পার্বতী নাম পাশের বাড়ির
ছোট্ট কিশোর মেয়ে
আহ্লাদ আর আটখানাতে
চলতো নেচে গেয়ে।


এদিক-ওদিক ছুটাছুটি
করতো সারাবেলা
দেব চাটুর্জের চোখে পড়ে
ভাঙ্গলো পারুর মেলা ।


কিশোর প্রেমে মত্ত হয়ে
ঘুরে দেবের পিছে
দেবের মনে ধরলে পারু
ভেবে পায় না দিশে ।


মনটি তাহার সঁপলো পারু
দেবদাসেরই কাছে
ঘুরঘুর করে দেবের বাড়ি
তা ধিনা ধিন নাচে ।


বয়স বাড়ে নেশা বাড়ে
পারু বাড়ায় হাত
দেবের পিতার অহমিকায়
আসলো আঁধাররাত ।


মদে চুমুক দিয়ে দেবে
ছাড়লো বাড়িঘর
কিশোর প্রেমের আবেগ তবু
রইলো পরস্পর ।


চন্দ্রমূখী স্বপ্ন পেলো
দেবকে কাছে পেয়ে
দেবের কাছে মদই শ্রেয়
বাঈজীর রূপের চেয়ে ।


হার না মেনে চন্দ্রমুখী
রইলো দেবের পিছু
আদর সোহাগ প্রেম বিলিয়ে
পায়নি সে আর কিছু ।


বিয়ের পরে পারু গেল
বৃদ্ধ স্বামীর ঘর
কিশোর প্রেমের মরণজ্বালা
হয়নি তবু পর।


অসুখ যখন বাড়লো আরও
ভাবলো দেবু শেষ
গরুর গাড়ি চড়ে দেবু
গেল পারুর দেশ।


বাড়ির গেটে এসে অচিন
হাত ইশারায় কয়
পারু পাশে থাকলে আমার
মরণে নেই ভয় ।


জানলো পারু দেব এসেছে
তারই বাড়ির দোর
শুনলো পথিক শুনলো পাড়া
পারুর গলার শোর।


শেষ দেখা আর হয়নি দেবের
পারুর সোনা মুখ
মরলো দেবু লয়ে মনে
প্রেম বিরহের দুখ।  ।