চলে যাবো একদিন না জানিয়ে,
পাবেনা খবর তার জনপ্রিয় কোন দৈনিকে!
খবরের কাগজ পুড়াবে সকালে ফুটপাথে সক্রেটিস!
শুধু আমি চলে যাবো যুক্তির আড়ালে, থামের ছায়ায়,
পোড়া গন্ধে নেশায় ঘুমিয়ে পড়বে উত্থিত দৈত্যেরা,
শুধু আমি চলে যাবো!
বিজ্ঞাপনে তখনো নাচবে নর্তকীর সুঠাম দেহ,
অগণন নিবিষ্ট চোখ পরিমাপে রত,
অমৃতের জল সুইস ব্যাংকের ভল্টে ভরা থাক,
কেউ তা পাবে না কখনো, সব উড়ো মিথে মিথ্যার বসতি!
"চলে যাবো" এই সত্য জেনে বসাবে সে শেষ যতি!


পায়ের নীচের মাটি ফাঁক হয়ে বের হবে লাভার জিহ্বারা,
করোটির শক্ত খোল গলে যাবে বীভৎস দহনে!
আদি বিন্দু থেকে বিস্ফোরণ বালুকণা পুড়িয়ে এসেছে,
লাশেদের চোখেও তো লাগে তার উত্তাপ!
কেউ কি আছো আশেপাশে?
ধার দেবে এক গ্রাম ছায়া, ঠান্ডা জলের গ্লাসে!
খানিকটা জিরিয়ে নিতে যদি পারি স্থানকালহীনতার মাঝে,
নিঃশব্দে চলে যাব এক ট্রিলিয়ন মাইল দূরে,
এতোটুকু শব্দ হবেনা দেখো! কেউই পাবেনা টের!  


পায়ের নীচে ভস্ম হয়ে ঝরে পড়ে চৌক প্লাস্টার
নিঃশব্দে ক্ষয় হয় শ্বেত পাথরের সন্তান,
অমর ডেভিড!
এঞ্জেলো কেঁদোনা আর, তুমিও মৃতদের দলে,
চলো বুকে বাঁধি গ্রানাইট পাথরের চাই!
নরকের দুয়ার ধাক্কায় ত্রিমস্তক কুকুরের পাল,
চলে যাবো এরকমই একদিন; থাকবেনা কোন ধুন্ধুমার!
অলৌকিক জলযান মাঝপথে থামাবে ইঞ্জিন;
সেওতো ভয়ের জলে স্নান করে সময়ের সীমান্তে!
বাঁকিটা গড়িয়ে যাবো অথবা উড়াল দিবো,
ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার মতো খুব নিঃশব্দে চলে যাবো!


পিছনের দরোজা দিয়ে চুপচাপ বের হয়ে যাবো,
রাণী আর কিঙ্করী, ব্যালকনি ভরা দুর্লভ ফুলদানি,
মহাকালে স্থাণু হয়ে হাসবে অক্ষয়!
প্রাসাদের রেলিং থেকে গড়ানো কালির মতো জমা ভয়,
বুকের চাঁদরে বেঁধে নিয়ে স্রেফ হাওয়া হয়ে যাবো!  
জল ছুঁয়ে আত্মার চোখ গলে পরে রংহীন আলেয়ায়,
কালো তো রাক্ষুসে রং,
সবকিছু গ্রাস করে তার গহ্বরের ভিতর!
একদিন গ্রাস করে নেবে নিঃশব্দে খুব আমাকেও,
ধীরতালে মাটি হবে ক্যালসিয়ামের কঙ্কাল!
পৃথিবীর চোখ পরখ করবে এক অচেনা সকাল,
শুধু আমি অনুপস্থিত! তুমি অনুপস্থিত!