আমি এখন কাঁদিনা
চোখের জল আর নোনতা হয়না
সমুদ্রের জলে মিশে গেছে সেই কবে
লুটে নিয়েছিল আগ্রাসী হায়ানা আর দোসর।


আমার চোখ এখন কিছুই দেখেনা
ফাঁসি জল্লাদ বিভৎসরূপ-কোথাও
বিংশ শতাব্দির প্রারম্ভে, দেশের মাটিতে কিংবা ভিন দেশে।
শুষ্ক চোখে জল নেই। শুধুই মার্বেল পাথর
সিঁড়ি ভাঙে উপর-নীচ
ন্যুরেমবার্গ থেকে ঢাকা।


চোখের সাধ মিটে গেছে
বাড়ন্ত বয়সে এবং যৌবনে
সেদিন কিছুই দেখতে চায়নি আমার চোখ
তবু জোর করে গিলিয়ে খাওয়ার মত
চোখের কোঠরে ওরা ঢুকিয়ে দিয়েছিল-
রক্ত, শকুনে খাওয়া লাশ, ধর্ষিতার ক্রন্দন
কিছু পৈশাচিক হাসি।
আমার চোখ আমাকে বাঁচাতে পারেনি
প্রত্যুৎপন্ন করতে পারেনি-আত্মরক্ষা কিংবা
কোন প্রতিরোধ অত্যাধুনিক অস্ত্রের ভয়ে।


সেই থেকে আমার চোখে জল নেই
শুধু সাগরকে রেখেছি ঋণী
আমার চোখ তাই আজ ফাঁকা
দেখে যায় ন্যুরেমবার্গ থেকে ঢাকা।