(০১)
জানালাটা খুলে গেলে পর্দার ফাঁকে,
দ্যাখো মেয়ে,
মেঘগুলো তোমাকেই ডাকে!
রাশ রাশ বুনোহাঁস মেলেছে পাখা,
নীরব শূন্যে যদি পায় তোমার দেখা!
ব্যালকনি ছাড়িয়ে খানিকটা দূরে,
অশান্ত বৃক্ষসারি উড়াচ্ছে শাখা।
অসময়ের বুনোফুল এ প্লাবনে-
পথ ভুলে,
প্রাচীন দূর্গের কোলে জেগেছে-
লুপ্তলোকে; সুন্দর একা!  
এই ঝড়ো উচ্ছাসে যদি -
পায় সে তোমার দেখা!


(০২)
বাতাসে ভাসছে অনেক গল্প!
শুনছো কি কন্যা অল্পস্বল্প?
হঠাৎ রাজপথ মরীচিকাময়,
মেঘের বৃষ্টিতে রোদ ঝলসায়!
প্রজাপতি টানা স্বপ্নিল রিকশায়,
কন্যা প্রতিদিন আসে ও যায়!


(০৩)
আকাশ যখন দুপুর আলোয়,
তোর দেখাতেই মেঘকে উড়ায়,
তেমনি আমার মনের কোণে,
জমানো কথার ঝড়ের টানে,
তোর কপালে রাঙ্গিয়ে দিলাম,
ভালোবাসার গল্প শতকোটি!
পাগলি যেন আর না ভুলিস,
অনন্ত রাত গল্প শুনিস-
এই পাগলের প্রলাপ মাখা সুরে!


(০৪)
হাড়হিম শীত শেষে পড়ন্ত আকাশে,
অচেনা বৃষ্টি আনে অনাসৃষ্টির বোধ।
কবিতার বই গুলো পাখি হয়ে গেলে,
খেড়োখাতা ভিজবে বৃষ্টির বেখেয়ালে!
তখন লিখব আমি মেঘের খাতায়,
পিচ্ছল কাদার টানে তোমাকে না পেলে!