চামড়ার ভাঁজ ঘড়ির কাঁটার মতো এগোয় বারোটায়
ফোকলা দাঁত হারায় সজীবতা পাঁজিপুঁথি গুটাতে গুটাতে
লড়াই শেষ হয় না তবু লাঠির তৃতীয় ভরে
এক জীবন্ত প্রাণ স্মৃতি ভারে কুঁজো কলসি হয়ে
অন্তঃসারশূন্য সাদা চুলের পথিক অনন্তকাল হাঁটে
আর ছোঁবে না গঞ্জের খাল কোলে নিয়ে পাট খেত
কুঁড়ির বাঁধ মধ্যরাতে শুয়ে থাকে একা দূরে নক্ষত্র
তালগাছের মাথায় নিশাচর শব্দে উড়ে না জোনাকি
ছায়া এসে ভিড় করে রুদ্ধ বাতাস গোপন অন্ধকারে
অনন্তের ডাক আসে ক্ষীণ সুদূর কন্ঠে