এত আগুন জ্বলছে চারদিকে তবু ও কোথাও উত্তাপ নেই।
বালিয়াড়ির পর বালিয়াড়ি দল বেঁঁধে চলেছে সমুদ্র স্নানে।
এই গ্রীষ্মে আমের ফলন খুব কম। বাজারে আগুন।
আমি কি তোমার কাছে খুব বেশি কিছু চেয়েছি?
একটু ঘুম দিতে পারছো না? মৃত্যু তার আগুনের পাঁঁপড়ি
মেলে দিয়েছে গোলাপের উপর। ওখানে না হয় আজ
ভীষ্মের শর সজ্জা হোক। আমরা খেলে বেড়াবো না আর
ঝাউবন-নদীর ধারে। এবার তো হাসো খাঁঁড়ির জলস্রোতে?


এই বিশ্বপোড়া আগুনে ইতিহাস পুড়ে যাচ্ছে, পুড়ে যাচ্ছে রোম,
চেনা মুখের থেকে সরে যাচ্ছে প্রেম, বুকের থেকে সরে যাচ্ছে স্পন্দন,
আলোর গভীরে শ্বাস নিচ্ছে অন্ধকার। জামার ওপর তীব্র হচ্ছে
বেজন্মার দাগ। যত বার আগুনে পুড়ে ফেলতে চাইছি জন্মের কালো,
আরও কালো হয়ে যাচ্ছে জীবনের ক্যানভাস। বইয়ের শিরোনাম থেকে
মিলিয়ে যাচ্ছে প্রচ্ছদ। আগুনের শাখা-প্রশাখার উপর ছড়িয়ে পড়ছে
ধোঁঁয়ার লতা-পাতারা সূর্যকে ঢাকতে। ধোঁঁয়ার উদরে ধীর পায়ে
বিলিন হয়ে যাচ্ছে নগর সভ্যতা, সময় আর এক টুকরো হাসি।