ফুটে আছে বেলী ফুল ওভারব্রিজটার গাঁয়,
ধুলোমাখা পাটাতন বহুদিন পর আক্রান্ত হয়েছে,
রোমান্টিকতায়।
জনকোলাহল বদ্ধ বাতাসের মতো খায় ঘুরপাক।  
মানুষের ব্যস্ততা নষ্ট করেছে জেনে জীবনের স্থিরতা,
সাদা বিন্দুর ফুলগুলো আনে বিষন্ন মুখরতা,
তাই দেখে দুচারটা অযাচিত মানুষ দাঁড়ায় খানিক!
বলে মন্দ হতোনা হলে বোহেমিয়ান আবার!
ভয় পেয়ে নীল হয়ে নিজেরই কথায়,
ভীত পাখির শঙ্কা বুকে নিয়ে তখনই দৌড়ে পালায়!
হাসে বেলীফুল একা একা রেলিঙয়ে দাঁড়িয়ে,
“মিথ্যে আশ্বাসে ভুলোনা!”বালুঝড় গিয়েছে বলে।  


অতিথি পাখিরা নামে ফুলেদের টানে ভুল বাতায়নে!
রাতের আলো কে নামালো জলজ্যান্ত দিনে?
অনুচ্চারিত উত্তরের সাজে শুষ্ক বাতাসে ক্লান্ত তারা,
আবার উড়াল দেয় ভগ্নমনে অজানায়!  
শোকের প্রকাশে ঝাপটানো ডানা ক্ষয়ে আসে শেষে।
শুধু বেলীফুল গুলো সাদা মুক্তার মতো একা হাসে!  


একা একা খেলা করে পরী, পরাণ আলীর মেয়ে,
বাসা নেই, আছে এই ওভারব্রিজের মেঝে!
নোংরা জামায় তার মুছে গেছে রঙ,
চুলগুলো জট ধরে কোকড়ানো পুতুলের মতোন।
সাদা পাপড়ি গুলো খুলে নিয়ে হাতে যতনে সাজায়,
মনে মনে ভাবে একথালা ভাত যদি এভাবেই জন্মাতো,
সবুজ এই গাছটার সাধের পাতায়!
মজা হতো কতো! ফেলে আসা গঞ্জের মেলাটার মতো!
পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো মজা হতো এইখানে আজ!