আমাকেই কবিতা লিখতে হবে ভাবিনি কোনদিন
কবিতার খাতা কেমন হয়, চোখ মেলে দেখিনি। তবু লিখলাম
একটি গদ্য কবিতা। আবৃত্তি শুনে তুমি হাসলে
আমিও বুঝে গেলাম-কবিতা লেখা আমার জন্য নয়।
অতঃপর আষাঢ় এলো, সাথে নিয়ে এলো বৃষ্টিধারা
টিনের ঘরের চালায় বৃষ্টি ফোটার আর্তনাদ শুনি
ভাবি-এ কি জলের কান্না?
মেঘ হয়ে কিইনা আনন্দে ঘুরে বেড়াতো আকাশনীলে
বাতাসের ধাক্কায় ছুটতো,এদিক-ওদিক
দমকার তিরস্কারে রুদ্ধমুর্তি রূপধারন মাঝে-মধ্যে। তবু কান্না পেতোনা
বরং তিড়িং বিড়িং নেচে দিন কাটাতো মেঘমালার উঠোনে
হঠাৎ বায়ুমণ্ডল রাগতো স্বরে বললো যাও-
ভূপৃষ্ঠে নেমে পড়ো
বাপের বাড়ি ছাড়তে কার না কান্না আসে। তাই টিনের চালায়
আছড়ে পড়ে কান্না হয়ে। আমারও দিনকাল এদ্দিন বড্ড আমোদে
চলছিল। ব্যথা প্রেম-বিরহ প্রিয়ার ভালবাসা
কিছুই আকৃষ্ট করতে পারেনি-কোনদিন। কিন্তু বৃষ্টির কান্নায়
তুমি এলে প্রেম এলো, সাথে নিয়ে এলে কবিতা
তাই আজ আমি কবিতা লিখি-
বৃষ্টির কান্নায়
আষাঢ়ের বর্ষণে, আকাশের গর্জনে এবং
আমাকে তোমাতে সমর্পণে।