এই সেই গাঁ-
যেখানে কেটেছে আমার শৈশব ।
এই সেই গাঁ-
যেখানে হারিয়েছি আমার কৈশোর।
যে মাটিতে মিশে আছে আমার গায়ের গন্ধ
যার বনলতা পথ পান্তরে হারিয়েছি কত ছন্দ ।
যার বনে খেলেছি কত লুকোচুরি খেলা
সকাল গড়িয়ে দুপুর এসেছে কেটেছে বিকেল বেলা ।
যে বনের গাছেরই শাখাতে
কূমারীলতার দড়ি বেঁধে খেয়েছি যে কত দোল
পাখির কূজন ছড়িয়ে থাকা কত জানা অজানা বিচিত্র ফুল ।
যে গাঁয়ের থৈ থৈ করা জলে
ছুটিয়েছি কত নাও
মায়ের শাড়িকে পাল বানিয়ে মেরেছি কতইনা দাও ।
শালিকের ছানার লাগি
নারিকেল গাছে বেঁধেছি কত না হাঁড়ি
চোখ ফোটার আগে কলসি থেকে কত ছানা নিয়েছি কাড়ি ।
দোয়েল ছানা খুজিবার লাগি
চড়েছি কত না গাছ
সাপের কামড় তুচ্ছ ভেবে মিটায়েছি অভিলাষ ।
জ্যৈষ্ঠের গরমে গাছেতে পাকিলে আম-
অমসৃন বাকলে বুকছিরে ডগায় উঠিতে ঝরায়েছি কত ঘাম ।
আধাপাকা কুল ঢিলের আঘাতে
টিকিতে না পেরে মাটিতে লুটায়ে করিয়াছে কত হাহাকার ।
গায়ের কাপড়ের স্তুপ দিয়ে বানিয়েছি কত গোল বার
জাম্বুরা পেড়ে আগুনে পুড়িয়ে মিটিয়েছি কত ফুটবল খেলার সাধ ।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে গরু খুঁজে হয়েছি একাকার
আজও কানে বাঁজিতেছে শুনি
বাছুর খুঁজিতে গিয়ে অস্থির গাভির হাম্বারবে ডাক ।
বিশ্বে খুঁজেছি কত পাইনি কোথাও এমন প্রেমময়ী মা-
সে তুমি, তুমি মোর প্রাণপ্রিয় গাঁ...........