চরম শূণ্যতায় পুড়ে যাচ্ছে শহর
খিল খিল হেসে ভেসে বেড়াচ্ছে বাউল বাতাস
আধপোড়া মাটির রাস্তা শহরের প্রবেশদ্বারে
                            উমেদারী হয়ে আছে
মহাভারতের অর্ধ-স্বর্ন নকুলের মত
মনুষ্যত্বের গভীরতা মাপতে
                        যে কোনো সময় গড়িয়ে পড়বে সে


শুধু দু' একটি ফিস-ফাস শব্দ
লঙ্কায় সুগ্রীবের মতো লাফিয়ে বেড়াচ্ছে
                          ইমারত থেকে ইমারতে
ছোঁঁয়াচে দুঃস্বপ্নে মৃত্যুর তরঙ্গাভিঘাত
ঘর্মাক্ত ভোরে রাজকার্য ছেড়ে দশানন
                           কুম্ভকর্নের সাথে নিদ্রা প্রতিযোগী


রাক্ষস সেনানী গবাক্ষে প্রতীক্ষমান
হাতের তালু চুঁঁয়ে পোড়া ভাতের গন্ধ
তারারা আজ নিকটতম প্রতিবেশী
প্রশ্বাস বিনিময়ের কালে কোন ফাঁঁকে কখন যে সে
                                    ঢুঁঁ মারবে প্রাণ-নালীতে
সেই আশঙ্কায় সবাই শত্রু আজ


লুকিয়ে উপেক্ষা করার ফন্দি আঁঁটছে সবাই
খাঁঁ খাঁঁ সভ্যতা, ক্ষুধা, যৌনতা আর বাউণ্ডুলে নেশা
মুখ টিপে হাসছে হাইড্রক্সি-ক্লোরোকুইন আর
জাস্টিসিয়া মাদার টিংচার