তুমি যদি মেঘ হতে চাও, আমি তবে আকাশ হবো!
চাঁদ-সুরুয আর গ্রহ-তারা ভুলে শুধু তোমাকে ছোঁব।
তুমি যদি মেঘ হয়ে যাও ভেজা পেঁজা তুলোর মত,
তোমার ছায়ায় ঘর বানিয়ে বহু জীবন কাটিয়ে দিব।
মাটির পরে নদীর দেশে সাদা ছটার মেঘ কাশবন-
তুলে এনে সাজাব নাহয়, মেঘের কালো আল্পনায়,
পরাবো সেই কাশফুল আর রামধনুটা জড়িয়ো গলায়।
তুমি যদি মেঘ হয়ে যাও, আমি নাহয় আকাশ হবো!
তবুও আমি জন্মান্তরে তোমার সাথেই দিন কাটাবো।


রাতের আকাশ ঘনঘোর হলে, অনন্ত সখ্যতা ভুলে,
মেঘের কালোয়, কালির ছিটায়, মুছবো খুব দক্ষতায়,
আমার পরাণে ধিকিধিকি জ্বলা, দুঃখ তারার আলো!
বলবো তোমায়- ও মেঘ আমার! বিজলীর আলো জ্বালো!
এই জনমটা শুধুই তোমার চকিত আলোয় চোখ ধাঁধাব।
সাদাকালো এই ক্লান্ত সময়, একটু হোক রহস্যময়,  
আজব অই নীচের দুনিয়া ভাসুক শুধু মেঘের আলোয়।  
তুমি যদি মেঘ হতে চাও নীলে বহমান পাহাড়ের মতো,
আমি নাহয় হৃদয় খুলে আকাশ হয়ে উড়াল দিব!


আমি যদি মেঘ হয়ে যাই, তবে তুমি আকাশ হইয়ো!
যাযবর এই মনটাকে তোমার বুকেই ভাসতে দিও।
হতে চায় ফেরারী সে ভুলে সব নিয়ম কানুন,
আকাশ ই নাকি ভাঙ্গতে পারে সহস্রাব্দের প্রাচীন শিকল!
মেঘ হতে তাই অবাধ্য মন অনেক বেশি হয় উচাটন।


মেঘ হয়ে উড়াল দিলে তুমিই কিন্তু আকাশ হইয়ো!
যদি পারো চাঁদকে ছেড়ে আমার দিকে অল্প চাইয়ো,
গোপনে হাত বাড়িয়ে শুধুই তোমার হাতটা ছোঁব।
অভিমানে কান্না পেলে আমার সাথেই বৃষ্টি হইয়ো,
যদি পারি দুজন মিলে বিলের লাল শাপলা ছোঁব।
গলে গেলে বৃষ্টি হয়ে তখন নাহয় ভুলেই যেও,
তবুও আমি মেঘ হলে, তুমিই কিন্তু আকাশ হইয়ো!