মেয়ে তুমি মেঘশিকারী!
এক শহরের ছোট্ট বাসার ছাদের উপর,
নীল বাতাসের গাছের পাশে বসা!
সকাল বিকাল মেঘকে ধরে জমিয়ে রাখো,
চোখের কোণায়!
বসতিকে গিলে রাখা পাথরের পাইথন,
অবিরত করে পার বালুঘড়ির সময়!
তোমাকে পাবেনা খুঁজে তারা কেউ।
তোমার বাড়ির চতুর্দিকে,  
এখন শুধু মেঘ পাথরের ঢেউ!


লাল ঘুড়িটা নাটাই ছিঁড়ে হারালে উড়ে,
অকারণে অশ্রু গড়ায় ফোঁটায় ফোঁটায়।
জমানো মেঘ পড়লে গলে ধীরে ধীরে,
আজো বসে থাকো!
কাজল রঙের চুলের ফাঁকে,
আটকে রাখো মেঘ ও আকাশ!  
অচেনা রাতের বিণুনি করা ঝাঁকে,
মেঘ শিকারের ফন্দি থাকে জমাট!
তুমিই ডাকো মেঘদূতকে!  
ইট পাথরের এই জামানায় ক্লান্তি এলে,
অচেনা বেলায়!


আর্তেমিসের মতো আকাশটাকে যত্ন করে,
আজো চোখে চোখেই রাখো!
সুযোগ পেলে ছাদে একা বৃষ্টি চলে এলে,
গহীন ধারায় কালপুরুষকে ডাকো!
তুমি মেঘশিকারী মেঘের পাশেই থাকো!    


মেয়ে তুমি মেঘশিকারী!
প্রাচীন আকাশে ধরতে জানো,
কেমন ব্যাথা তীরের মতো বিঁধে থাকে,
হরেক রকম মেঘের বুকে।
সেই কষ্টে ছেড়া কান্না তুমি পড়তে জানো!  
তুমি মেঘশিকারী!  
রঙ্গিন মেঘের হরিণ সব তোমার সাথে থাকে,
তুমি ভালোবাসতে জানো!


কেমন লাগে কারণ ছাড়াই,
দিনের আলোয় ভোরবেলার ওই মন খারাপ!
পাগল বাতাস দিগ্বলয়ে বদলালে রং,
লাগে কেমন!
সেসব তোমার জানা আছে ভালোই!
তুমি মেঘেদের গল্প জানো!
যদি দেখো ফুটপাথে হাঁটছি কেমন অন্যমনে,
মাথায় রঙ্গিন ছাতা!
ভিজিয়ে দিও বৃষ্টি দিয়ে,
করোই নাহয় পাগলামিটা!