দামামা বাজছে! দামামা বাজছে!
খুলে দাও দরোজাটা! বাহিরে স্মৃতিময় কর্পুর!
সবাই তো দৌড়াচ্ছে জিরাফের মতো,
গলা উঁচু অন্তরে নিয়ে পিপাসার্ত কামনা যতো!  
কোথায় আগুন? কোথায় প্রেমিকা? গলে গিয়েছে-
মোমের মতো সামান্য উত্তাপে!
প্রতিটি মেঘের নাম অনাহুত পর্বত,
তারাও তো অস্থায়ী তাঁবুদের মতো ভাংগে প্রতিদিন,
নড়বড়ে রাস্তায় আবেগের বেহিসেবি চাপে!


যুদ্ধক্ষেত্রে পেয়ে বিষাক্ত ভয়,
কিছু পদাতিক নিয়েছিল তোমাদের শহরে আশ্রয়,
জলসা ঘরে টেলিভিশনের নর্তকী কোমর দোলায়,
প্রতিটি বেডরুম অঘোষিত নাচঘর!
মাঝে মাঝে কাটে সুর ভেসে যায় তাল-মূদ্রা-লয়!
পদ্মকাশ, সর্পশীর্ষ, কর্ত্তরীমুখ, শুকতুন্ড ভাসছে,
সাবলীল বুড়িগঙ্গায়; শুধু ভোরের শুকতারা জানে!
অনাহূত পদাতিক অসময়ে ফুঁ দিলে মাউথ অরগ্যানে,
কেটে যায় ঘোর! কতো লোকে ভাবে-
দরোজাটা খুলে অসীম শুন্যে ঝাঁপ দিয়ে দিবে!
তবুও দেয়না!  এখনো হয়নি যে শেষ তার-
নারীর শরীরে দেয়া পর্যাপ্ত সাঁতার!  


ওই যে ওখানে ময়ূরকণ্ঠী নীল পড়েছো গলায়,
মেয়ে তুমি শুচিস্মিতা; স্মিত হাসি হৃদয়ের রক্তক্ষরণ!
আকাশের বুনো বনে হানা দিলে অকারণে,
প্রেমের অরাল, ভালোই নিয়েছ শিখে-
নিতে বিশুদ্ধ আড়াল!
এখানে শিকারীরা বেড়ালের মতো সন্তর্পণে এসে,
তোমার কোমল কোলে কতোবার বাঘ হয়ে দিয়েছে,
আঁচড়! তবুও তুমি আজো অদ্ভুত শান্ত!
শুধু সুনীল আলোর ঝলমলে দিনেও,
ঘরের দরোজাটা করে রাখ পুরোপুরি বন্ধ!


হাত দিয়ে ছেঁকে নিয়ে রোদ,
জ্যোতিষীর পরিত্যক্ত তোতা পাখিটার সাথে,
কিছু লোক আর্মানী গির্জায় নিহত সমাধি খোঁজে!
এখানে প্রেমিক আছে শুয়ে প্রেমিকার পাশে,
কাছে তবু অনতিক্রম্য দূর!
দুইটি অসীম হিসাব বুঝি শুয়ে আছে পাশাপাশি,
মিলবে না তারা মিলবে না আর; দুরত্ব সুদূর!
কিছু উন্মাদ ভীষণ পেয়েছে ভয়; পালাচ্ছে দ্রুত,
প্রকম্পিত হচ্ছে শতবর্ষী দেয়াল জোরে সোরে,
মাঝে মাঝে শেষ সম্রাটের শহীদ সিপাহীরাও-
টহলে নামে; তোমাদের এই অদ্ভুত নগরে!