তুমি নাকি সূর্য ছিলে পুরাণ কালে?
এসবই তো লিখা আছে বইয়ের পাতায়,
গল্পকথায়!
কি যেনো নাম? হিলিয়াস নাকি আ্যপোলো!
কি ছিলো তোমার নাম, সত্যি করে বলো!
কি বললে! পাগলী আমি!
সেতো সেই কবে থেকেই,
তোমার মুখের কথা শুনেই।
প্রথম তোমার গল্প শুনে নীল টেবিলের-
ওধারটায়,
আমার মনে প্রেমিক সুর্য্য প্রথম সেদিন,
উদয় হলো রূপকথায়।


এখন বলো কি নাম নেবে?
হেলিওস, আ্যপোলো নাকি আটন-রা।
ভয় পেয়েছ? পেতেই পারো একটু ভয়,
সবাইতো দেবতা বড়!
খেলাচ্ছলে নামটা দিলে কখন কি হয়!


আচ্ছা! নেই দরকার ওসব নামের,
তুমি হও সূর্যমুখী।
ফুটবে এই পৃথিবীর ধুলার মায়ায়,
হাতের কাছে ওই বাগানে ভোরের বেলায়!
প্রতিদিন খুব সকালে, অফিসে যাবার কালে,
দেখবো তোমায় আমি দুচোখ ভরে।
সবুজ ঘাসে হলুদ আলোয়,
উঁচু মাথায় দাঁড়িয়ে থেকো,
খুব সকালে, ভোরের বেলায়,
তোমাকে দেখে চোখ  জুড়াবো!
তুমি হইয়ো সূর্য্যমুখী,
আমি হবো প্রজাপতি!
রংগিন ডানায় মাখবো হলুদ আলো,
মনটা খুব চায় যদি।