মরে যাচ্ছে স্বপ্নেরা! ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে সরণি,
পৃথিবীর সবটুকু জল পারবেনা আকন্ঠ তৃষ্ণা মেটাতে!
মেঘগুলো হাওয়া হয়ে গিয়েছে এ অসম ফাগুনে,
পুড়ে যাচ্ছে স্বপ্নের চারা শতাব্দীর নির্দয় আগুনে!


মুছে যাচ্ছে ধীরে ধীরে ক্যানভাসে আঁকা মোমের মুখ,
শিল্পীর ঘামের আবেগে ভালোবেসে লবণাক্ত ঢেউ!
অবিশ্রান্ত শুষ্কতার অনার্দ্র বাতাস মায়াহীন হাতে,
নিচ্ছে সরিয়ে প্রতিটি আবেগীয় রেখা মুছে সাথে সাথে!


হারাচ্ছে স্বপ্নের মেঘ ধীরে ধীরে দিকচক্রবালে,
বৈশাখী লাল টুকটুকে শাড়ি লুকাচ্ছে আভা মৃত সাদা পাড়ে,
তোমার কাজল চোখ রিকশার হুডের আড়ালে লুকানো,
টেনে নিয়ে আত্মার প্রতিটি বিন্দু, ধীরে দূরে যাচ্ছে সরে!


নিভে যাচ্ছে ক্রমে ক্রমে লাইব্রেরীর প্রতিটি আলো,
স্বপ্নেরা মরে গেলে, তাদের বেঁচেই বা কি লাভ বলো!
জমে যাবে গল্পের সবগুলো বই চির আঁধারী আলোয়,
চোখের তারায় তোমার ছায়াটি ক্রমে দূরে সরে যায়!


হয়নি চড়া দু'জনার পুরানো ঢাকার রূগ্ন ঘোড়ার গাড়িতে,
সবগুলো সহিস তাই যেন আজ ফিরে যায় বাড়িতে!
তোমাকে ছাড়াও স্বপ্নেও তাদের দেখাবে বেমানান,
ও ঘোড়া! ও রাস্তা! এসোনা স্বপ্নে আর! আমি চাইনা প্রমাণ!


স্বপ্নেরা তোমার না পড়া শাড়ির ভাজে ঘুমিয়ে পড়েছে!
সাধ ছিলো আঁচলের ভাজ বাতাসে দুলিয়ে আসবে কাছে!
যদি কোনদিন অবসরে স্বপ্নেরা ফুল হয়ে ফুটে যায়,
প্রিয়া! গ্লাসের জলে বাঁচিয়ে তাদের রেখো, আমার আশায়!