমাকে চিনবে আগেরই মতো?
  
যদি বহুদিন পর সত্যিই আচমকা দেখা হয়ে যায়!
অজানা গন্তব্যের যাত্রী দুজন, মুখোমুখি কথোপকথন,
সময়ের ঘুরপাকে অনন্তে দিশেহারা বিমানের জানালায়-
তুমি কি বসবে একটু পাশাপাশি, অপূর্ণ আশায়!