মুখোশী জীবন,মুখোশী সংসার।তাই ক্লান্তপায়ে হেঁটে চলি বিষন্ন মন নিয়ে চারিদিকে।কিছু আবেগ,কিছু অনুভুতি,কিছু দু:খ নিয়ে খুঁজে ফেরি কল্পনায় স্বর্গসুখ।


যে পাথর পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ে সে আর কখনো পাহাড়ের চুড়ায় ফিরে আসে না জেনেও আমি সেই পাথরের পথপানে চেয়ে থাকি,নীড় খুঁজি।


কিংকস হাইওয়ে সেই পার্কে বসে তোমার কথাই ভাবি।যেখানে প্রতিটি বালুকনায় মিশে আছে মন-বেদনার নোলাজলে আমার দীর্ঘশ্বাস আর নি:শ্বাসের পদধ্বনি।


আকাশের দিকে চেয়ে দেখি ফকফকে সাদা আকাশ।মেঘগুলি হারিয়ে গেছে।কোন মেঘ নেই।আমি বিষন্ন মনে দু:খের দহনে জ্বলি।


অচেনা পথের ধুলো মাড়িয়ে হাঁটছি উদ্দেশ্যহীনভাবে।চারিদিকে গাড়ি আর মানুষের ভীড়।
প্রিয়জন নিয়ে বসে আছে পার্কের ভিতর কিছু মুখোশধারী সুখী মানুষ।দেখছি এক মানু্ষের ভিতর অন্যমানুষ।


মাঝে মাঝে আমি থমকে দাঁড়াই, তাকিয়ে থাকি ওই পথচিহ্নের পানে,ব্যথাতুর মনে যেখানে একদিন ভালবাসায় সিক্ত হয়ে প্রজাপতির মত উড়েছো তুমি।আজও তৃষ্ণার্ত হ্নদয়ে ভাসিয়ে রাখে।


আমার হ্নদপিন্ডের বেদনা,আমার কস্টগুলি,আমার বুকভাঙ্গা হাহাকার,আমার স্বপ্নগুলি কেউ জানবে না কোনদিন।স্বপ্নগুলি জীবন্ত লাশ হয়ে ফেরে এভাবেই একদিন আমার জীবন প্রদীপ ধপ করে নিভে দিবে।


তাই অস্তমিত গোধূলি বেলায় পরাজিত সৈনিকের মত খুঁজছি পালাবার পথ।নিজেকে বিজয়ী ভাবছো হয়তো তুমি।তবে মনে রেখো সব বিজয়ের পিছনে একটি পরাজয় লুকিয়ে থাকে।