দুর্বোধ্য পঙক্তিতে সাজায়ে কবিতার পাতা
হারানো দিনের গান, স্বপ্নের বুঁদবুঁদ ,
অসীম চাওয়া; কল্পনার ফানুস ।
মেঠো পথে বেণী খুলে ছুটে চলা গ্রামীণ কিশোরী ।
অভিধান খুঁজে আনকোরা শব্দের আড়ম্বর-
রমনীর ভাঁজকরা শরীর-
স্তরে স্তরে সাজনো বিচ্ছুরিত দ্যোতি
গোগ্রাসে গিলে খায় কবি ।
অশ্লীল শব্দের সুনিপুণ বাঁধন-
দুর্বোধ্যতায় বঙ্গীয় কবির হিংটিং ছট ।


না বুঝতে পারার বিপদ অনেক-
তুমি অর্বাচীন-
সাবালক হওনি এখনো ।
শুনলে লজ্জায় মাথা হেট ।
কাঁধে নেই শান্তিনিকেতনী ঝুলা ব্যাগ
গায়ে মলিন পাঞ্জাবি-
মাথায় উসকো-খুসকো চুল
হাতে পুড়তে থাকা জ্বলন্ত সিগারেট ।
অধুমপায়ীদের কাছে বিরক্তিকর ।
এ সব অতীত ।


আজ সুন্দর ত্রিকোণী মাত্রায় গলায় লটকানো
হ্যারর্ড -এর টাই ।
গায়ে পিনপিনা সার্ট ।উরুতে ল্যাপটপ-
কী-বোর্ডে আঙ্গুলের ডগার খটখট আওয়াজ।
লিখা হয় একটি অনবদ্য কবিতা ।
বুদ্ধারা পড়ে বাহবা বিলায়-
বুঝো না ? নালায়েক তুমি ।