লিখে ফেললাম কবিতাটা এখনই,
শহীদ কাদরি প্রতিদিন আসবেনা!
কবিতায় লেখা হবে সব স্বপ্ন দেখা,
ডায়েরীটা নাহয় অরূণাকেই দিলাম!
শহর ভেঙে যাচ্ছে ঝড়ে…
বাতসেরা রাস্তার নিয়েছে দখল!


বাগদাদ থেকে এসেছিলো ফোন,
কোড নাম্বারটা নয় সে দেশের,
তবু ফোনটা সেখানের আমি নিশ্চিত!
ঝিরঝিরে কন্ঠে বললো মেয়েটি,
তোমার কবিতা ছাপাবো আমরা!
অবিশ্বাসের ঝড় স্বপ্নেও আসে,
যুক্তিও চলছিলো বিরূদ্ধেই তখন,
বললাম রূড় ভাবে এ কেমন মজা?
কয়েকটা কন্ঠের সমবেত উত্তর,
স্লোগানের মতো ভাঙ্গল ঢেঊ-
“এই জানোতো আমরা মজা করিনা!”
আসবার সময় সাথে অরূণাকে এনো।
তাইগ্রীস নদীটা সে দেখেনি এখনো!


অনেক কষ্টে পৌছালাম বাসস্ট্যন্ডে,
যেয়ে দেখি অরূণা বসে আছে সিটে!
বললাম কি করে জানলে তুমি?
বাগদাদে আমন্ত্রণ পেয়ে গেছি আমি!
অরূণা হেসে বলে-
বোকা আজো বোঝোনা,
তোমার খবর আমার অজানা থাকেনা!
কিন্তু এই বাসে লিখা সেটা যাবে পঞ্চগড়!
এখানে উঠছি কেন! এ কেমন বিপদ,
স্বপ্নের দেশে কি সবই কিম্ভূত!
তড়িঘড়ি বললো সে দেখে হাতের ঘড়িটা,
সময় অনেক কম, এখনই ছাড়বে বাসটা!
তাড়াতাড়ি কেটে আনো পাশের সিটের
টিকেট!
কোথায় যাবে বাস, এ কোন বিষয় নয়,
ছুটলাম পড়িমড়ি, আকাশটা মেঘলা!
ধুমধাম নামতে পারে ঝড় যেকোন সময়,
একবার হলেও সময়ে বা অসময়ে,
অরূণার পাশে বসতে চাই।


টিকেট কাউন্টারে বসা একজন কবি,
খুব করে খুঁজে দেখে ভাড়ার রশিদ,
মাথা নেড়ে বলল- শোন হে যাত্রী!
একটাও ফাঁকা নেই সিট আর ওই বাসে,
কানায় কানায় তার ভরে গেছে সবই!
ডেকে আনো অরূণাকে বাস ছাড়ার আগেই,
কেটে দিচ্ছি পরের বাসের টিকেট!
ভয় নেই পৌঁছাবে সময়মতোই!


তাকালাম আশায় অরূণাকে ফেরাবো!
কিন্তু হায় এ যে স্বপ্নের কাল,
মিলিয়ে গিয়েছে বাসস্ট্যান্ড এবং সব বাস,
মিলিয়ে গিয়েছে অরূণা!
অরুণা! অরূণা! এ যে স্বপ্নের দেশ!
সে ভুল করেও আর ফিরে এলোনা!
নেমে এলো বৃষ্টি প্রচন্ড তড়িঘড়ি,
বাতাস নিয়েছে দখল পুরো রাস্তার!


আরেকটা স্বপ্নে বসে আছি ঘরে,
ঘরটা পুরানো বইয়ের পাতার মতো,
অগোছালো ময়লা ভাসছে পায়ের পাতায়!
হাতে নিয়ে দামী ফোন; খুব বিষণ্ণ মন,
অরূণাকেই একটানা দিচ্ছি ফোন,
শুনেছি পরীক্ষা তার!
চাকুরিটা তার খুব বেশি দরকার!
অরূণা ধরেনা ফোন; অস্বস্তি চরম!
কেন সে ডাকেনা! তার পরীক্ষা হলো কেমন!


স্বপ্ন মানে অসম্ভবের দেশে সবই সম্ভব!
পরীক্ষা শেষে এসেছে সে চলে,
অজানা উপায়ে আমার ময়লা ঘরে,
কিভাবে চিনলো? কে জানে!  
স্বপ্নের দেবতারা তাকে দিয়েছে ঠিকানা!
আমার সামনেই দাঁড়ানো অরূণা!
হয়তো সবই সম্ভব আমাদের স্বপ্নে।
বললাম- “কেমন হলো পরীক্ষাটা?”
বলল সে- “আরে ধুর বাদ দাও।“
“হয়নি ভালো মোটেও।
এসব বলতে আমি কিন্তু আসিনি এখন,”
একটাই জানার-“ প্রিয় তুমি আছো কেমন?”