বিস্মৃত শব্দেরা ঘুড়ি হয়ে উড়ে, লাল ছোপে-
তার হৃদয়ের রং মিশে আছে! নতুন পাথরে কাঁটা
অলকানন্দায়, পাগলাটে হিম ঝড় বুকে নিয়ে,
এসেছে স্রোত নিঃসঙ্গ বারান্দায়,
একাকী বিড়ালের চোখ তার পায়ের কাছে,
রাতের অন্ধকারে ভুতুড়ে সবুজ চোখ জ্বলে আর নিভে,
পোষা ভালোবাসার মতো সময়ে অসময়ে!
কিছু অনুভূতি বন্ধ কামরায়, শজারু কাঁটা গেঁথে দেয়-
দিনরাত; বিদ্যুৎস্পৃষ্টের তীব্র ঝাঁকুনি! বালুর মতো-
সমস্ত আঘাত শুষে নিয়ে সে বেঁচে থাকে আজো!
ভয় খেলা করে আজকাল পৃথিবীর রাজসিক রাস্তায়,
মৃত্যু মিছিলের দূরবর্তী স্লোগান শুনে পালিয়েছে ঘরে,
শেষ ভবঘুরে! তবু তার দুঃখের ভাগ নিতে,
অলকানন্দা এলো শূন্য দুপুরে!
উড়ে ঢেউ হলুদ ফুলের মতোন, স্ফুলিঙ্গ মাতাল!
যাও নদী, নিয়ে যাও ধুয়ে তার হৃদয়ের দাগ,  
অসময়ে অলকানন্দা কেন মৃত্যুর শহরে?
এই ভেবে ছুঁয়ে দিতে গিয়ে রাস্তায়, সেও তো অবাক!
নদী নাকি ফুল; নাকি একের মাঝে দুই,
পোড় খাওয়া মনটার ইলিউশনের ভুল!
জীবন হঠাত বেখাপ্পা ভাবে হয়েছে অপ্রতুল!    


পুরাতন অলিগলি, ভাইরাস ক্ষীরের মতো লাগানো,
স্টিলের শক্ত দরোজার হাতলে! প্রকৃতি সাবানে ঘষে,
ধুয়ে নিবে সব বলে-
পালালো দার্শনিক বিকেলে মৌন ছাদে!
অলকানন্দা হাসে, তার তীব্র আস্বাদনে আকাশ হলুদ,
প্রাকৃত পাথরে ঘষে আংগুলের ফাঁক বেয়ে গলে পরে,
উৎসারিত হলুদাভ স্রোত, তাজা স্ফটিকের মতো নীল,
শহরের ছাদ থেকে ছাদে! অলকানন্দা হাসে!  
এখন বাতাসে ঊড়ে অভিশাপ, উটের পালক গুজে-
সবাই গিয়েছে মৃত্যুর খোঁজে, দুষ্প্রাপ্য জীবন,
মেগা শপিং কমপ্লেক্সে নেই কোন বিপণন!    
ফুটন্ত তেলে ছেঁকে উঠা দুপুরে,
পোড়া কাবাবের সুস্বাদু গন্ধে মাতাল পিঁপড়ের মতো,
হুড়োহুড়ি মুঘল শহরে আর হয় নাতো!
তবু গালিবের গিরিবাজ গাইলে গজল মরমী সন্ধ্যায়,
পাখার ঝাপটানি, পর্দায় বিষম প্রতিধ্বনি,
সেও তো উড়াল দিবে বলে এখনো উড়েনি!
কতো গুলি পাখি তার হাতের চুরির মতো লাল,
ঘুড়ি হয়ে গেলো; আলপনার ছকে কারুময় শব্দেরা,
তাকে ডাকবে বলে ছুটে যায় মুমূর্ষু বুড়িগঙ্গায়,
অলকানন্দা ফুটেছে বিকালে, আকাশের জলে!


ফিরে এসো তুমি, একা অলকানন্দা ভাসে,
তোমার কষ্ট গুলো রেখে এসো তার হৃদয়ের পাশে!