লালমাটিয়া পেরুলে-
বাঁয়ে পড়ে তোমাদের বাড়ির পথ
কতবার গিয়েছি সেই ইট বিছানো পথে
মনে পড়ে জিজ্ঞেস করেছি- লালমাটিয়া ?
কথা আগলে সব সময় বলতে-
না না; এ তোমাদের ঢাকার লালমাটিয়া নয়
আমাদের লালমাটিয়া ।


সরু পিছঢালা পথ। এত গাড়ি-ঘোড়া নেইঃ
এই তো সেদিন-
তখন ওখানে ছিল এক মেঁঠোপথ
গাছের ছায়ায় ক্লান্ত রাখাল
বেণু হাতে ক্ষেতের আইলে শিথান দিয়ে
করুণ সুরে ধরতো পল্লীবধুর বিরহী গান।
সুরের মুর্চ্ছনা শোনতে শোনতে পথ এগুতো আমার-
এবং তারপরঃ
কখন যে বাড়ির সদর দরজায় পৌছে যেতাম
টেরই পেতাম না।
এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছো-
ওটা আমাদের ‘লালমাটিয়া’ ।


অনেকদিন যাওয়া হয়নি আর ঐ পথে
বিস্মৃত লাগছে অথবা কখনো যাইনি যেনো।
যেদিন তুমি বলেছিলে-
তুমি আর এসো না কোনদিন।
সেই থেকে চেনাপথ গেছে অচেনা হয়ে
স্মৃতির পাতায় ধুলো জমে ধুসর-বিবর্ণঃ
কি অদ্ভুত মানুষের স্মৃতিপট, তাই না ?


আজ এতগুলো বছর পর
আবার ইচ্ছে হয়, যাই তোমাদের বাড়ির আঙিনায়।
বলি-তোমার কথা তুমি ফিরিয়ে নাও
আমি এসেছি আবার ।
সে সুযোগ আর অবশিষ্ট নেই
তুমি আর সেখানে থাকো না
তুমি এখন কল্পলোকের নতুন ঠিকানায়
তবু তুমি আজও আছো  আমার ভাবনায়।