মধ্যরাতের জল বৃষ্টি অনল; শহর পদাতিক শূন্য,
কিছু ক্রন্দন বায়বীয় ঝংকার, ভায়োলিন বাজে পৌনঃপুনিক!
অপেক্ষমান গ্রীলে অশ্রুত অর্কেষ্ট্রা, বিস্মৃত কণ্ঠ শুনি বারবার,
স্মৃতির চায়ের কাঁপে বাশমতী গন্ধ, রেখোনা দরোজা বন্ধ,
ভেজা পালকের পাখি গুলো বারান্দা পাক!  
সোর্ড ফার্নের পাতা উন্মত্ত সোডার বুদবুদ মেখে উড়ছে,
অচিন ঢেউয়েরা গলিতে গলিতে, শহর এখন নাব্য বন্দর!
শুধু কাঁঠালচাঁপার মতো স্থির তোমার অন্তর,
জানালায় মুক্তোর জল, ছুঁয়ে অগোছালো কুঞ্চিত কুন্তল!
নেমে এসো! নেমে এসো! পায়ে হাঁটি বিলুপ্ত পথ,
নেক্রোপলিসের থামের আড়ালে, কেল্টিক নকশার মুখ,
অনেক মিল কেন চোখের মেঘদলে? আকাশ ভাবুক!  
ভয় নেই শিকারী মাছে ভাসিয়ে নিচ্ছে খন্ডিত করোটি,
মৃদঙ্গে বেসামাল আরতির রাত;
বেঁচে আছে সবটুকু সমাহিত প্রেম, বুনো গন্ধ মাখামাখি,  
চলো বৃষ্টির রাতে খুঁজে আনি জল, সেই প্রেমের অনল!
চলো হাঁটি! অন্ধকারের আবরণে বুক পিঠ ঢেকে,
চলো এই নেক্রোপলিসে হাঁটি!
মধ্যরাতের বৃষ্টিরা অবুঝ জলের মতো করুক মাখামাখি!