আমি পদাতিক জলে স্থলে হাঁটি, সহযোদ্ধারা নেয়না বিরতি,
মানচিত্রে পথ থাকুক বা না থাকুক, থামেনা সঞ্চরণের গতি!
সিগারেটের শেষ টানের ধোঁয়া ঢেকে ফেলেছে,
নিয়নের বাতি, অগোছোলো চুল অবাধ্য বাতাসে,
পাগলের মতো মেঘে ঢেকে দিল দৃষ্টিসীমায় প্রেমের আরতি!


অশান্ত ক্ষোভের মাঝে হাস্যকর ভাবে নাড়াচ্ছে হাত,
কয়েকটা পাথরের শান্তির মূর্তি! তাদের পায়ের নীচে শিমুলের-
ফুলে তাজা তাজা লাল জলে মহাত্মার পদতলে রক্তাক্ত বেদী,
নিহত প্রেম বড় নাকি ব্যর্থ বিপ্লব? ভেবে ভেবে সারা দিন রাত,
একাকার, শুধু স্তব্ধ আলো গিলে খেলো সতেজ সংবাদ,
এখন দেয়ালে দেয়ালে বাসি সবজির মতো পচা পোস্টার,
ভালোবাসা পচে গেলে এমনই কি দুর্গন্ধ ছড়ায়?
আজকাল মৃত্যুসংবাদ আর মানছেনা কোন রোস্টার,
তবু হেঁটে যায় পদাতিক! পর্দার পিছনে প্রেম করে ফিসফিস,
রমণী ক্ষান্ত হও, বেঁধোনা বাঁধনে তাকে,
অকারণে একহাজার বছর কেঁদেছিল বিনোদিনী,
তুমি আর পদ্ম নিয়ে এসোনা কালীয় নদে! এখানে জমানো বিষ,
এখনো ফুটানো ভাতের মতো উতলায় হাড়ি,
এই নগরের মৃত্যুর ফরমান নিয়ে ব্যস্ত সবাই; বিচিত্র হুড়োহুড়ি,
পদাতিক শুধু দেখে চলে যাবে, থামবে না কোথাও!
বেতারে বিশ্বযুদ্ধের খবর ছড়াচ্ছে আড়াআড়ি!


পুরানো শহর হলুদ কাগজের মতো পকেটের ভাজে রেখে,
বিগত বাসন্তী বাতাসে আরোপিত অভিশাপে সেরেছি গোসল!
আমি পদাতিক; রজনীগন্ধা মধ্যরাতে বিগতযৌবনা হলে,
নকশায় মোড়ানো ফুলদানি করে প্রত্যাখ্যান!
তার হেলে পড়া কেশ পালংক ছেড়ে অলিন্দে উড়ে এলে,
সামান্য থেমে মূমুর্ষ আলোয়, গুপ্তচরের মতো ফিসফিস করে,
তন্দ্রালু তার সাথে কয়েকটা মুহূর্ত পুড়াই!
তারপর সেই মাটি স্থলভূমি ছুঁয়ে হাঁটি; লেজে বাঁধা ফড়িং উড়াই!
তাদের ছটফটে কষ্টে ধ্যানমগ্ন নীরবতা গ্লাসে নিয়ে পানশালা,
ছাড়ি! চিটমিটে রোদ আগুনে পুড়ায় নগরীর সমস্ত সম্ভোগ,
সবার শরীরে বাসা বেধেছে অসুখ,  
এ এক বিষম যুদ্ধ, নেই কোন সম্ভাব্য বিরতি!