তোমাকে দেখলে, নজরে আসলে,
স্বপ্নের খাতা ছুঁয়ে ধীরে ধীরে নেমে আসে,
কষ্টের কালো নীল কালি!  
চুইয়ে চুইয়ে পড়ে কালি ও কলমে,
আমাদের নীল ভালোবাসার বিষণ্ণ আকৃতি।


তোমাকে দেখলে আলো ও ছায়ায়,
গল্প কথায় পার হয়ে যায়,
নিঃসঙ্গতার হাজার বছর এক পলকেই!
নিগড় দালানের ছায়াপথ ঘিরে,
অলিগলি খুঁজে আসা একটি একাকী ভ্রমর,
পেলে ফুলের সন্ধান হাসবে যেমন,
তোমার ছবিতে আকুল হয় এই মন,
এখনো তেমন!
সে কথা জানো তো তুমি?


হঠাত পড়লে চোখ তোমার চোখেতে,
এখনো কাঁপে অবুঝ চোখের পাতারা!
ভয় হয় খুব হারিয়ে ফেলার,
যদিও বহু কিছুই আমরা হারিয়েছি,
অনেক আগেই।


তোমাকে দেখলে অবাধ্য মন,
জানো কেঁদে কেটে হয় সারা বহুবার!
কৃষ্ণ সাগরের গহীন কুয়াশা,
ভেদ করে আসে যে সুদৃড় নাবিক!
ভুল করে যদি তার চোখে পড়ে যায়,
ঝলমলে কোন বিশাল নগর!
তেমনি আমার মনটা কাঁদে গো,
দেখলে তোমার রূপের ঝালর।
ভেঙ্গে যায় সব বাঁধ দেওয়া নদী,
বহুবার মুছি চোখ মলিন শার্টের কোণায়।


অনেক হেঁটেছি, অনেক গেয়েছি,
চারণ কবিদের একফালি গান।
ভাঙ্গা বাড়ির কড়িকাঠ গুলো পড়ছে ধ্বসে,
বয়স আমার থামছে না আর ।
তবুও এখনো জানো গো প্রেয়সী!
যদি ভুলে তোমাকে দেখি,
রাস্তায়, অন্দরে, পর্দার আড়ালে,
বুকের গভীরে বেজে উঠে সেই বাঁশি।


যে সুর হারালো অতল জলে,
তোমার কন্ঠ সাগরের সুরে বলে তার সবই!
ফকল্যান্ড দ্বীপ থেকে আরো বহুদূরে,
প্রশান্ত সাগরের নীল কোন তিমি,
হারালে তার প্রিয় জ্ঞাতিজন,
সাঁতরায় যেমন প্রতিটি ফেনায়,
পাহাড়ের মতো ঢেউ ভাঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই!
পৌছালে পৃথিবীর শেষ প্রান্তে,
অসীম খাদের মুখে যদি তোমাকে দেখে!
তেমনি হৃদয় কাঁপে এখনো আমার,
তোমাকে দেখলে হঠাত করেই!


যে ছবি আজো হয়নি আঁকা,
অথবা যাদের আঁকা হয়েছে বহুকাল ধরে!
হাতের তুলিতে ফোস্কা পড়েছে,
মিউজিয়ামের কারুকাজের আড়ালে!
প্রতীকি ছবিতে কিংবা ফুলেতে,
লুকানো সূর্যমুখী!
সেই ফুলের মতো এখনো আমি,
অপেক্ষায় থাকি শুধুই তোমার!
এখনো হৃদয় কাঁপে পড়লে চোখ,
তোমার চোখেতে কোন সন্ধ্যাবেলায়!


ভালো থেকো মেয়ে রাজার কুমারী!
মেলো পাখা আকাশে আবার,
মেঘেরা তোমায় ছুঁয়ে দিয়ে যাবে,
বৃষ্টি তোমার চোখ দুটো ভেজাবে।
ভালো থেকো পাগলীটা! রাজার কুমারী,
দূর থেকে দেখলেও বুক কাঁপে এখনো,
নিজের অজান্তেই!