রাতের আঁধার যত বাড়ে
শহরের মানুষগুলো হয়ে ওঠে ততই আদিম
অট্টালিকা আর নিয়ন সাইনের প্রজ্বলিত আলো।কিংবা-
সদা পাহারায় দাঁড়িয়ে থাকা স্ট্রীট লাইট
অথবা হনহন করে ছুটে চলা
পিপিলীকার সারি গাড়ির হেড়লাইটের বিচ্ছুরিত আলো
কিছুই আটকায় না বেলেল্লাপনায়।


আবছা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকা জোড়াও
দূর থেকে দেখলে বুঝা যায়, সাপ নয়
স্বর্পীয় প্যাঁচে মানব-মানবী।
পাশাপাশি সভ্যতার নিদর্শন আকাশচুম্বী অট্টালিকা-
কিছুই যায় আসেনা তাতে।
শুধু হা করে দাঁড়িয়ে থাকে সাক্ষীর কাঠগড়ায়
এজলাশ বসার অপেক্ষায়।


নির্ঘুম রাতের প্রহরী জানে
এই শহরে রাত মানে কোলাহল
ডবল কারুকার্যময় মানব শরীর
জানালার ফাঁকে আবছা অন্ধকারে:
কিছুই হয়না এই শহরে।
সবই খোলামেলা-স্বচ্ছ আয়নায়।


এখানে টপলেস, বটমলেস নাইট ক্লাবের
অস্পষ্ট আলোয় লুকোচুরি নেই
খোলামেলা সতরঞ্জি পাতানো
দাবাড়ু খেলুড়েরা খেলে পানপাত্র হাতে
বাহুলগ্ন নগ্ন মানব শরীরে।


ভোরের প্রস্ফুটিত আলোয় তাল কাটে
বাঁধ সাধে তন্দ্রায়
ঘুমহীন রক্তিম চোখে ঘরমুখো হুলো বিড়াল।
এই ট্যাক্সী-হভোক্যান নিউজার্সি ?
তুলতুলে শরীরে ক্ষত-বিক্ষত অষ্টাদশী।
ওয়েস্ট ফরটি সেকেন্ড স্ট্রিট ধরে
লিংকন ট্যানেলে ঢুলুঢুলু চোখে বাড়ির পথে
উচ্ছিস্ট নর্দমার জলসায়-
রাতের এজলাসে বসে নিউইয়র্ক-উর্বশী।