শোন নক্ষত্র, শূন্য আমার অন্তঃস্থল,
সামান্য আগুন আমায় দিবে নাকি ধার বলো?
অনির্বাণ জ্বালাবো উত্তাপে,
দোআঁশ মাটিতে ভেজা উনোনের চোখ!
শোন নক্ষত্র! শোন রাত্রির উঠোনের মাতাল জোনাকি,
অকটেনের পাত্রের ছিদ্রে ভেসেছে মৃগয়ার স্রোত,
অনস্তিত্বতে মিশে আছে তীব্র দাহ্যতা,
গৃহহীন রমণীর হৃদয়ের মতোন!
একটু আগুন দিও ধার! সামান্য গন্ধের স্পর্শে
আগর বাতির মতো পুড়ে যাবে সব!
বহুদিন পর আগুনের পোকা হবো!  
পতঙ্গের আগুন হবো! বৃষ্টিতে ভেজাবো তাকে,
পোষা পাইথনের মতো এও আমার এক অকৃত্তিম শখ!


রুপন্তী অবয়ব তার অপসৃত ছায়াসঙ্গী মিলে
ছেড়াদ্বীপ ছেড়ে গিয়েছে চলে আরো বহুদূর,
যেখানে সীমান্তে মিশে থাকে হৃদয়ের বেলাভূমি,
মুছে যাবে হয়তোবা ধীরে,
কোমল কাদায় আঁকা মায়বিনী ছায়া!
টেনে নিবে স্রোত তার সঞ্চরণশীল পায়ের পাতার ছাপ,
নক্ষত্র এই গহীন আকাশের রাতে ধার দাও কিছুটা উত্তাপ!
বেঁধে রাখি তাকে টেরাকোটার কোটরে!


মোহময় শহরের স্পন্দিত বাতিওয়ালা বহুদুয়ারী ঘর
তার অপেক্ষায় আজো জাগে রাত্রির দ্বিপ্রহর!
মাঝে মাঝে থমকানো নিঃশ্বাসের মতো,
পশ্চিমের শ্মশানে পিয়ানোতে ঝংকার তোলে হরিবোল,
কোন এক অদ্ভুত লোক!  
কেউ এসে বলে গেলো সেতো নেই! তবুও তো আছে সে,
তবুও তো থাকে সে নিত্য প্রবাহের মতো,
বায়বীয় ঘরদোরে!  


শোন নক্ষত্র! এ এক অদ্ভুত দ্বিধাগ্রস্ত কাল,
প্রেমিকার বুকে মৃত প্রেম! বাজেনা প্রশান্ত সান্ধ্য আশ্বাস!
একটা মোহিনী শোকে শূন্য আমার কেন্দ্রস্থল,
প্রবীণ পানীয়ের ছোঁয়া আর পায়না আকাশ,
নক্ষত্র! এই আকালের কালে সামান্য আলো তুমি দিও ধার,
ভীষ্মের শরশয্যা আলোকিত হোক পবিত্র ঝালরে,
বিজয়ের মহড়ায় জয় পায়নি বলে কি সে উষ্ণতা পাবেনা?
ঢেলে দাও অক্ষয় তূণের লক্ষ আলোকিত আগুন,
পুড়ে পরাজিত হবো রাজপথে! কুরূক্ষেত্রে! বাকরুদ্ধ ছায়াপথে,
ভস্মের অন্তরে সুতীব্র গর্জন তোলে নাকি স্পন্দিত জীবন?
হলে সে হোক ছাইয়ের স্তূপে অলীকগন্ধী ফুল!