আসি আসি বলে চায়ের টেবিলে এলেনা,
অথচ এখানে স্বরস্বতী গ্রন্থাগারে একযুগ বসে,
শুধু হাঁসগুলো সবুজ লেকে ভাসছে!
তুমি এলে কথা হতো! নীল মলাটের কবিতারা,
সাদা কুয়াশায় ঢেকে দিতো পিকিং কেটলিটা!
হয়তো উষ্ণতা চুপি চুপি নিতাম মগজে,
দিনান্তে হাত ধরে ফিরে যেতে শেষ নীলে,
এলেনা তো আর! এখানে ডিমলাইটের আলো,
কেমন ফ্যাঁকাসে! নিভে যাবে! নিভে যাবে!
তবু এসো একবার! সোনালী আলো গ্লাসে ভরে,
পান করা যাবে! কয়েকটা অতিথি পাখি,
থাই গ্লাস ফুঁড়ে উড়ে এলো, ব্যস্ততম শীতে,
মিশে গেলো মসৃণ পাউডারের মতো নগরের-
উৎকট মেকআপে ঢাকা রুক্ষ গালে!  
কিছু পালক নির্জীব শুয়ে পড়ল অবশিষ্ট জলে,
গোলাপ জামের বনে চোরাপথে হেঁটে এসে,
বিসর্জন জেনেও দেবী দিয়ে দিল লাফ!
মায়াবতী সরোবরে তার চোখ ভাসে টলমল,
পচে যাবে মরে, তবুও ডোবেনা জলে সব-
অবাধ্য কমল! কিছু কিছু প্রেম তেমনি অবুঝ!    
তুমি এলে ওদের বাঁচানো যেত সেই রাতে!
মুখোমুখি বাঁচা যেতো অন্তত তেমন মুহূর্তে,
পরাবাস্তবতার নেশা ঢকঢক করে গিলে!
তুমি তো বিশল্যকরণীটা আঁচলের গিটে বেঁধে,
সেই যে হারালে! আমি অধ্যাবসায়ী ছাত্রের-
মতো ছুঁড়েই চলেছি জাল অদ্ভুত জলে!
কোথায় অলৌকিক মুক্তো, হৃদয়ের মণি,
তোমার চোখেই এখনো জমা সবটুকু সঞ্জীবনী,  
আর কতো পোড়াবে বলে তীব্র অনলে!