সন্ধ্যার মতো আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়া আকাশে-
বেড়াতে এসে,
আজকাল অকারণে ডুবে যাও খুব বেশি!
গভীর কূপের চেয়েও গভীরতম মন খারাপ-
প্রগাড় কফির চুমুকের সাথে অস্তিত্বে মিশেছে!
কি করবে হুট করে যদি দরোজায় চলে আসি?
দেখেছি ছবিতে ফেসবুকে-টুইটারে,
বেশ ভালোই বানাতে শিখেছ ধোঁয়া মাখা কফি,
খাওয়াবে তো এক কাপ? এসে পড়লে!
আমি না হয় একথালা নক্ষত্র কুড়িয়ে আনবো,
তারপর রংগনে ঢাকা অংগনে,
ঠিক তোমার মুখোমুখি বসবো; যেন ছায়াপথে,
মুখোমুখি চোখে রেখে চোখ, সুদূরের পিয়াসী!  
মাঝে হালকা নৌকার মতো দুলে পার হবে,
হিমালয়ের বাতাস; তিস্তার কল্লোল আয়েসী!  
তারপর তুমি একটা একটা করে সবগুলো-
নক্ষত্র আবার আকাশে উড়িয়ে দিবে!
হালকা হাওয়ায় দুজনের হাতে সামান্য ছুঁয়ে,
উড়বে নক্ষত্রগুলি ডানাওয়ালা ফুলকির মতো,
অসীমের প্রান্তসীমায় বুনোহাঁস হয়ে!
  
কথা তো হয়না বহুদিন বহুরাত!
একটিভ সেলফোন, অক্ষত নেটওয়ার্ক! তবু-
দুইটি অদ্ভুত বৃত্তে দুজন খাচ্ছি প্রচন্ড ঘুরপাক!
দিন দিন আরো দুঃখ ভারাক্রান্ত হচ্ছে রবীন্দ্রসঙ্গীত,
জানো বেশীক্ষণ শুনতে পারিনা!  
কাফকা পড়ে হুহু করে কেঁদে দেই আঁধারে,
বালিশের কাছে আর জীবনানন্দ রাখিনা,
সবখানে শুধু জমা অদৃশ্য কান্না!  
কখনো হুট করে যদি পৌছাই তোমার শহরে,
হয়তো তখন অনেক রাত; পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ,
পার করে চেকপোস্টের তল্লাশি,
ঠিক তোমার জানালার নীচে যদি চলে আসি,
উঁকি দেবে তো?  
ছোট্ট কাঁঠালচাঁপা ডাগর হয়েছে নিশ্চয়ই
সেখানেই যদি সারারাত দাড়িয়ে থাকি,
পুরোটা সময় পুড়াই মহাকাব্যিক আলাপে,
আবার হবে তো তুমি রাতজাগা পাখি?  
যদি চাও সবগুলো পুরাণকে জাগাবো না হয়,
গুবাক পত্রে দিয়ে আগুনের আহুতি!
শুধু হুট করে চলে এলে ভ্রষ্ট তিথিতে অসময়ে,
প্লিজ জানালায় আগের মতো করে দিও উঁকি!