হন্তারক ফিরে যাও! আমাদের গল্প এখনো হয়নি শেষ,
আরো কয়েক জীবন শুধু তাকে ভালোবাসতে দাও!
শোন চাঁদ একা একা পোড়াবে মাঠ হিম শীতল আগুনে,
সবগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে আপাতত সন্ধির পতাকা উড়বে,
সে শুধু আমার পাশে আরো একশ বছর বসেই কাটাবে!
এটুকুই চাওয়া! হন্তারক তুমি এবারের মতো ফিরে যাও!


রুপালী জলের ফাঁকে ঘষে দিচ্ছ ধার শাণিত ছুরিতে,
তার শব্দে আমাদের দুর্লভ ঘুম ভাংগে প্রতি মাঝরাতে,
আধাফোটা ফুলের কান্নার স্রোত শিড়দাড়া বেয়ে নামে,
বরফের বাধভাঙ্গা ক্ষোভের মতো প্রচন্ড শীতল!
সব জেনে বুঝে তবু ভালোবেসে যাই আজো এখনো,
এ আমাদের বিদ্রোহ নয়, উন্মত্ত জেদের পাগলামি নয়,
এ আমাদের জলজ্যান্ত মানবিক অধিকার!


হন্তারক! স্বপ্নেরা নেই আর! খবর কি পাওনি এখনো?
তবুও একটি চারা গিয়েছে বেচে ধ্বংসস্তুপের আড়ালে,
এটা জেনে এ কেমন উন্মাদ ব্যাধের মতো আচরণ!
সুনিপুণ হন্তারক! অনেক হয়েছে এবারের মতো থামো!
পৃথিবীর আয়ুর শেষ বিন্দু পর্যন্ত সে বসে থাকুক পাশে,
এইবার তুমি থামো! দোহাই লাগে শ্বাশত ভালোবাসার।


বারবার ভেসে গেছে কর্কশ প্লাবনে আমাদের বসতি,
বরফে জমে যাওয়া বলগা হরিণের সাথে হয়েছে শেষ,
বহু জন্মের সাদাকালো স্মৃতি; তবু নোয়াইনি মাথা!
পাথরের ইতিহাসে লেখা নেই সন্ধির আকুতির কথা।
তবু আজ এ প্রলয়ে কাছিমের মতো মাথা চাড়া দিচ্ছে,
প্রবালের শরীরে শ্যাওলা মেখে বয়সী হওয়ার শখ!
হন্তারক ফিরে যাও ভাটার টানের মতো উল্টো রাস্তায়,
ভাসবো তারই সাথে আজ ভর দিয়ে কাছিমের ডানায়,
ফিরে যাও হন্তারক এবারের মতো!