আমি দ্বীপান্তরিত হবো স্বেচ্ছায়,
নিঃসঙ্গ রথ দাও, চাইনা কোন অলৌকিক সারথির-
লীলা মাখা অহমিকা! স্থগিত থাক অভিনয়ের আসর,
প্রতিদ্বন্দীরা এবারের মতো ক্ষমা করো,
পরীক্ষায় পুড়ছি তো আশৈশব! আর কতো?
এইবারে ক্ষমা করো! অথবা নিয়ে যাও ট্রফি নির্দ্বিধায়!
আমাকে দ্বীপান্তর দাও; ডুবে আছি অনারোগ্য-
বিতৃষ্ণায়!


নিঃশর্ত আলো দাও! পুড়িয়ে দিব আকালের-
আগাছায় বিষাক্ত বীজের মতো সমস্ত মরীচিকা,
তারপর আগুন তাপাব স্রেফ একা একা!
আমাকে দ্বীপান্তর দাও,
সুসভ্য কোলাহল বর্জ্যের মতো পচাচ্ছে সব,
এতো কিছু চাইনি তো আমি,
নিঃসঙ্গতা শরীরে মেখে চেয়েছিলাম ব্যর্থ ভোরে,
শুধুই তোমাকে! হয়তো এসেছো অথবা আসোনি,
চক্রবূহ্য ভেদ করা এতোটা সহজ নয়,
তাতো বেশ ভালোমতো জানি!
তবু হিটলার, চেঙ্গিস গং হাতে দিয়ে লজেঞ্চুস,
করে গেল ইয়ারকি,
সভ্যতা মানে ক্লান্ত জীবন আর-
বিমুর্ত বেইমানী!    


তোমাদের দর্শনে স্বার্থের প্যাঁচাল,
ডায়াসে অবিরত বকবক করছে উৎকৃষ্ট বাচাল,
সেমিনারে অভিনীত দুর্দান্ত সংলাপ,
কোন কিছু কেন যেন টানেনা এখন!
প্রতিটি পদক্ষেপে আওড়াচ্ছি ব্যর্থ প্রলাপ,
এই সভ্যতা ও সংস্কার ক্রমশ হচ্ছে উন্মাদ!
তার চেয়ে দ্বীপান্তর দাও,
তবুও তো বালু মেখে দেয়া যাবে শান্তির ঘুম,
মধ্যরাত পিষ্ট হবেনা কামানের তলায়,
সেই ভালো দ্বীপান্তর দাও!


মৃত লাশ মসলায় ভেজে দেওয়া ফ্রায়েড চিকেন,
বহূমুল্যে সাধ করে কিনে খাওয়া বিষ,
পড়ে থাক! রেস্তোরার টেবিল পরিপূর্ণ হোক বা-
না হোক! আমি দ্বীপান্তর চাই!
আধুনিক মুখোশের নীচে উৎকট এক মধ্যযুগ,
আর কতোবার বানাবে বলো চরম উজবুক!
অনেক হয়েছে কারসাজি, মেরামতি,
আমাকে দ্বীপান্তরই দাও,
বাকী সব তোমাদের হোক!