মানুষের পঞ্চম ইন্দ্রিয়ের সীমারেখায়
কল্পলোকের সেতুবন্ধন
বাতাসের চপেটাঘাতে আকাশজুড়ে মেঘমালার ক্রন্দন
ঝিরঝির বৃষ্টির ফোটা
শ্রাবনের বারিষণ, আমাকে ভীষন কাঁদায়।


যে দূত এখনো পৃথিবীর প্রান্তসীমায় নেই
দৈবক্রমে যদি আমি জেনে যেতাম-তার আগমনী,
যেমন কৈলাশের মানস সরোবর থেকে
আচমকা দেবী নেমে আসেন-
কখনো পালকীতে, কখনো নৌকায়।
কেউ দেখেনি কোনদিন
কেউ পরখ করেনি তার রথ
তবুও তিনি আসেন, আতিথ্য গ্রহণ করেন
ভক্তকূলের  হ্নদমাজারে থাকেন ঔজ্জ্বল্যমান।


ঐ অতিন্দ্রীয় সীমাবদ্ধতার মাঝে
ঔন্দ্রজালিক তন্দ্রায় সাঁতার কাটতে আমার বড্ড ভাললাগে।
অশরীরি প্রেতাত্নাদের শক্তি অনেক
যখন-তখন যেখানে-সেখানে
পৃথিবীর বাউন্ডারী পেরিয়ে
ক্রিকেটীয় ছক্কা দূরত্বে যেতে পারে-এক নিমিষে।


ঘ্রাণ শক্তিতে কুকুর এবং শিকারী পশুরা
বেশ পারদর্শী। তবুও ওরা ইতর প্রাণী।
আর মানুষ শ্রেষ্ঠজাতি-
তথাপি মানুষ ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের কাছাকাছি নয়।


এই সীমাবদ্ধতা আমার ভাল্লাগেনা
যেমন ভাল্লাগেনা তেলাপোকা নামক ক্ষুদ্রপ্রাণীর
অকারণে কোটি কোটি বছর টিকে থাকা।
আমি ইন্দ্রীয় সীমাবদ্ধতার গণ্ডি অতিক্রমণে
বেগবান আর তেজস্বী হতে চাই
কালের পিঠে চড়ে।