তোমার স্বপ্নে ভাংগা দরজার পাল্লার ফাঁকে ফাঁকে,
ঝড় এনে দেয় শিমুল পাতার শরীরের ঝরা জল!
আকাশের মেঘে লালটে তুলোর নরম হাতের ছোঁয়ায়,
স্বপনচারিণী তুমি প্রতিদিন,
নিজ স্বপ্নেই হয়ে থাকো লীন!
পাগল বাতাসে অবাধ্য উড়ে বিদ্রোহী ফুল কদম!
আকাশে ছড়ানো রেণুর বাষ্প, কান্নার শিল্পিত অনুকরণ!
মেঘদূতরা এযুগেও এনে দিতে হারানো প্রেমের শমন,
পাড়ি দিয়ে উজ্জয়িনী কোশল,
ভেসে এসে বাংলায় নিয়মমাফিক,
অবিশ্রান্ত বর্ষণে জানালে আর্তি,  
ঝড়ের স্বপ্নে প্রতিদিন ভোরে, তুমি হও বিরহের বিদ্রোহী!
স্বপ্নবালিকা তুমিও নেশায় নিজ স্বপ্নেই আশ্রিত,
অবচেতনের সাদাকালো সেটে আজো-
তুমি বিচিত্রা প্রত্যাশী!


ভেংগে গেলে ঘোর ভোরের স্বপ্নে পুরনো দিনের গানে,
অতীত ছবির কঠিন ব্যখ্যা ভোগাবে তোমাকে জেনেও-
মরে যাওয়া সব পাখিদের নিয়ে এখনো চিন্তা আনো!  
বিষাক্ত হ্রদে অভিশাপে যারা বিনাদোষে মারা গ্যাছে,
তাদের জন্য ঐরাবতে ভাংগো দুঃখ পাহাড়!
প্রতিদিন রাতে ঘোরের স্বপ্নে বিবর্ণতাকে ছিড়ে,
স্বপ্নচারিনী! এখনো শুনি দানব শিকারে নেমে,
প্রেমের জন্য, আদিম ঝরণা সেঁচে সুমেরীয় প্লাবনে,
উপকথার স্নেহের মুক্তা পাত্রে ভরেই আনো
প্রতিদিন ভোরে শিমুল পাতারা ঝরে গেলে শ্রাবণে!
খুলে দিলে সেই ভাংগা দরোজা-
চোখে চমকালে  বিজলী,
ঢুকে পড়ি আমি তোমার ঘরে হয়ে অনন্তদুঃখ সওয়ারী!