কয়েকশো মাথা গুজে আছে কাঠের টেবিলে।
পাথরের ভাস্কর্যের মহিমান্বিত নীরবতা,
তাদের ব্যস্ত রাখে গরম ও শীতের সকালে।
চোখ গুলো ক্ষয়ে গেছে বহু ব্যবহারে,
তবু তারা জেগে জেগে পড়ে মুছে নিয়ে চোখ!


মাথাগুলো দৃড়ভাবে আটকানো সোজা ঘাড়ে,
অদৃশ্য স্ক্রু গুলো মরিচায় ডুবে বহুদিন অচল।
মাঝে মাঝে চায় তারা ঘোড়াতে দৃষ্টি অকারণে,
পারেনা এখন আর!
অদৃষ্টের প্রোগ্রামে মজে বইয়ের পাতায় স্থির-
হয়েছে তারা গত বহুকাল হলো।


প্রতিদিন ফুল ফোটে নীচের বাগানে কতবার,
কারোর সময় নেই এখানে সেই খোজ নেবার।
ক্ষয়িষ্ণু চোখগুলো নিবিষ্ট স্থির পুরানো পাতায়।
একপাল উটপাখি মাথা গুজে পালানোর দিনে,
জড়ের স্থিরতা নিয়ে পার করে সময়ের হিসাব।
এখানের মাথাগুলো অনেকটা তেমন!
যেন ভুলে চোখে এলে আকাশ ব্যর্থ হবে সব,
পড়ে তাই একটানা কিছু ভুলোমন!


পোড়া সিগারেট ধোঁয়া হয়ে ভাসে বাতাসে,
বইয়ের পাতায় লেপ্টানো ছাই বোঝাচ্ছে তাই।
অনেকেই ভাবে হাতে নিয়ে কফির লাল মগ,
সাচ্ছন্দ্যে পুড়ে গেলে হয়ে সিগারেটের আগুন,
ছাই হয়ে শেষ হলে মন্দ হতোনা এ ব্যর্থ জীবন!
ফুরফুরে হাওয়া হয়ে মেশা যেত বাতাসের বনে,
লাল নীল আলো গুলো তখন হতো আপন।