অপেক্ষায় আছি নিঃশঙ্ক সময়ের,
জীবাণু হটবে পিছু প্রাণঘাতী সম্মুখ সমরে,
জনারণ্যের কল্লোল বাজবে নয়া হিল্লোলে,
অচিন পাখির ডাকে, বাউলের কাঁপা সুরে,
ঝাকড়া বাতাস ছুঁয়ে যাবে নগরে ও চত্বরে,
তখন আবার মুখোশ ছাড়া বসবো আমরা,
সবুজ গালিচার এক সান্ধ্য শহরে!  
একদিন অনাহুত ভয় নিয়ে তার সব সঞ্চয়,
পালাবে পালাবে ঠিক বিরান তেপান্তরে!


দেখো মহামারী হটবেই পিছু এই মহাযুদ্ধে,
জ্বলবে ডিনারে তপ্ত ক্যান্ডেলে সূর্য্য হলদে,
ধোঁয়া ওঠা খাবারের গন্ধ পেয়ে স্মিত হাসি,
মৃদুস্বরে মাঝে মাঝে বলে দেয়া ভালোবাসি,
তরুণ ও তরুণী কন্ঠে উচ্ছল কিচির মিচির,  
আসবে ফিরে নিঃস্তব্ধ শোকের বড় বন্দরে!
অজেয় এই মহামারী ফিরে যাবে তার ঘরে,  
অপেক্ষায় আছি সেই নিঃশঙ্ক সময়ের!  


দেখো সাদা সাদা বকপাখি নীলকালো মেঘে,
আনবে জয়তীর দিনে জীবনের তীব্র উল্লাস,
অকাল বৃষ্টিতে মুছে যাবে জীবাণুর যুদ্ধবহর,
অবরোধ মুক্ত হবে আমাদের রুদ্ধ নিঃশ্বাস!
ধুইয়ে মুছে সাফ হবে আক্রান্ত প্রেয়সী শহর,
হাতে হাত রেখে বলয়ে প্রদর্শিত হবে নির্ঝর!
প্ল্যাকার্ডে, পোস্টারে আর দেয়ালের লিখনে-  
লেখা হবে- “মানুষই যুদ্ধ করে! মানুষই মরে!  
তবু জীবনেরই কাঙ্গাল জয়ী হবেই এ সমরে!”  
মহামারী! মহামারী! তুমি পিছুহটে যাও ফিরে!


ক্রমশ হচ্ছে বড় মৃতদের মশাল মিছিল,
আর কতো জীবনের রপ্তানি পেলে হবে স্থির-
এই মহামারী? বন্দরে জাহাজের ভীড়!
কতো শত পরিচিত প্রতিদিন যায় সমাবেশে,
কেউ যায় চিরতরে! কেউ কেউ ফিরে আসে!
তবু নীলজল বলে যায়, রাজহাঁস বলে যায়,
রাজপথ আওড়ায় বুলি- “অপেক্ষা সময়ের,  
মানুষই বিজয়ী হবে পুনরায়!”
বুকের পাঁজরে আকড়ে ধরে অস্থির সময়,
সবাইতো আছি অপেক্ষায়!
একদিন দুন্দুভির স্লোগানে আমরা হটিয়ে দিব,
আমরা তাড়িয়ে দিব এই বিদ্ঘুটে প্রলয়!
প্রিয়ন্তী ততোদিন বেঁচে থেকো! ভালো থেকো!  
থেকো অপেক্ষায়!