বুকের ভিতর ঝড় তোলা হৃদস্পন্দনে নিচ্ছে বিদায়
আলোকিত বিকাল! রাজপথে ধীরলয়ে হেঁটে যায় যমদুত!
ঠোঁটের কোণে অনন্তবিলাসী মৃদুহাসি,
মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হোমো সেপিয়েন্স বড় অসহায়!
অথচ তাদের নাতিশীতোষ্ণ ঘর ও ব্যাংকের স্টেটমেন্ট ছিল,
প্রবীণ মুঠোয় পদাবলী ভরা প্রেমে ছিল সহজিয়া অনুরাগ!
নদীর মতো একদিন বুকপকেটে বহমান ছিল লাল চাঁদ,
আয়েশী বিকালে মায়াময় উষ্ণ স্বপ্ন ছিল! হরিদ্রাভ জলে-
আনত বালিকার চোখে চঞ্চল ছিল রূপালী ডানার মাছ!
সেইসব পুরাতন কথা অচল পয়সার মতো গড়াচ্ছে ধুলায়,
অতিমারীর পরিসংখ্যানে এখন শুধু শোকসংবাদের সময়!
আজকাল খুব দ্রুতই চলে আসে! ভাইরাল সংবাদের মতো
অবিশ্বাস্য গতিতে আসে! প্রখর চিতার বেগ মেনেছে হার-
তার পাশে! নিউজ স্ক্রল, ফেসবুক সমস্ত কিছু ছেয়ে আছে,
বিষাক্ত মাশরুমের মতো আগ্রাসী প্যান্ডেমিকের সংবাদে!
অনতিক্রম্য প্যানিক এটাকেও পালানোর রাস্তা বন্ধ সব,
মৃত্যুদূত হাসছেন আর দেখছেন ঈশ্বর!
অবরুদ্ধ কোণায় যাচ্ছে শোনা হাঁসফাঁস শ্রেষ্ঠ জীবের,
ল্যাবরেটরির গিনিপিগের মতো অস্বস্তিতে ছোটাছুটি তার,
সময় নেই কারো দেখবার! অপেক্ষা মহাজাগতিক খেলার,
আর অন্তিমে অপেক্ষা লটারীর!  
অন্যকে মরে যেতে দেখে উত্থিত নিজস্ব মৃত্যুর কল্পনা,
হয়তো এরই নাম প্রকৃত অসহনীয় যন্ত্রণা!
তবু অপেক্ষা লটারীর! ফোনের রিংটোন বাজছে ক্রিং ক্রিং,
অপেক্ষা কখন নামবে প্যারাট্রুপার সাথে নিয়ে বুলেটিন-
একটি শোকসংবাদ! একটি শোকসংবাদ! একটি শোকসংবাদ!