ঝড় এসে গেলে পুরাতন দরোজাটা,
খুব জোরে বাজে একা, ভেঙ্গে ঘুণধরা চৌকাঠ!
বাতাসের নীলে হারাতে চাওয়ার সুপ্ত সুযোগে,
কবজার দড়ি তার অসারত্বেই ছিঁড়ে একাকার,
তীব্র গতির বাতাসও তৈরি খুলে নিতে তাকে
শুধু একবার!


অনেক বছর জমানো ভাবের শেষের দিনে এসে,
ভাঙ্গা দেয়ালে খসা ইটেরাও বেহিসাবে ছড়ায় মায়া!
ভাঙ্গা চৌকাঠে দরোজাটা তাই লেগেই থাকে-
অস্পষ্টতায়!
নুয়ে পড়া সাদা কাশফুল জ্বলে উঠে বিজলীতে।
বহু বছরের ভাবের খামে লিখিত কিছু কথিত প্রেম,
দরোজাটাকে চেপে ধরে খুব করে চায় আটকাতে!


তবু ঝড় আসে নিয়মিতই জোয়ারের মতো জিদে!
পাল্লাগুলোকে কাঁপায় জোরে অতিমানবিক আবেগে!
দরোজাটা কেঁপে উঠে প্রতিবারই উড়ার আশায়!
যদিও সঙ্গের অভ্যাসেই জন্মায় এক গভীর প্রণয়,
ভাঙ্গা পাল্লার দরোজাটা তাই সম্ভবত টিকেই যায়,
জীর্ন হাতটা দেয়ালের তবু ছাড়েনা সহসা তাকে!


জমানো জলের নীলের স্রোতে ভেসেছে ঘাসের কণা,
গাছের মিনারও ছুঁয়ে দেয় মাটি,  ভুলে সব ঠিকানা!
দরোজাটা শুধু তাকিয়ে কাটায়-
ভাঙ্গা দেয়ালের আলিঙ্গন তাকেও কি খুব পোষ মানায়!