তুমি বন্ধু, সুহ্নদ এবং প্রিয়তম।
কতবার বলেছি :
আমার লেখার পাঠক হয়ো না,
অসহিসষ্ণুতা ভর করবে, রক্তচাপ বৃদ্ধি পাবে
অসহ্য ঠেকবে ।
তবু তাই করলে। মৃত্যু কি কখনো বন্ধু হয়  ?
কেউ মানেনা, যদিও তাই হয় ।


অস্থির সময় পার করা বড্ড কঠিন
যেন এক বেয়াড়া ঘোড়া
পারদর্শী দক্ষ সোয়ারির ঘাম ছুটে বাগে আনতে।
লাগামে হাত পড়লেই
হি চিং চিং রবে সামনের দু’পা আসমানে
চিৎপটাং অভিজ্ঞ সোয়ারি ।


নক্ষত্রলোকের দিকে তাকাও
অযুত তারকারাশি, নিযুত দুরত্বে বসি
তবু যেন বলছে- তোমায় ভালবাসি ।
সব মিথ্যে, মরীচিকা ।
জন্মান্ধের যেমন অসুবিধা অনেক
তেমনি সুবিধা অনন্ত-
না দেখে ভালবাসা, আর পরখ করে ভালবাসায়
ঢের তফাৎ ।
এই সুবিধাটুকু জন্মান্ধের আছে, চক্ষুষ্মানদের নেই ।


সচারচর যা চর্মচোখে ভাসে, সব সত্য নয়
মিথ্যের খোলসে ঢাকা সত্যের অবয়ব
কল্পনা-অনুমান যেন মিথ্যের সৎ ভাই
ঘুড়ি তো আকাশেই উড়বে, আর তো কোথাও উড়বার অবকাশ নাই।


অস্থির চিত্ত কুরে কুরে খায়,
রক্ত-মাংস শরীর, জীবনিশক্তি পর্বে পর্বে ।
তুমি বন্ধু, সুহ্নদ, প্রিয়তম ।কতবার বলেছি-
আমার লেখার পাঠক হয়ো না,
অসহিসষ্ণুতা ভর করবে।